শুধু আফগানিস্তান নয়, বাংলাদেশের স্পিনারদের নিয়েও ভাবছে অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ার অনুশীলনে স্টিভ স্মিথছবি: এএফপি

এবার বিশ্বকাপ কেমন হচ্ছে? একপেশে ম্যাচই বেশি। হার–জিতের ব্যবধানটা প্রকট। গতকালও যেমন ভারতের ৩২৬ তাড়া করতে নেমে ২৪৩ রানে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারত–শ্রীলঙ্কা ম্যাচে ভারত জিতেছে ৩০২ রানে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩০৯ রানে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। উইকেট ও বলের ব্যবধানে জয়েও ব্যবধান স্পষ্ট। দম আটকানো ম্যাচ হচ্ছে খুব কম।

আরও পড়ুন

এবার বিশ্বকাপে রানের হিসাবে ১৩০ বা এর চেয়ে বেশি রানের ব্যবধানে জয় আছে ৯টি। ন্যূনতম ৬ উইকেটের ব্যবধানে (বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগপর্যন্ত) জয় আছে ১২টি। এমন বিশ্বকাপ কেমন লাগছে স্টিভ স্মিথের? ৫০ সংস্করণের ক্রিকেটের বেঁচে থাকার জন্য এমন ম্যাচ কতটা কার্যকর? আর বড় ব্যবধানের এসব জয়কে স্মিথ কোন চোখে দেখছেন? বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে কম ওয়ানডে খেলা নিয়েও কথা বলেছেন স্মিথ।

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আজ আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া। তার আগে গতকাল ওয়াংখেড়েতে সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রশ্ন করা হয়েছিল স্মিথকে। অস্ট্রেলিয়ার তারকা ব্যাটসম্যানকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার রানের হিসাবে সর্বোচ্চ ব্যবধানের দুটি জয় নেদারল্যান্ডস ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়টি ডাচদের বিপক্ষে, যেটির কথা বলা হয়েছে আগেই। ২০১৫ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানকে ২৭৫ রানে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, যেটি তাদের ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়।

ওয়াংখেড়ে সংবাদ সম্মেলনে স্টিভ স্মিথ
ছবি: আইসিসি

স্মিথের কাছে এসব নিয়ে জানতে চাওয়ার পর তিনি নিজের খেলার মধ্যেই থাকলেন, ‘সত্যি বলতে, ব্যবধানগুলো নিয়ে খুব বেশি ভাবিনি। শুধু ম্যাচগুলো নিয়েই ভেবেছি। হ্যাঁ, আমরা বড় কিছু জয় পেয়েছি, যেটা আমাদের জন্য ভালোই। মাঝের ওভারগুলোয় কেমন করি, সেটাতেই সব মনোযোগ আমাদের। আফগানিস্তান বিপজ্জনক দল। আমরা তাদের হালকাভাবে নিচ্ছি না।’

আরও পড়ুন

এরপরই আফগানিস্তান প্রসঙ্গে উঠে এল বাংলাদেশ। এ দুটি দলের বিপক্ষে খুব বেশি ওয়ানডে খেলেনি অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ ২০১৯ বিশ্বকাপে ওয়ানডে খেলেছে তারা, যেটা ছিল ২১তম। আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলেছে আরও কম—মাত্র ৩ ম্যাচ। ২০১৯ বিশ্বকাপে সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। আজ আফগানিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার পর প্রথম পর্বে অস্ট্রেলিয়া শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। পুনেতে সেই প্রস্তুতির দৃষ্টিকোণ থেকে এমন দুটি দলের বিপক্ষে কম খেলাটা কতটা প্রভাব রাখে?

স্মিথ ব্যাখ্যা করেন, ‘দুই দলেই দারুণ কিছু স্পিনার আছে। মাঝের ওভারগুলোয় স্পিনারদের বড় প্রভাব থাকে এবং আমরা এটাও জানি বিশ্বকাপে মাঝের ওভারগুলোর ব্যাটিং খুব তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠবে। ইনিংস গড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। তাই এসব ম্যাচেও (প্রস্তুতিটা) আলাদা কিছু হবে না, আর সেটা ভালো স্পিনারদের বিপক্ষে।’