টেস্ট ক্রিকেট: কারও গলার হার, কারও ফাঁস হয়ে যেখানে দাঁড়িয়ে
৩ ডিসেম্বর, ২০২৪। জ্যামাইকার কিংস্টনে নাহিদ রানার ইয়র্কারে ভাঙল শামার জোসেফের স্টাম্প। বাংলাদেশ পেল ১০১ রানের জয়, অবসান হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ওয়েস্ট ইন্ডিজেরই মাটিতে হারানোর ১৫ বছরের অপেক্ষার। রানার বলে জোসেফের ওই বোল্ডের মুহূর্তটিই আবার বাংলাদেশের জন্য আরেক অপেক্ষার শুরু। পরের টেস্ট খেলতে নামার আগে ছুটিটা যে ছয় মাসেরও বেশি হয়ে যাবে!
লম্বা একটা ছুটি অবশ্য বাংলাদেশ টেস্ট দল চাইতেই পারে। ২১ আগস্ট থেকে ৩ ডিসেম্বর—এই ১০৪ দিনের মধ্যেই টানা ৮টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। মাঝে ছিল একটা টি–টোয়েন্টি সিরিজও। দুই দশকের টেস্ট ইতিহাসে বাংলাদেশ আর কখনো এত অল্প সময়ে এতগুলো টেস্ট খেলেনি। তবে বাংলাদেশের জন্য এমন টেস্ট–ব্যস্ততা নজিরবিহীন হলেও বিশ্ব ক্রিকেটে তা খুব নতুন কিছু নয়।
বাংলাদেশের বাইরের টেস্ট জগৎটাই বরং বড় এবং বলা যায় হাল আমলের টেস্টের মূল স্রোতোধারা। সেই ধারায় গুটিকয়েক দলই বেশি বেশি টেস্ট খেলে, সময়ের সেরা সব ক্রিকেটারের কীর্তি-অর্জন নিয়ে একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলে, টেস্টের বড় বড় সব রেকর্ডও ওই ভদ্রপল্লির দলগুলোর দখলে। আবার টেস্ট ক্রিকেট যে এখনো নিজের মাহাত্ম্য ধরে রাখতে পেরেছে, সেটাও মূলত ওই দেশগুলোর কল্যাণেই।
আরেকটি ধারায় আছে খেলার জন্য খেলা, নবীনতম দলগুলো খেলার সুযোগই খুব একটা না থাকা, ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টির জন্য খেলোয়াড় রেখে টেস্টকে ‘ফাস্ট ট্র্যাক’ থেকে থেকে পেছনে রাখা, গ্যালারিতে দর্শক–খরা, আর তরুণ ক্রিকেটারদের লম্বা দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে অনীহা বাড়তে থাকা।
আপাতদৃষ্টে বিপরীতধর্মী এই দুই ধারাকে সঙ্গে নিয়ে চলছে টেস্ট ক্রিকেট। কিন্তু সেটা আসলে কেমন? দেড় শ বছর পূর্তির দ্বারপ্রান্তে থাকা টেস্ট ক্রিকেট আসলে কোন পথে যাচ্ছে, সেটি বুঝতে বর্তমান অবস্থানটা দেখে নেওয়া যেতে পারে।
টেস্টের ফিফটি ছোঁয়ার বছর
আবির্ভাবের পর থেকে প্রায় এক শ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মানেই ছিল টেস্ট। পাঁচ দশক আগে এল ৫০ ওভারের ওয়ানডে আর বছর বিশেক আগে যুক্ত হয়েছে ২০ ওভারের টি-টোয়েন্টি।
ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে তিনটি সংস্করণ জায়গা করে নেওয়ার পর এবারই প্রথম ৫০টির বেশি টেস্ট হয়েছে। বক্সিং ডেতে শুরু মেলবোর্ন, সেঞ্চুরিয়ন ও বুলাওয়ের তিন ম্যাচসহ ২০২৪ সালে মোট টেস্টের সংখ্যা ৫৪। ইতিহাসেই যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (সর্বোচ্চ ৫৫টি করে টেস্ট হয়েছে ২০০১ ও ২০০২ সালে)।
২০০৫ সালে টি-টোয়েন্টির আবির্ভাবের পর এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি, ৪৮টি টেস্ট ম্যাচ হয়েছে ২০১৮ সালে। গত দুই দশকের মধ্যে এই প্রথম কোনো বছরে টেস্ট ম্যাচ হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছে। তা–ও এমন একটি বছরে, যখন ২০টি দল নিয়ে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েস্ট ইন্ডিজে। আর ৫৪টি টেস্টও হয়েছে/হচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যেই। বড় কারণ, মাঝে ছিল লম্বা বিরতি।
৯৬ দিনের বিরতি এবং …
