কারস্টেন ও গিলেস্পিই পাকিস্তানের নতুন কোচ
বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল। পাকিস্তানের কোচ হতে যাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ওপেনার গ্যারি কারস্টেন এবং অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার জেসন গিলেস্পি। অবশেষে সেই গুঞ্জনই সত্যি হয়েছে। পাকিস্তানের সাদা বলের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কারস্টেন।
আর লাল বলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন গিলেস্পি। সব সংস্করণেই পাকিস্তানের সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক অলরাউন্ডার আজহার মেহমুদ। আজ সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়টি জানিয়েছেন পিসিবি প্রধান মহসিন নাকভি। আজহার মেহমুদ বর্তমানে দলটির অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পালন করছেন।
২২ মে থেকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। সেই সিরিজ থেকেই পাকিস্তানের দায়িত্ব নিতে পারেন কারস্টেন। সিরিজের শেষ ম্যাচ ৩০ মে, এরপরই পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপ খেলতে যাবে। গিলেস্পির প্রথম সিরিজ হতে যাচ্ছে আগস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে।
লাহোরে সংবাদ সম্মেলনে নতুন নিয়োগ প্রসঙ্গে পিসিবি প্রধান বলেছেন, ‘পাকিস্তান ক্রিকেট পরিবারে তাদের স্বাগত জানাই। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দুই জায়গাতেই জেসনের কোচিং ক্যারিয়ার সাফল্যময়। গ্যারির কোচিং ক্যারিয়ারের মূল দিক হচ্ছে জয়ের মানসিকতা তৈরি করা, তরুণ প্রতিভা গড়া ও সর্বোচ্চ পর্যায়ে সাফল্য এনে দেওয়া। এটাই তাঁকে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সম্মানের এবং চাহিদাসম্পন্ন কোচ বানিয়েছে।’
ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর গ্রান্ট ব্রাডবার্ন পাকিস্তানের দায়িত্ব ছাড়ার পর থেকেই প্রধান কোচের পদটি ফাঁকা ছিল। ফাঁকা ছিল টিম ডিরেক্টরের পদও। এ দুই জায়গাতেই মোহাম্মদ হাফিজকে নিয়োগ দিয়েছিল পিসিবি। তবে মহসিন নাকভি এসে হাফিজকেও সরিয়ে দেন। এরপর শেন ওয়াটসন, মাইক হেসন, ড্যারেন স্যামিকে কোচ হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল পিসিবি। তবে তারা রাজি হননি।
নতুন কোচ হিসেবে পিসিবি কেন বিদেশি কাউকে নিয়োগ দিল, এমন প্রশ্নে সংবাদ সম্মেলনে পিসিবি প্রধান বলেছেন, ‘আমরা একটা ভারসাম্য বজায় রাখতে চেয়েছি। আমাদের দেশেও অনেক প্রতিভা আছে। আমরা চিকিৎসাবিজ্ঞানে খুব একটা এগিয়ে নেই, সে কারণে আমাদের দেশে ফিটনেস নিয়ে কিছু সমস্যা আছে। আমরা সেরাদের সেরা চেয়েছি, দেশের বাইরের সেরা বিকল্প বাইরে রেখে বোধ হয় সেরা ফল পাওয়া যাবে না।’