ছক্কাবাজ স্যামসন আর চোট থেকে ফেরা আর্চারে বাজি রাজস্থানের

কতদূর যেতে পারবে রাজস্থান রয়্যালস?রাজস্থান রয়্যালস
আরও একটি আইপিএল শুরু হচ্ছে ২২ মার্চ, আরও একবার বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি লিগের উন্মাদনায় মাতবে ক্রিকেট-বিশ্ব। ১০ দলের এই আসরে এবার শিরোপা জিতবে কারা? টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দলগুলোর শক্তি-দুর্বলতা বিশ্লেষণ করে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা...

রাজস্থান রয়্যালস

অধিনায়ক: সঞ্জু স্যামসন
কোচ: রাহুল দ্রাবিড়
শিরোপা: ১টি (২০০৮)
স্কোয়াড: ২০ জন
ভারতীয়: ১৪ জন
বিদেশি: ৬ জন

রিটেইনড (ধরে রাখা খেলোয়াড়): যশস্বী জয়সোয়াল, সঞ্জু স্যামসন, ধ্রুব জুরেল, রিয়ান পরাগ, শিমরন হেটমায়ার, সন্দীপ শর্মা
নিলামে ক্রয়: জফরা আর্চার, তুষার দেশপান্ডে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মহীশ তিকশানা, নীতীশ রানা, ফজলহক ফারুকি, কোয়েনা মাফাকা, আকাশ মাধওয়াল, বৈভব সূর্যবংশী, শুবম দুবে, যুধবীর সিং, কুমার কারিকেয়া, কুনাল রাঠোর, অশোক শর্মা।

শক্তি

● রাজস্থানের দলটি অনেকটাই অপরিবর্তিত। জস বাটলারকে ছাড়লেও সঞ্জু স্যামসন, যশস্বী জয়সোয়াল, শিমরন হেটমায়ার, রিয়ান পরাগ, ধ্রুব জুরেল ও সন্দীপ শর্মারা এবারও দলে আছেন। তাঁদের নিয়েই গত তিন আসরে একধরনের ধারাবাহিক সাফল্য পেয়েছে রাজস্থান। ২০২২ সালে ফাইনাল খেলার পর ২০২৩ সালে পঞ্চম, এরপর গত মৌসুমে তৃতীয় স্থানে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করে দলটি।

ওপেনিংয়ে একদিকে জয়সোয়াল, অন্যদিকে থাকবে স্যামসন
আইপিএল

● ওপেনিংয়ে একদিকে জয়সোয়াল, অন্যদিকে স্যামসন। মিডল অর্ডারে পরাগ ও জুরেল। সঙ্গে ক্যারিবীয় হার্ডহিটার হেটমায়ার। আর পুরো ব্যাটিং লাইনআপকে একসঙ্গে ধরে রাখার দায়িত্ব থাকবে এবার রাজস্থানে যোগ দেওয়া অভিজ্ঞ নীতীশ রানার। সব মিলিয়ে ভারসাম্যপূর্ণ ব্যাটিং লাইনআপই বলা যায় রাজস্থান রয়্যালসের।

● নিলামে কার্যকর সব ক্রিকেটারকেই দলে নিয়েছে রাজস্থান। শ্রীলঙ্কার দুই স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও মহীশ তিকশানাকে দলে নিয়েছে তারা। ইংলিশ পেসার জফরা আর্চার, আফগানিস্তানের বাঁহাতি পেসার ফজলহক ফারুকিকেও কিনেছে তারা। দেশি পেসার হিসেবে দলে নিয়েছে তুষার দেশপান্ডেকে, যিনি গত ২ আসরে চেন্নাইয়ের হয়ে উইকেট নিয়েছেন ৩৮টি।

চোটের কারণে এভাবে কোচিং করাতে হচ্ছে দ্রাবিড়কে
রাজস্থান রয়্যালস

● রাজস্থানে কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের ফেরা দলটিকে অনুপ্রাণিত করতে পারে। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী এই কোচ ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত রাজস্থানের হয়ে খেলেছেন। ২০১৪ সালে ছিলেন রাজস্থানের মেন্টর।

দুর্বলতা

● দলে হাসারাঙ্গা ছাড়া প্রতিষ্ঠিত কোনো অলরাউন্ডার নেই। চোটপ্রবণ এই ক্রিকেটার আবার চোটে পড়লে দলের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।

● আর্চারকে দলে নিতে ১২ কোটি ৫০ লাখ রুপি খরচ করেছে রাজস্থান। মানে বিশেষ পরিকল্পনাতেই আছেন আর্চার। চোট থেকে ফেরা আর্চার এখনো নিজের সেরা অবস্থায় ফিরতে পারেননি।

আইপিএল আর্চারকে ফিরতে হবে পুরোনো ছন্দে
ইনস্টাগ্রাম

● চোটের কারণে প্রথম তিন ম্যাচে নিয়মিত অধিনায়ক স্যামসন অধিনায়কত্ব করবেন না। নেতৃত্ব দেবেন পরাগ। টুর্নামেন্টের শুরুটা ভালো না হলে এর প্রভাব পড়তে পারে সামনেও।

● রাজস্থানের লোয়ার ব্যাটিং অর্ডার খুব একটা শক্তিশালী নয়। হয়তো আর্চারকে ব্যাটিং করতে হতে পারে ৮ নম্বরে। এই সমস্যার সমাধান হতে পারে ইমপ্যাক্ট সাব। সেটা করার মতো খেলোয়াড়ও তাদের আছে। বাঁহাতি শুবম দুবে সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফির সর্বশেষ দুই আসরে ১৮০–এর বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছেন।

প্রত্যাশা ও বাস্তবতা

গত তিন মৌসুম ধরেই একধরনের ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলছে রাজস্থান। এবার এর ফল হিসেবে শিরোপায় চোখ দিচ্ছে রাজস্থান। দলটির সেই লক্ষ্য পূরণের সামর্থ্যও আছে।