এ বছরের ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে শেষ হয় বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। যা ছিল টেস্ট নম্বর ২৫৩৭। ২৫৩৮, অর্থাৎ, ঠিক পরের টেস্টটি শুরু হয় ১০ জুলাই ওভালে, ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে। দুই টেস্টের মাঝে ৯৬ দিনের দীর্ঘ বিরতির মূল কারণ ছিল জুনে আয়োজিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। শুধু বিশ্বকাপকেই কারণ বলাটা ঠিক হবে না।
এবারের আগেও তো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়েছে আটটি। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৪ দিন বিরতি ছিল ২০১৪ বিশ্বকাপের আগে-পরে। তবে সে বছর টেস্টের সংখ্যাও খুব বেশি ছিল না, মোটে ৪১টি। ২০১৬ আসরের সময় দুটি টেস্টের শেষ ও শুরুতে বিরতি ছিল ৮৪ দিন, সে বছরও মোট টেস্ট এবারের চেয়ে ৭টি কম ছিল। ওয়ানডে বিশ্বকাপের বছরে তিন-চার মাসের টেস্ট বিরতি অবশ্য স্বাভাবিকই হয়ে উঠেছে এত দিনে। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে-পরে মিলিয়ে টেস্ট হয়নি ১২৭ দিন, যা এযাবৎকালের রেকর্ড (২০২৩ বিশ্বকাপের বছরে ১১৯ দিন)।
তবু চলতি বছরের টেস্ট-বিরতি তাৎপর্যপূর্ণ হওয়ার কারণ, এর কোনো বছরেই টেস্টের সংখ্যা এত বেশি ছিল না। যতটা এবার।
‘আমি হয়তো কখনোই ৫০তম টেস্ট খেলতে পারব না। ওই পর্যন্ত যেতে হলে আমার আরও সাত বছর লাগবে। অথচ কয়েকটি দেশ আগামী কয়েক মাসেই ২০টি টেস্ট খেলে ফেলবে।’দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার আনরিখ নর্কিয়া
কারা খেলছে এত টেস্ট
এ বছর সবচেয়ে বেশি ১৭টি টেস্ট খেলছে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫টি ভারত। বছরের প্রথম দিকেই এই দুই দল নিজেদের মধ্যে পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলেছে। শেষ দিকে এসে আরেকটি পাঁচ টেস্টের সিরিজে ব্যস্ত ভারত, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। ইদানীং পাঁচ টেস্টের সিরিজ মানেই ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া এই তিন দলের সংশ্লিষ্টতা।
এ বছরের আগের পাঁচ পঞ্জিকাবর্ষে চার অথবা পাঁচ টেস্টের সিরিজ হয়েছে মোট ৮টি। এর মধ্যে সাতটিতেই ছিল ‘বিগ থ্রি’ নামে পরিচিত ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। অন্যটিতে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা (২০১৯-২০ মৌসুমে)। শুধু গত পাঁচ বছরেই নয়, বিগ থ্রি বেশি ম্যাচ খেলছে দুই দশক ধরেই। কতটা বেশি, তা আরও বোঝা যাবে একটি পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে।
এ বছরের ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের সময় শততম টেস্টের মাইলফলক ছুঁয়েছেন ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস ও জনি বেয়ারস্টো, সঙ্গে ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। অশ্বিনের টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু ২০১১ সালে, পরের বছর বেয়ারস্টোর, আর এর পরের বছর স্টোকসের। অথচ ২০০৫ সালে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষিক্ত মুশফিকুর রহিমের টেস্টসংখ্যা সবে নব্বইয়ের ঘরে পৌঁছেছে (৯৪)। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২০১১ সালে শুরু করা ক্রেইগ ব্র্যাফেটের টেস্ট ৯৬টি। অথচ ২০১২ সালে টেস্ট খেলা শুরু করা জো রুটের টেস্টসংখ্যা এখন ১৫২।
