ওয়ানডেতে দ্রুততম ২০০ স্টার্কের
জিম্বাবুয়ের তখন জয়ের জন্য দরকার মাত্র ৫ রান, হার চোখ রাঙাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়াকে। দলের যখন কিছুই পাওয়ার নেই, তখন ব্যক্তিগত এক মাইলফলক স্পর্শ করলেন মিচেল স্টার্ক। জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্লকে আউট করে হয়ে গেলেন ওয়ানডে ইতিহাসে দ্রুততম ২০০ উইকেটশিকারি।
স্টার্কের এই দ্রুততম ২০০ উইকেট এসেছে ম্যাচ এবং বলসংখ্যা দুই দিক থেকেই, যে কীর্তিটি ২৩ বছর ধরে ছিল পাকিস্তানের অফ স্পিনার সাকলায়েন মুশতাকের।
সাকলায়েন তাঁর ২০০তম উইকেট নিয়েছিলেন ১০৪ ম্যাচে, বলের হিসেবে যা ছিল ৫ হাজার ৪৫৭তম। স্টার্ক তাঁর রেকর্ড ভাঙলেন ক্যারিয়ারের ১০২তম ম্যাচ ও ৫ হাজার ২৪০তম ডেলিভারিতে।
৩২ বছর বয়সী স্টার্কের আগে অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে কম সময়ে ২০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন ব্রেট লি (১১২ ম্যাচ ও ৫৬৪০ ডেলিভারি)।
অন্যদের মধ্যে শেন ওয়ার্ন ১২৫ ম্যাচ, মিচেল জনসন ১২৯ ম্যাচ এবং গ্লেন ম্যাকগ্রা ১৩৩ ওয়ানডে খেলে ওয়ানডেতে এই মাইলফলকের দেখা পেয়েছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে বোলিং গড়ে শুধু ম্যাকগ্রাই স্টার্কের চেয়ে এগিয়ে। ম্যাকগ্রার বোলিং গড় যেখানে ২২.০২, স্টার্কের ২৬.২০।
২০১০ সালে এক দিনের ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা স্টার্ক উইকেটের শতক পূর্ণ করেছিলেন নিজের ৫২তম ম্যাচে, ২০১৬ সালে। তখনকার সময়ে এটিই ছিল দ্রুততম শত উইকেট, যা পরে আফগানিস্তানের রশিদ খান ভেঙে দেন আট ম্যাচ কম খেলে।
গত বছরই ১৯০ উইকেটের ঘরে পৌঁছে গিয়েছিলেন স্টার্ক। কিন্তু চোটসহ বিভিন্ন কারণে নিয়মিত না খেলায় ২০০-এর জন্য ১২ মাসের বেশি অপেক্ষা করতে হয় তাঁকে।
১২ বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ২০০ উইকেট পাওয়ার পথে ২০১৫ বিশ্বকাপে ২৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপের এক টুর্নামেন্টে ম্যাকগ্রার সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড ভেঙেছেন স্টার্ক।
মাত্র ১০২ ওয়ানডেতে ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছেন ৮ বার, সর্বকালের সেরার তালিকায় যা পঞ্চম। তাঁর ওপরে থাকা চারজনই ২০০–এর বেশি ম্যাচ খেলেছেন (২৬২ ম্যাচে ১৩ বার ৫ উইকেট নিয়ে শীর্ষে পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনিস)।