বিশ্ব ক্রিকেটের জন্যই বাংলাদেশের যে পেসারকে রোমাঞ্চকর মনে করেন হাথুরু
টেস্ট খেলেছেন মাত্র ২টি, উইকেট নিয়েছেন ৬টি। পরিসংখ্যান আহামরি না হলেও গতিময় বোলিংয়ের কারণে প্রশংসায় ভাসছেন বাংলাদেশ দলের ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা। ২১ বছর বয়সী এই তরুণ রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে অংশ নেওয়া দুই দলের সাত পেসারের মধ্যে সবচেয়ে গতিময় ছিলেন। ধারাবাহিকভাবে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বোলিং করেছেন। সর্বোচ্চ গতির বলটা ছিল ঘণ্টায় ১৪৯.৯ কিলোমিটার।
আগামীকাল রাওয়ালপিন্ডিতে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের আগে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সংবাদ সম্মেলনে রানার গতিময় বোলিংয়ের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। সদ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা রানা শুধু বাংলাদেশ ক্রিকেটের নয়, বিশ্ব ক্রিকেটেও রোমাঞ্চ ছড়াবেন, এমন ভবিষ্যদ্বাবাণী করেছেন হাথুরুসিংহে।
‘নাহিদ রানা রোমাঞ্চকর ক্রিকেটার। শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বিশ্ব ক্রিকেটের জন্যও’—বলার পর হাথুরুসিংহে মনে করিয়ে দিয়েছেন, এখনো রানার সেরাটা দেখতে বাকি, ‘সে ১৪০+ গতিতে বল করে ধারাবাহিকভাবে এবং সে খুবই তরুণ। আমরা আরও অনেক কিছু দেখতে পারব নাহিদের কাছ থেকে। তার সেরাটা এখনো দেখতে বাকি।’
প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৯৩ রানের ইনিংস খেলা সাদমান ইসলামকেও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন প্রধান কোচ। কয়েক বছর ধরেই টেস্ট স্কোয়াডে থাকলেও একাদশে জায়গা হচ্ছিল না এই বাঁহাতির। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের আগে ‘এ’ দলের খেলায় জাকির হাসানের সঙ্গে ওপেনার হিসেবে দলের প্রথম পছন্দ মাহমুদুল হাসান চোটে পড়ায় সুযোগ পান। ২৯ বছর বয়সী এই বাঁহাতি সুযোগটা লুফে নিয়েছেন দুই হাতে।
প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে সাদমানের লড়াকু ব্যাটিং মনে ধরেছে হাথুরুসিংহের, ‘সাদমান এর আগে কিছু টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। সুযোগের জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে। এই ম্যাচে সুযোগের আগে সে দুই বছর টেস্ট খেলেনি। দারুণ মানসিক দক্ষতা দেখিয়েছে সে। এ ধরনের ইনিংস খেলা, সেটাও তার প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে, সব মিলিয়ে দারুণ খেলেছে।’
আগামীকাল একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলতে নামবে দুই দল।