সাকিব-তামিম না থাকায় খুশি নিউজিল্যান্ড কোচ রনকি
সাকিব আল হাসান নেই, নেই তামিম ইকবালও। এ দুজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে ছাড়াই বাংলাদেশ দল ঘরের মাঠে ২৮ নভেম্বর থেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলতে যাচ্ছে। এই দুজন অবশ্য দুই দলের শেষ টেস্ট সিরিজেও ছিলেন না। এরপরও ২০২২ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ দল নিউজিল্যান্ডকে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে হারায়। অবশ্য সেই টেস্টজয়ী দলের অন্যতম দুই সদস্য তাসকিন আহমেদ ও ইবাদত হোসেনকেও চোটের কারণে এবারের সিরিজে পাচ্ছে না বাংলাদেশ দল।
নিউজিল্যান্ডের জন্য স্বাভাবিকভাবেই সেটি একটু স্বস্তির। দলটির কোচ লুক রনকিও সেটি লুকালেন না। আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনে তাঁকে বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞদের না থাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে তিনি বলেন, ‘ওরা অভিজ্ঞ, অনেক ক্রিকেট খেলেছে বাংলাদেশের হয়ে। ওদের না থাকা দর্শকদের জন্য নিশ্চয়ই হতাশার। আমাদের জন্য অবশ্যই ভালো। ওরা থাকলে ওদের বিপক্ষে খেলার চ্যালেঞ্জটা নিতে হতো। সেটা নিতে হচ্ছে না।’
তাসকিন-ইবাদতরা না থাকায় দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজের ওপর অনেকটাই নির্ভর করবে বাংলাদেশ দলের বোলিং আক্রমণ। রনকিও তেমনই মনে করেন, ‘এটি তাদের ঘরের মাঠ। ওরা কন্ডিশন খুব ভালো চেনে এবং দেশে খুব ভালো খেলে। আমাদের এটি নিশ্চিত করতে হবে যেন তাদের ব্যাটসম্যানরা সহজে রান করতে না পারে এবং বোলারদের উইকেটের জন্য সংগ্রাম করতে হয়। দুই দলেরই স্পিন ও পেস বিভাগের মান বেশ ভালো। তো এসব দিক থেকেই চ্যালেঞ্জ আসবে। এমন আক্রমণের বিপক্ষে কেমন খেলে, সেটিই দেখার।’
নিউজিল্যান্ডও স্পিন শক্তিতে পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশ সফরের জন্য ঘোষিত কিউইদের ১৫ সদস্যের দলে স্পিনার আছেন পাঁচজন। লড়াইটা দুই দলের স্পিনে এসে ঠেকবে, সেটা বলাই যায়। রনকিও দ্বিমত পোষণ করলেন না, ‘হ্যাঁ! আমি মনে করি, বাংলাদেশে এটিই (স্পিনারদের লড়াই) ক্রিকেটের ধরন। স্পিনারদের অনেক সম্পৃক্ততা থাকে। এখানকার উইকেটে খুব বেশি গতি দেখা যায় না। তো আমরা সেভাবেই অনুশীলন সাজিয়েছি। উইকেটে আমরা বাউন্সে তারতম্য ও কিছুটা টার্নের আশা করছি। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কেমন হয়!’
ভিন্ন সংস্করণে হলেও গত কয়েক মাস উপমহাদেশে থাকায় বাংলাদেশের কন্ডিশনের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের মানিয়ে নেওয়া তুলনামূলক সহজ হওয়ার কথা। রনকিরও তেমন আশা, ‘এটি আমাদের সাহায্য করবে। আমরা যদি সরাসরি নিউজিল্যান্ডের সবুজ উইকেট থেকে এখানে খেলতে আসতাম, তাহলে পরিবর্তনটা অনেক বড় থাকত। তবে এখন দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটার ভারতে বিশ্বকাপে বিভিন্ন ধরনের উইকেটে খেলেছে, যেগুলো মন্থর ও স্পিন–সহায়ক ছিল। আশা করছি, এটি আমাদের সহায়তা করবে।’