অন্য দেশের খেলোয়াড়দের জন্য বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ না পাওয়া যে কতটা কষ্টের, সেটা গত বছর আনরিখ নর্কিয়ার এক মন্তব্য থেকে বুঝে নেওয়া যেতে পারে। ২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টেস্ট আঙিনায় পা রাখা এই পেসার খুব আক্ষেপ নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি হয়তো কখনোই ৫০তম টেস্ট খেলতে পারব না। ওই পর্যন্ত যেতে হলে আমার আরও সাত বছর লাগবে। অথচ কয়েকটি দেশ আগামী কয়েক মাসেই ২০টি টেস্ট খেলে ফেলবে।’
ছয় বছর আগে টেস্ট অভিষিক্ত নর্কিয়া এখন পর্যন্ত খেলেছেন মাত্র ১৯টি। এত কম টেস্ট খেলার একটা কারণ চোট, আরেকটা কারণ দক্ষিণ আফ্রিকা খেলেই কম। যেমন পুরো ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট খেলেছে মাত্র ৪টি, এ বছর ৯টি।
আইসিসির সর্বশেষ ভবিষ্যৎ সফরসূচি (এফটিপি) বলছে, ২০২৩-২৭ সময়ের মধ্যে ১২টি পূর্ণ সদস্যদেশ মোট ১৭৩টি টেস্ট খেলবে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৩টি খেলবে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ৪০টি আর ভারত ৩৮টি। নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সংখ্যাটা বাড়ানোর সুযোগ তো আছেই। আর দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলগুলোর টেস্ট ত্রিশেরও নিচে। এসব দলের খেলোয়াড়দের আক্ষেপের জায়গা তাই কমার জায়গা নেই, বাড়ার আছে।
আক্ষেপের নাম অর্থ
টেস্ট ক্রিকেটকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার উদ্যোগ হিসেবে এই সংস্করণের ক্রিকেটারদের বেশি ম্যাচ ফি দিয়ে থাকে বোর্ডগুলো। তবে বোর্ডের আয় সবচেয়ে কম এ খাত থেকেই। আইসিসি থেকে প্রাপ্যের বাইরে বোর্ডগুলোর আয়ের বড় অংশ আসে টিভি স্বত্ব বিক্রি ও পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে।
এ দুটি খাত থেকে অর্থ আসার পরিমাণও নির্ভর করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির ওপর। যেসব দল টেস্ট ক্রিকেটে ভালো নয়, তাদের মিডিয়া রাইটস থেকে অর্থ পেতে কষ্ট হয় বেশি। যেমন বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
২০২১ সালে ফোর্বসকে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের চেয়ারম্যান তাভেংগুয়া মুকুহলানি বলেছিলেন, ‘একটা টেস্ট সিরিজ আয়োজন করলে আমাদের ৩ থেকে ৪ লাখ ডলার ক্ষতি হয়। আমাদের এত খরচের সামর্থ্য নেই। ক্রিকেট খেলাটির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে টেস্ট। কিন্তু আমাদের মতো দেশের জন্য এখানে গুরুতর আর্থিক প্রতিবন্ধকতা আছে।’
গত বছর আইসিসি বিশ্বকাপ চলার মধ্যেই ২০২২-২৩ অর্থবছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। সংস্থাটি জানায়, একই সময়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করার পরও লোকসান হয়েছে ১৬.৯ মিলিয়ন ডলার।
এ বছরের শুরুর দিকের যুক্তরাজ্যের টেলিগ্রাফের এক খবরে বলা হয়, ২০২১-২৩ সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের মাটিতে সিরিজ আয়োজন করে ১ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড লোকসান গুনেছে। এ সময় আয়োজন করা সিরিজগুলোর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার যা আয়, তা শুধু বিগ থ্রিকে আতিথেয়তা দিয়ে। যার মানে, লোকসানের বড় অংশ অন্যদের বিপক্ষে টেস্ট আয়োজন করতে গিয়েই হয়েছে।
