প্লে–অফের দৌড় থেকে আগেই ছিটকে পড়েছে খুলনা টাইগার্স। তাদের জন্য ম্যাচটি নিয়মরক্ষার হলেও প্রতিপক্ষ সিলেট স্ট্রাইকার্সের এ ম্যাচ থেকে অর্জনের ছিল অনেক কিছু। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুইয়ে থেকে কোয়ালিফায়ার পর্বে জায়গা করে নিতে এ জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের।
সে জন্যই এক ম্যাচের জন্য মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিমকে ফিরিয়ে এনেছিল সিলেট। চোটের ঝুঁকি নিয়ে খেলেছেন নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও, যদিও ব্যাটিং-বোলিং কিছুই করেননি তিনি। তবে মাশরাফিকে ছাড়াই সিলেটের বোলিং আক্রমণ খুলনাকে আটকে দেয় ১১৩ রানেই। জাকির হাসানের ফিফটিতে ১৫ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই সেটি টপকে গেছে সিলেট। এই জয়ের পর পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষ দুইয়ে থাকাও নিশ্চিত করল সিলেট।
মোটামুটি ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অবশ্য শুরুতে হোঁচট খেয়েছিল সিলেট। ছন্দে থাকা দুই ওপেনার তৌহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেনকে তৃতীয় ওভারেই হারিয়ে ফেলে তারা। তবে মন্থর উইকেটে ছোট রানের ম্যাচটা জটিল হতে দেয়নি জাকির হাসান ও মুশফিকুর রহিমের জুটি। দুজন মিলে ৮০ বলে ৯০ রান যোগ করেন। ৩ বলের মধ্যে দুজন ফিরলেও সিলেটের সমস্যা হয়নি।
জাকির বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে ৪৬ বল খেলে ৫০ রান করে আউট হন। ৫টি চার ও ১টি বিশাল ছক্কা ছিল এই বাঁহাতির ইনিংসে। রানআউট হওয়ার আগে মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৫ বলে ৩৯ রান। ৪টি চার ছিল মুশফিকের ইনিংসে।
এর আগে আগে ব্যাটিং করা খুলনা ভুগেছে বড় জুটির অভাবেই। চোটের কারণে তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে ধরে খেলার দায়িত্বটা অন্যরা ঠিকমতো পালন করতে পারেননি। মুনিম শাহরিয়ার, অ্যান্ড্রু বলবার্নি, শাই হোপ—তিনজনই আউট হন দলীয় ২১ রানে। ইয়াসির আলীও সুবিধা করতে পারেননি।
ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই চারে নামা মাহমুদুল হাসান এসে হাল ধরেন। কিন্তু তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার মতো কেউ ছিল না। সাব্বির রহমান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। দুজনই থামেন ব্যক্তিগত ৬ রানে। এরপর সপ্তম উইকেটে নাহিদুল ইসলামের সঙ্গে ৩৬ রানের জুটি গড়েন মাহমুদুল। তাতে খুলনার রান ১০০ পার হয়। ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করা জয় ৪১ বলে ৪১ রান করেন। নাহিদুল ১৭ বলে করেছেন ২২ রান।
সিলেটের পেসার তানজিম হাসান ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন। তবে সিলেটের সেরা বোলার ছিলেন ইমাদ ওয়াসিম। ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়েছেন তিনি, উইকেট নিয়েছেন ২টি। পরে ম্যাচসেরার পুরস্কারও জেতেন এই পাকিস্তানি।