চার সেঞ্চুরির পর চার শূন্য, যে অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডের সামনে বাটলার
বেশির ভাগ দিন এ ধরনের বলে বাউন্ডারিই তুলে নেওয়ার কথা তাঁর। বাকি যে গুটিকয় দিনে গড়বড় হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা, কাল ছিল তেমনই একদিন। ওয়েইন পারনেলের অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া শর্ট ডেলিভারিতে কভার পয়েন্টে সহজ ক্যাচ দিলেন জস বাটলার।
তবে আউটের ধরনের চেয়ে আউটের ধারাবাহিকতাই তাঁকে বেশি পোড়ানোর কথা। রাজস্থান রয়্যালসের ইংলিশ ওপেনার কাল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে আউট হয়েছেন ২ বলে ০ রানে। এবারের আইপিএলে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে আগের ম্যাচটিতেও ২ বলে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন তিনি।
বাটলারের জন্য চলতি আসরে শূন্য রানের আউটের ‘অভিজ্ঞতা’ অবশ্য এ দুটিতেই সীমাবদ্ধ নয়। গুজরাট টাইটানস আর কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষেও ‘ডাক’ নিয়ে ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। সব মিলিয়ে এক মৌসুমে চারবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন বাটলার।
আইপিএল ইতিহাসে এক আসরে চারটি শূন্যই সর্বোচ্চ। অনাকাঙ্ক্ষিত এই রেকর্ডে বাটলারের সঙ্গী আছেন আরও ছয়জন, যার মধ্যে ইংল্যান্ড অধিনায়ক হিসেবে বাটলার যাঁর উত্তরসূরী, সেই এউইন মরগানও আছেন।
২০২১ আসরে কলকাতায় খেলার সময় চার ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। একই বছর সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে চারটি ‘ডাক’ পেয়েছিলেন ক্যারিবীয় ক্রিকেটার নিকোলাস পুরান।
বিদেশিদের মধ্যে প্রথম ৪ শূন্য দেখা ব্যাটসম্যান হার্শেল গিবস। সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান বিব্রতকর এই রেকর্ডে নাম লেখানো প্রথম ক্রিকেটারও বটে, যেটি হয়েছিল ২০০৯ আসরে দিল্লির হয়ে।
এক আসরে চারবার শূন্য রানে আউট হওয়া অন্য তিন ব্যাটসম্যান ভারতীয়—মিথুন মানহাস (২০১১, পুনে ওয়ারিয়র্স), মনীশ পান্ডে (২০১২, পুনে ওয়ারিয়র্স) ও শিখর ধাওয়ান (২০২০, দিল্লি)।
চারটি ডাক মারায় প্রথম ছয়জনের তুলনায় বাটলার এখন বাড়তি ঝুঁকিতে। বাকিদের শূন্যের দৌড় আসর শেষের সঙ্গে থেমে গেছে। কিন্তু বাটলারের দলের খেলা এখনো কমপক্ষে ১ ম্যাচ বাকি আছে। রাজস্থান প্লে-অফে জায়গা করলে যা আরও বাড়বে।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে এক আসরে সবচেয়ে বেশি পাঁচবার আউট হওয়ার রেকর্ড আছে। ২০২১ বিগ ব্যাশে ব্রিজবেন হিটের হয়ে মুজিব-উর-রেহমান আর একই বছরের ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন টি-টোয়েন্টি লিগে মোহামেডানের হয়ে নাদিফ চৌধুরীর নাম আছে সেই ‘রেকর্ডে’।
মুজিব-নাদিফের অস্বস্তিকর রেকর্ডে সঙ্গী হতে মাত্র একটি ইনিংসই বাকি বাটলারের। অথচ এই বাটলার আইপিএলে খেলা আগের পাঁচ আসরে একবারই মাত্র শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। আর সবশেষ আসরে তো সেঞ্চুরিই করেছিলেন চারটি, যা স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে এক আসরে সর্বোচ্চও বটে।
চার সেঞ্চুরির পর চার শূন্য। টানা দুই আসরে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ দেখা বাটলারের সামনে এখন মুজিব-নাদিফের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডে সঙ্গী হয়ে যাওয়ার শঙ্কা!