ড্রয়ের দিন শেষ
অ্যাডলফ হিটলারের নামে একটা মিথ চালু আছে। সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর নাকি একবার টানা সাত দিন ধরে চলা একটা ক্রিকেট ম্যাচ (তখন টাইমলেস টেস্টের সময়) দেখতে দেখতে ত্যক্তবিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন। এক সপ্তাহেও কোনো ফল হতে না দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে জার্মানিতে ক্রিকেটই নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন। এ গল্পের সত্যতা নিয়ে নানা মত আছে। তবে মূল ভাবটি একেবারে বাস্তবতাবিবর্জিত নয়। কারণ, টেস্ট তখন ফলহীনই থাকত বেশির ভাগ সময়।
হিটলারের সময়ের সেই টেস্ট ক্রিকেট অনেকটাই বদলে গেছে। এখন টেস্টে ফল হয় নিয়মিত, ড্র হয় কদাচিৎ। ২০২০ সালের ২২ টেস্টের মধ্যে যেমন ড্র হয়েছে মাত্র ৩টি। পরের বছরে ৪৪ টেস্টে সংখ্যাটা ৭। ২০২২ সালের ৪৩ টেস্টেও ৭ আর ২০২৩ সালের ৩৪ টেস্টে ড্র ৬টি। তবে ২০২৪ সাল অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেচুরে দিয়েছে।
ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত হওয়া ৫১ টেস্টের মধ্যে ড্র হয়েছে মাত্র দুটি, একটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত। ফল হয়েছে বাকি ৪৮টিতেই। আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-দক্ষিণ আফ্রিকার পোর্ট অব স্পেন টেস্টের আগে বছরের শুরু থেকে টানা ২১টি ম্যাচেই ফল দেখেছে। সেটিও ড্র হতো কি না সন্দেহ, যদি বৃষ্টির কারণে ১৪২ ওভারের খেলা পণ্ড না হতো। ডিসেম্বরে ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়া-ভারত ম্যাচ ড্র হওয়ার কারণও সেই বৃষ্টিই।
এর মধ্যেও একটা রেকর্ড হয়ে গেছে। টেস্ট ইতিহাস বলছে, আর কোনো বছরের শুরুতে এবারের মতো এত বেশি টানা টেস্ট ফল দেখেনি। সর্বোচ্চ ১৪ টেস্টে ফল হয়েছে ২০০২ সালের শুরুতে।
টেস্ট ক্রিকেটে ড্রয়ের দিন যে প্রায় শেষ, সেটি বুঝতে এখন থেকে এক দশক করে পেছনে ফিরেও দেখা যেতে পারে। ২০১৪ সালে ৪১ টেস্টের মধ্যে ড্র হয়েছিল ৮টি, অর্থাৎ, ১৯.৫১ শতাংশ। ২০০৪ সালে ৫১ টেস্টে ড্র ছিল ১১টি, শতাংশের হারে ২১.৫৬। ১৯৯৪ সালে ৩৯ টেস্টের ১২টি (৩০.৭৬%)। ১৯৮৪ সালে ৩৩ টেস্টেই ১৩ (৩৯.৩৯%)।
টেস্টের ফল হওয়াটা ইতিবাচক। বেশি বেশি টেস্ট ম্যাচও। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট অল্প কয়েকটি দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যাওয়া, দর্শক কমে যাওয়া, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া আর ক্রিকেটারদের এই সংস্করণের প্রতি অনীহা বেড়ে যাওয়া মিলিয়ে টেস্ট ক্রিকেট ঘিরে এখনো নেতিবাচকতার উপাদানই বেশি।
যে সংস্করণে এত এত প্রতিকূল দিক, সেটার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়াই হয়তো স্বাভাবিক। এরপরও টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে নীতিনির্ধারকদের ভালোবাসার কমতি নেই। সাবেক তো বটেই, হাল আমলের অনেক ক্রিকেটারও টেস্টকে বাঁচিয়ে রাখা দরকার বলে প্রায়ই আওয়াজ তুলে থাকেন। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট কি আসরেই বাঁচিয়ে রাখা দরকার? কেন বাঁচিয়ে রাখতে হবে?
দ্বিতীয় পর্বে পড়ুন: টেস্ট ক্রিকেট বাঁচিয়ে রেখে কী লাভ