অ্যাপে ঢোকার আগেই বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি শেষ, কীভাবে

ভারতে আগামী ৫ অক্টোবর শুরু হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আকারে, ঐতিহ্যে আর আয়োজনের ব্যাপ্তিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপই ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আয়োজন। কিন্তু একাধিকবার সূচি পরিবর্তন করে এবারের আসরকে একরকম তামাশায় পরিণত করেছে আয়োজক ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।

ধর্মীয় উৎসবের কারণে একটি-দুটি নয়; নয়টি ম্যাচের সূচিতে পরিবর্তন এনেছে বিসিসিআই। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। তিন দলের তিনটি করে ম্যাচের সূচিতে পরিবর্তন এসেছে।

আরও পড়ুন

এটুকু হলে তবু মেনে নেওয়া যেত। এখন টিকিট পাওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে নতুন ঝামেলা। বিশ্বকাপের টিকিটপ্রত্যাশী অনেকেরই অভিযোগ, বিসিসিআইয়ের অফিশিয়াল টিকিট ক্রয়সংক্রান্ত সহযোগী প্রতিষ্ঠানের অ্যাপে তাঁরা ঢুকতে পারছেন না। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর যাঁরা ঢুকতে পেরেছেন, তাঁরা দেখেন সব টিকিট শেষ! এমনকি ওই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটও ক্রাশ করেছে।

গত শুক্রবার থেকে অনলাইনে পাওয়ার কথা বহুল প্রতীক্ষিত বিশ্বকাপের টিকিট। বিসিসিআই এ জন্য ভারতীয় বিনোদনভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘বুকমাইশো’কে অংশীদার হিসেবে ঘোষণা করেছিল। আর আইসিসি ও বিসিসিআইয়ের বাণিজ্যিক সহযোগী মাস্টারকার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য ‘বুকমাইশো’-এর ওয়েবসাইট থেকে টিকিট সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে শুক্রবার থেকে বাংলাদেশের ম্যাচেরও টিকিট কিনতে পারার কথা। তবে বাংলাদেশি মাস্টারকার্ডধারীদের মধ্যে কারও কারও অভিযোগ ছিল, টিকিট কিনতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন

এবার খোদ ভারতীয়রাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রমাণসহ দেখিয়েছেন, ‘বুকমাইশো’ অ্যাপে ঢোকা যাচ্ছে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টার পর ঢুকতে পারলেও দেখেন, কোনো টিকিট নেই। আবার অনেকেই পছন্দের ম্যাচের টিকিট না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন।

গতকাল ভারতের ম্যাচগুলোর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টিকিট ছেড়েছিল ‘বুকমাইশো’। টিকিটপ্রত্যাশীদের অভিযোগ পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি তাদের ওয়েবসাইটের কারিগরি ত্রুটি সমাধান করে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আবারও একই ধরনের বিড়ম্বনায় পড়তে হয় সাধারণ দর্শকদের। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে পোস্ট করেছেন অনেক ক্রিকেটপ্রেমী।

আরও পড়ুন

একজন লিখেছেন, ‘অ্যাপে ঢোকার আগেই টিকিট শেষ হয়ে গেল। এটা কীভাবে সম্ভব?’ আরেকজন পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে লিখেছেন, ‘প্রথমে পক্ষপাতিত্ব করে শুধু মাস্টারকার্ড ব্যবহারকারীদের টিকিট কেনার সুযোগ দেওয়া হলো। তারপর কেউ যখন মাস্টারকার্ড জোগাড় করতে সক্ষম হলো তখনই ওয়েবসাইট ক্রাশ করল এবং তাদের কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হলো। এই ফাঁকে (ওয়েবসাইট ঠিক হওয়ার আগেই) সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেল।’

আরেক টিকিটপ্রত্যাশী একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘দেড় ঘণ্টা অপেক্ষার পর (ওয়েবসাইটের) পরবর্তী পেজে যেতে পারলাম এবং দেখলাম কোনো টিকিট নেই। যে টিকিট সহজলভ্য হওয়ার কথা, সেটা কার্ডেই যুক্ত করা হয়নি। বুকমাইশো আবর্জনা ছাড়া আর কিছু নয়।’