৫৭ ওয়াইডে ৯১ রান—এ যেন ওয়াইডের ‘বাদশাহ’
শ্রীলঙ্কা দলে মাতিশা পাতিরানার কাজটা কী? স্লিঙ্গিং অ্যাকশনে ব্যাটসম্যানকে চমকে দিয়ে উইকেট নেবেন, এক প্রান্তে ব্যাটসম্যানদের আটকে রাখবেন। ২০ বছর বয়সী পাতিরানা যেন করছেন এর উল্টোটা।
ব্যাটসম্যানদের এক প্রান্তে আটকে রাখবেন কী, পাতিরানা তো নিজের লাইন-লেংথই ঠিক রাখতে পারছেন না। একের পর এক অতিরিক্ত রান দিয়ে ব্যাটসম্যানদের চাপ আরও কমিয়ে দিচ্ছেন। একটি পরিসংখ্যান দিলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।
পাতিরানার ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে এ বছরের ২ জুন। এরপর এই পেসার খেলেছেন ১২টি ওয়ানডে। এই ১২ ম্যাচে পাতিরানা ওয়াইড দিয়েছেন ৫৭টি। অর্থাৎ ম্যাচপ্রতি প্রায় ৫টি ওয়াইড দিচ্ছেন এই পেসার। জুন থেকে এখন পর্যন্ত তাঁর চেয়ে বেশি ওয়াইড দেননি আর কোনো বোলার। এই সময়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওয়াইড দিয়েছেন যিনি, সেই আলজারি জোসেফও পাতিরানার চেয়ে অনেক পিছিয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার জোসেফ ৭ ম্যাচে ওয়াইড দিয়েছেন ২২টি।
তালিকায় পরের দুটি নাম আফগানিস্তানের বোলারদের। এই সময়ে ১২ ইনিংসে আফগান পেসার ফজলহক ফারুকি ওয়াইড দিয়েছেন ২১টি। সমান ম্যাচে একই পরিমাণ ওয়াইড দিয়েছেন মুজিব উর রেহমান। পাকিস্তানের পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ১০ ম্যাচে ওয়াইড দিয়েছেন ২১টি।
ওয়াইডের ‘বাদশাহ’ বনে যাওয়া পাতিরানার দিশাহীন বল এতটাই বাইরে থেকে যায় যে কিপার ধরতে পারেন না। বিশ্বকাপে সর্বশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে এমন ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার। আর এ ঘটনা পাকিস্তান ম্যাচেই প্রথম হয়নি; জুনের পর পাতিরানার করা ৫৭ ওয়াইড থেকে রান এসেছে ৯১। এই খরচের তালিকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মুজিব, তাঁর খরচ ৩৪ রান। বাকি তিন বোলারের কেউই ৩০ রানের ঘরে পৌঁছাননি। পাতিরানার দিশাহীন বোলিংয়ের কারণে শ্রীলঙ্কাকে চড়া মাশুল দিতে হচ্ছে।
শ্রীলঙ্কা এরই মধ্যে বিশ্বকাপে তাদের প্রথম দুটি ম্যাচে হেরেছে। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১০২ রানে হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৪৪ করেও হেরেছে। সোমবার বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলবে শ্রীলঙ্কা। সেই ম্যাচে মাঠে নামার আগে ‘পাতিরানা সমস্যা’র সমাধান করতে হবে লঙ্কান টিম ম্যানেজমেন্টকে।