ভারতের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড় অন্যদের তুলনায় বেশি বোনাস নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই খেলোয়াড়দের পাশাপাশি প্রধান কোচ দ্রাবিড়ের জন্য পাঁচ কোটি রুপি বোনাস বরাদ্দ করেছিল। আর সহকারী কোচ হিসেবে থাকা অন্যদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয় আড়াই কোটি রুপি করে।
তবে কোচিং স্টাফের অন্যদের চেয়ে বাড়তি বোনাস নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন দ্রাবিড়। বাকিদের মতো তিনিও আড়াই কোটি রুপিই নেবেন। গত ২৯ জুন বার্বাডোজে অনুষ্ঠিত ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে ভারত। ট্রফি জয়ের পর প্রধান কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দেন দ্রাবিড়।
ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের কোচিং স্টাফে দ্রাবিড়ের সঙ্গে ছিলেন ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর, ফিল্ডিং কোচ টি দিলিপ ও বোলিং কোচ পরশ মামব্রে। বিসিসিআই বিশ্বকাপজয়ী দলের জন্য ঘোষিত ১২৫ কোটি রুপির মধ্যে এই তিনজনের জন্য আড়াই কোটি রুপি করে বরাদ্দ রেখেছে। সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি রুপি করে রাখা হয়েছে স্কোয়াডে থাকা ১৫ ক্রিকেটার ও প্রধান কোচের জন্য।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, দ্রাবিড় তাঁর জন্য বরাদ্দ বোনাস থেকে আড়াই কোটি রুপি কম দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র এ বিষয়ে বলেন, ‘রাহুল সাপোর্ট স্টাফদের মতো তাঁকেও আড়াই কোটি রুপি দিতে বলেছেন। আমরা তাঁর অনুভূতিকে সম্মান জানাই।’
রাহুলের বেশি বোনাস প্রত্যাখ্যানের ঘটনা অবশ্য এটিই প্রথম নয়। ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের কোচ ছিলেন তিনি। সেবার ভারতের যুবারা চ্যাম্পিয়ন হলে বিসিসিআই প্রধান কোচ দ্রাবিড়ের জন্য ৫০ লাখ, সাপোর্ট স্টাফে থাকা বাকিদের জন্য ২০ লাখ এবং খেলোয়াড়দের জন্য ৩০ লাখ রুপি বোনাস ঘোষণা করেছিল। দ্রাবিড় সবাইকে সমান বোনাস দেওয়ার অনুরোধ জানালে বিসিসিআই পরে প্রত্যেককে ২৫ লাখ রুপি করে দিয়েছিল।
৫১ বছর বয়সী দ্রাবিড় এখন ভারত জাতীয় দলের চাকরি ছেড়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন। সামনে আইপিএলের কোনো দলের দায়িত্ব নিতে পারেন তিনি। এরই মধ্যে ভারতের জাতীয় দলে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন গৌতম গম্ভীর, যিনি সর্বশেষ আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সে পরামর্শক হিসেবে ছিলেন।