‘শাস্তি’ পেয়েছিলেন বলে খেলেননি সাব্বির
গত বিপিএলে দল পাননি। এবার যা–ও তাঁকে ঢাকা ক্যাপিটালস নিল, খেলায়নি প্রথম তিন ম্যাচের একটিতেও। একজন ক্রিকেটারকে তাঁর দল না–ই খেলাতে পারে, এটা বিশেষ কিছু নয়। তবে আজ ঢাকার কোচ খালেদ মাহমুদের কথা শুনে মনে হলো, এবারের বিপিএলে সাব্বিরের এখনো একটি ম্যাচও না খেলাটা বিশেষ কিছুই।
আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের পাশের আউটার স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে মাহমুদ সাংবাদিকদের সোজাসাপটা বলে দেন, সাব্বিরের এখনো মাঠে নামতে না পারাটা মূলত শৃঙ্খলাজনিত কারণে। এটা একধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থাই ছিল।
মিরপুরে এবারের বিপিএলে ঢাকা প্রথম ম্যাচ খেলে ৩০ ডিসেম্বর টুর্নামেন্টের প্রথম দিন। সেই ম্যাচে টিম কম্বিনেশনের কারণে নেওয়া হয়নি সাব্বিরকে। এরপর ২ ও ৩ জানুয়ারি পরের দুই ম্যাচেও খেলেননি সাব্বির।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা রকম কথা হলেও আসল কারণটা আজ জানিয়েছেন ঢাকার কোচ মাহমুদ, ‘ট্রেনিংয়ে সাব্বির অনুপস্থিত ছিল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচের মাঝে সে অনুশীলনে আসেনি। টিম ডিসিপ্লিনের ব্যাপারও ছিল, এই কারণেই তাকে খেলানো হয়নি। ম্যাচটি খেলানো হয়নি ১ তারিখে অনুশীলনে না আসার জন্য। এটা পুরোপুরি ডিসিপ্লিনারি ইস্যু।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে সাব্বির–ভক্তদের নানা রকম আলোচনার জবাবও দিয়েছেন মাহমুদ, ‘ভেতরের অনেক কিছু অনেকে জানে না বলে হয়তো মন্তব্য করে দেওয়াটা অনেক সহজ। এখানে আমার হাত ছিল না। অধিনায়কও ছিল দলে, তারও বলার থাকে অনেক কিছু। ট্রেনিংয়ের ব্যাপারগুলো থাকে।’
তবে মাহমুদ জানিয়েছেন, আগামীকাল রংপুর রাইডার্সের ম্যাচ থেকে সাব্বিরের খেলার সম্ভাবনা আছে, ‘সাব্বির ভালো ক্রিকেটার। আশা করি, কালকের ম্যাচ থেকে ওকে খেলাতে পারব এবং আশা করি সে তার সেরাটা খেলবে। একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারর অভাব আছে আমাদের মিডল অর্ডারে। সাব্বিরের অন্তর্ভুক্তি আমাদের জন্য খুব ভালো হবে।’
সাব্বিরের শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা নতুন নয়। একবার তো জাতীয় লিগের ম্যাচে এক দর্শককে পিটিয়ে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছিলেন, বাদ পড়েন বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও। এখন আরও অভিজ্ঞ হয়েছেন বলে সাব্বিরের আরও বেশি সুশৃঙ্খল হওয়াটা জরুরি বলে মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাহমুদ, ‘সে না-ই আসতে পারে অনুশীলনে। অনেক ক্রিকেটারই ম্যাচের আগের দিন অনুশীলন করে না। কিন্তু আমি চাই, আমার প্রত্যেক ক্রিকেটার ম্যাচের আগের দিন ট্রেনিং করুক বা না করুক, ড্রেসিংরুমে যেন থাকে। সাব্বিরকে এটিই বুঝিয়েছি। ১ তারিখের অনুশীলনে সে আসবে না, এটা আমরা কেউ জানতাম না যে কেন সে আসেনি। আমি বা ম্যানেজার কেউই জানতাম না। মাঠে গিয়ে যখন তাকে খুঁজি, জানি না যে সে কেন নেই, তাহলে তো সত্যিই শকিং ব্যাপার!’
মাহমুদের আশা, সাব্বির তাঁর ভুল বুঝতে পেরে টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলোতে নিজেকে উজাড় করে দেবেন, ‘আমি ওর সঙ্গে কথা বলেছি। সে অনুধাবন করতে পেরেছে। সে বলেছে যে, “সুজন ভাই ভুল হয়েছে, আপনি রাগ করবেন না।” আমার বিশ্বাস, ঢাকা ক্যাপিটালসের বাকি পথচলায় সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে সে আমাকে সাপোর্ট করবে এবং সিনিয়র ক্রিকেটারের মতো আচরণ করবে।’