শ্রীলঙ্কার সমালোচনা করতে বাংলাদেশের সমর্থকদের টানলেন রমিজ
এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ৫০ রানে অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা। সেই ধাক্কা থেকে শিক্ষা নিয়ে বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিল দলটি। কিন্তু এশিয়া কাপের সেই দুঃস্মৃতিরই পুনরাবৃত্তি হলো যেন গতকাল মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। এবার ভারতের দেওয়া ৩৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কা গুঁড়িয়ে যায় মাত্র ৫৫ রানে। এমন পারফরম্যান্সের কারণে এখন বেশ সমালোচনার মুখে আছে দলটি।
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রমিজ রাজাও শ্রীলঙ্কার এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সের সমালোচনা করেছেন। এ সময় তিনি কথা প্রসঙ্গে বাংলাদেশের সমর্থকদেরও টেনেছেন। রমিজের মতে, শ্রীলঙ্কা যদি এভাবে অল্প রানে অলআউট হতে থাকে তবে তাদের কোনো দর্শক অবশিষ্ট থাকবে না। কারণ, শ্রীলঙ্কার সমর্থকেরা বাংলাদেশের সমর্থকদের মতো নন। মূলত দলের পারফরম্যান্স যেমনই হোক, বাংলাদেশের সমর্থকদের ক্রিকেট নিয়ে পাগলামিকেই ইঙ্গিত করেছেন রমিজ।
ভারতের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে ৫০ ও ৫৫ রানে শ্রীলঙ্কার আউট হওয়া নিয়ে রমিজ বলেছেন, ‘দেখুন, ভারতের প্রশংসা যতই করেন, সেটা কম হবে। কিন্তু শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে কী বলবেন? দুবার তারা ভারতের বিপক্ষে ৫০ রানে অলআউট হলো। তাদের মৌলিক জায়গাগুলোয় অনেক জোর দেওয়া উচিত। মৌলিক বিষয়ের কথা বললে নিজেদের দেশে খেলার প্রক্রিয়া, ঘরোয়া ক্রিকেট, উইকেট, খেলোয়াড়দের মান, কাকে খেলানো দরকার এবং কাকে খেলানোর দরকার নেই, এগুলো নিয়ে ভাবা উচিত। এমনকি চোট নিয়েও ভাবতে হবে। হাসারাঙ্গা (ওয়ানিন্দু) থাকলে এমন অবস্থায় হয়তো পড়তে হতো না। হারার পর তারা কতটা সে আঘাত বোধ করে, সেসব নিয়েও ভাবতে হবে।’
এমন বাজে ক্রিকেট খেললে দর্শকেরাও আর পাশে থাকবেন না বলে মন্তব্য করেছেন রমিজ, ‘এভাবে যদি তারা খেলতে থাকে এবং নিয়মিত ৫০ রানে অলআউট হতে থাকে তবে শ্রীলঙ্কার কোনো সমর্থক আর থাকবে না। তারা কিন্তু বাংলাদেশের সমর্থকদের মতো নয়। দ্বিতীয়ত ওদের কেউ আর গুনবে না। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে বিশ্বকাপে এমন অবস্থার কারণে সম্মানে আঘাত লাগে।’
শ্রীলঙ্কার এমন দুরবস্থা বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য অশনি সংকেত উল্লেখ করে রমিজ বলেছেন, ‘তাদের এমন অবস্থা যে ম্যাথুসকে দলে ডাকতে হলো। এই বয়সে তার মতো খেলোয়াড় অবসরে চলে যায়। হ্যাঁ, মরিয়া অবস্থায় তাকে দলে ডাকা হয়েছে, কিন্তু ব্যাটিং–বোলিং–ফিল্ডিং কোথাও তারা পাত্তা পায়নি। ফিল্ডিংয়ের অবস্থা দেখেন, শ্রীলঙ্কার ক্যাচ নেওয়ার হার সবার চেয়ে খারাপ। সবচেয়ে বেশি ক্যাচও ছেড়েছে তারা। তাই যখন চাপে পড়ে তখন তাদের তিনটি ডিপার্টমেন্টেরই ভুলত্রুটিগুলো সামনে আসে। এটা শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের জন্য এবং বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য ঠিক নয়।’