শেষ ৫ ওভারের বোলিং নিয়ে আক্ষেপ নাজমুলের
প্রতিপক্ষ হিসেবে জিম্বাবুয়ে যেমন–ই হোক, মাঠের খেলায় লড়াইটা স্পষ্ট—শেষ ওভারে ২১ রানের সমীকরণ মেলাতে গিয়ে চট্টগ্রামে আজ তৃতীয় টি–টোয়েন্টিতে ৯ রানে হেরেছে সফরকারী দল।
বাংলাদেশের ১৬৫ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ১০ ওভারে ৬৫ রানে ৪ উইকেট হারানোর পরও অলআউট না হয়ে ম্যাচটা তারা টেনে নিয়ে গেছে শেষ ওভার পর্যন্ত। চাইলে হিসাবটা আরেকটু ছোট করা যায়। হাতে ২ উইকেট রেখে জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে ৩৬ রান দরকার ছিল জিম্বাবুয়ের। এখান থেকে মাত্র ৯ রানের হারে একটি ব্যাপার পরিষ্কার—ক্রিজে জিম্বাবুয়ের স্বীকৃত কোনো ব্যাটসম্যান থাকলে ফলটা উল্টোও হতে পারত।
বাংলাদেশ দল শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা জিতে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলল। ১০ ও ১২ মে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হবে শেষ দুটি ম্যাচ। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন জানান, ম্যাচের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়েরা যেভাবে ভূমিকা রেখেছেন, তাতে তিনি সন্তুষ্ট, ‘খেলোয়াড়েরা নিজেদের খেলাটাই খেলেছে। বিশেষ করে হৃদয় ও জাকের মাঝপথে যেভাবে ব্যাট করেছে, সেটা ভালো লেগেছে।’
২ ছক্কা ও ৩ চারে ৩৮ বলে ৫৭ রান করে ম্যাচসেরা হৃদয়। চতুর্থ উইকেটে জাকের আলীর সঙ্গে ৫৮ বলে তুলেছেন ৮৭ রান। আর এই জুটিও এসেছে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে—৯ ওভারে বাংলাদেশ ৬০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর। তবে ডেথ ওভারে বোলিং নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট হতে পারেননি নাজমুল।
১৩ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ৭৮। এখান থেকে শেষ ৭ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৭৮ রান তুলেছে জিম্বাবুয়ে, অর্থাৎ এ সময় ওভারপ্রতি গড়ে ১১.১৪ রান তুলেছে তারা। ১৪তম ওভারে তানভীর ১ উইকেট পেলেও দিয়েছেন ১৩ রান, ১৫তম ওভারে রিশাদ ১৬ রান দিয়েছেন, উইকেট ১টি। ১৭তম ওভারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন দিয়েছেন ১৮ রান। ছিল তিনটি ওয়াইড ও একটি নো বলও! শেষ ওভারেও রান দিয়েছেন সাইফউদ্দিন—১১ রান, উইকেট ১টি। শেষ ৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান তুলেছে জিম্বাবুয়ের লোয়ার অর্ডার।
সব মিলিয়ে ব্যাপারটা বাংলাদেশের জন্য একটু দুশ্চিন্তারই। নাজমুলও স্বীকার করলেন তা, ‘নিজেদের পরিকল্পনা কাজে লাগাতে হবে। আমরা ভালো বোলিং করিনি, বিশেষ করে শেষ পাঁচ ওভারে। এ জায়গায় আমাদের উন্নতি করতে হবে। আশা করি, সামনের ম্যাচে আরও ভালো করতে পারব।’
দ্রুত উইকেট পড়ায় পঞ্চম ওভারে ব্যাটিংয়ে নামেন হৃদয়। ১০ বলে ১০ রান করে শুরুতে একটু মন্থর থাকলেও পরে পুষিয়ে দেন। ১৫০ স্ট্রাইক রেটে ৫৭ রান করা হৃদয় ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘নিজের পরিকল্পনাটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। উইকেট আজ একটু মন্থর ছিল। সে জন্য আমরা একটু সময় নিয়েছি। সঙ্গীকেও (অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যান) সেটাই বলেছি, আগে সেট হয়ে নিই, তারপর পরিকল্পনা কাজে লাগানো যাবে।’