আফগানিস্তান মানেই যেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানের আসা–যাওয়ার মিছিল। চলমান ওয়ানডে সিরিজে তো বটেই, গত বছর একই ভেন্যুতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের খাবি খেতে দেখা গেছে। বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত সেই সিরিজ জিতেছে ঠিকই। কিন্তু আফগান বোলিংয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।
এই সিরিজেও ব্যতিক্রম কিছু হয়নি। বরং গতবারের চেয়ে এবারের পারফরম্যান্স আরও খারাপ হয়েছে। প্রথম ম্যাচে ৯ উইকেটে ১৬৩ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। আজ আফগানদের ৩৩১ রানের পেছনে ছুটতে গিয়ে বাংলাদেশ অলআউট ১৮৯ রানে। বারবার আফগানদের বিপক্ষেই কেন এমন ব্যাটিং–ধস, আজ ম্যাচ শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা মেহেদী হাসান মিরাজকে এ প্রশ্ন করা হয়।
উত্তরে মিরাজের ব্যাখ্যা, ‘আফগান বোলিংয়ের বিপক্ষে ভালো করতে টিম গেম খেলতে হবে। ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব নিতে হবে। বড় স্কোর করতে হবে। ওপরের ব্যাটসম্যানরা রান পেলে বড় স্কোর সহজ হয়। ব্যক্তিগতভাবে হয়তো ছোট ছোট ভুলে আউট হয়ে যাচ্ছি। পরপর দুটি উইকেট পড়ে যাচ্ছে। এ জন্য বড় জুটি হচ্ছে না।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ সর্বশেষ ৩০০ রান করেছে ২০২২ সালের সেই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে। সে ম্যাচে ওপেনার লিটন দাস ১৩৬ রান করেছিলেন ১২৬ বলে। সেই ইনিংসের সৌজন্যে বাংলাদেশ ৩০৬ রান করে। এরপর এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে ২০০ রানও করতে পারেনি বাংলাদেশ।
মিরাজকে অবশ্য এতে খুব একটা চিন্তিত মনে হয়নি, ‘দুর্ভাগ্যবশত একটা সিরিজ যদি খারাপ হয়, তাহলে আমরা খারাপ দল হয়ে যাচ্ছি না। আমাদের রেকর্ড অনেক ভালো। একটা খারাপ সিরিজ যেতেই পারে। আমরা বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইয়ে (ওয়ার্ল্ড কাপ সুপার লিগ) ভালো করেছি, অনেক ম্যাচ জিতেছি, সেখানে পয়েন্টের হিসাবে সেরা চারের মধ্যে আছি। গত তিন-চার বছর ভালো খেলেছি। এই দুটো ম্যাচে আমাদের যে ভুলগুলো হয়েছে, তা শুধরে সামনের বড় টুর্নামেন্ট খেলতে যাব।’
একটা জিনিস ভালো হয়েছে। আমাদের কিন্তু সুযোগ আছে এই সিরিজের সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করার, উন্নতি করার। যেহেতু এশিয়া কাপে ওদের বিপক্ষে খেলা আছে, বিশ্বকাপেও প্রথম ম্যাচ ওদের বিপক্ষে।
মিরাজ বড় টুর্নামেন্ট দিয়ে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের কথা বুঝিয়েছেন। যেখানে এই আফগানদের বিপক্ষেই খেলতে হবে বাংলাদেশকে। কিন্তু মিরাজ এই সিরিজ হারের মধ্যেও ইতিবাচকতা খুঁজে নিচ্ছেন, ‘একটা জিনিস ভালো হয়েছে। আমাদের কিন্তু সুযোগ আছে এই সিরিজের সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করার, উন্নতি করার। যেহেতু এশিয়া কাপে ওদের বিপক্ষে খেলা আছে, বিশ্বকাপেও প্রথম ম্যাচ ওদের বিপক্ষে।ব্যাটসম্যানদের কীভাবে রান করা উচিত, কীভাবে ওদের সামলানো উচিত, বোলারদের কীভাবে বল করা উচিত, এসব নিয়ে কাজ করা যাবে। এশিয়া কাপের দেড় মাস, বিশ্বকাপের তিন মাস বাকি। এই লম্বা সময়ের মধ্যে প্রত্যেকেই কাজ করতে পারব।’