মিরাজের কাছে জিম্বাবুয়ে সিরিজও ‘কঠিন’ যে কারণে
বল হাতে এক উইকেট পাওয়ার পর ব্যাট হাতে ৫৫ বলে অপরাজিত ৬৭ রান। মিরপুরে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে আজ প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে মোহামেডানের জয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের অবদানই বেশি, হয়েছেন ম্যাচসেরাও। সংস্করণে ভিন্নতা থাকলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে নিজের ফর্ম নিশ্চিতভাবে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে জাতীয় দলের এই ক্রিকেটারকে।
আজ ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন মিরাজ, স্বাভাবিকভাবে সেখানেও ঘুরেফিরে এসেছে জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রসঙ্গই। অনেক বছর ধরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজকে কিছুটা হালকাভাবে নেওয়া হলেও বাস্তবে আফ্রিকার এই দলটার বিপক্ষে সতর্ক না থাকলে উল্টো বিপদে পড়ারই ভয় থাকে। কারণ, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ে বাংলাদেশের খুব আনন্দিত হওয়ার কিছু না থাকলেও তাদের বিপক্ষে যেকোনো হার সমালোচনার শূলে চড়ায় ক্রিকেটারদের।
আন্তর্জাতিক ম্যাচ সব সময়ই কঠিন। বড় দল, ছোট দল এ রকম নয়। এখানে পারফর্ম করলে আন্তর্জাতিকভাবেই সেটার স্বীকৃতি মিলবে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তরুণদের সুযোগ দেওয়া নিয়ে জানতে চাইলে মিরাজ আজ মিরপুরে বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচ সব সময়ই কঠিন। বড় দল, ছোট দল এ রকম নয়। এখানে পারফর্ম করলে আন্তর্জাতিকভাবেই সেটার স্বীকৃতি মিলবে।’
তবে এ রকম সিরিজকে তিনি তরুণদের জন্য সুযোগ হিসেবেই দেখেন, ‘অনেক তরুণ খেলোয়াড় আছে, তাদের সুযোগ থাকবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে যে টেস্ট জিতেছি, সেখানে অনেক খেলোয়াড় ছিল না। তাদের একটা সুযোগ হয়েছে (নতুনদের)।’
মিরাজের আশা, সুযোগ পেলে সেটার সদ্ব্যবহার করবেন নতুনরা, ‘নতুনদের পারফর্ম করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সবচেয়ে সিনিয়র খেলোয়াড়েরা ইতিমধ্যে অবসরে চলে গেছেন। আস্তে আস্তে দায়িত্বটা আমাদের নিতে হবে এবং যারা আছে তাদের পারফর্ম করতে হবে। বাংলাদেশকে পরের ধাপে নিয়ে যেতে হবে, সেই দায়িত্বটা আমাদের সবার।’
বাংলাদেশ সর্বশেষ টেস্ট খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গত বছরের ডিসেম্বরে। নাজমুল হোসেনের অনুপস্থিতি ওই সিরিজের শেষ ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবেই দলকে জিতিয়েছিলেন মিরাজ। ২০০৯ সালের পর সেটাই ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়।
ওই আত্মবিশ্বাস জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কাজে আসবে বলে বিশ্বাস মিরাজের, ‘চ্যালেঞ্জ প্রতিটা ম্যাচেই থাকবে। আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজে খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি। যারা ওই ম্যাচগুলো খেলেছে, সেই আত্মবিশ্বাস অবশ্যই কাজে লাগবে।’
আমরা কিন্তু ওয়ানডে ক্রিকেট খেলছি, অনেক দিন ধরে ডিপিএলের ভেতর আছি। টি–টোয়েন্টিও (খেলছি) না যে গিয়েই মারতে হবে। টেস্টের আগে হয়তো ১০ দিন সময় পাব। ১০ দিনের ভেতর প্রস্তুতি নিতে পারব।মেহেদী হাসান মিরাজ, বাংলাদেশ
১৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আসবে জিম্বাবুয়ে দল। ২০ এপ্রিল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্ট ২৮ এপ্রিল থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
এই সিরিজ দিয়ে প্রায় ছয় মাস পর বাংলাদেশ দল টেস্ট খেলতে নামবে। মিরাজের বিশ্বাস, সবাই খেলার মধ্যে থাকায় এই বিরতির কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না দলে, ‘আমরা কিন্তু ওয়ানডে ক্রিকেট খেলছি, অনেক দিন ধরে ডিপিএলের ভেতর আছি। টি–টোয়েন্টিও (খেলছি) না যে গিয়েই মারতে হবে। টেস্টের আগে হয়তো ১০ দিন সময় পাব। ১০ দিনের ভেতর প্রস্তুতি নিতে পারব।’ মিরাজ জানিয়েছেন, প্রথম টেস্টের আগে সিলেটে দুই দিনের একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারে বাংলাদেশ দল।