রিজওয়ানের সঙ্গে সালমানেরও সেঞ্চুরি, রেকর্ড গড়ে জিতল পাকিস্তান
পাকিস্তান ইনিংসের ৪৩তম ওভারের প্রথম বল। উইয়ান মুল্ডারকে মিডউইকেট বাউন্ডারি দিয়ে ছক্কা মেরে ৯৪ থেকে ১০০ রানে পৌঁছালেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে রিজওয়ানের চেয়ে বেশি উল্লসিত দেখা গেল অপর প্রান্তে থাকা সালমান আলীকে। অধিনায়কের সেঞ্চুরিতে সহ-অধিনায়কের সে কি উচ্ছ্বাস।
মুল্ডারের একই ওভারে পঞ্চম বল। ৯৯ রানে থাকা সালমান সোজাসুজি খেলেই দৌড় শুরু করলেন। কিন্তু সালমানের আগেই উদ্যাপন শুরু করে দিলেন রিজওয়ান। সহ-অধিনায়কের সেঞ্চুরিতে অধিনায়কের উচ্ছ্বাস।
আজ করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানকে এমনই একের পর এক উচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়া উপলক্ষ এনে দিয়েছেন রিজওয়ান ও সালমান। গড়েছেন রেকর্ড জুটি। যা পাকিস্তানকে এনে দিয়েছে রেকর্ড জয়ও। দক্ষিণ আফ্রিকার তোলা ৩৫২ রান পাকিস্তান টপকে গেছে ৬ বল ৬ উইকেট হাতে রেখে দিয়ে। ওয়ানডেতে রান তাড়ায় এটি পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় জয়।
সাড়ে তিন শর বেশি রান তাড়া করতে নেমে ৯১ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছিল পাকিস্তান। চতুর্থ উইকেটে রিজওয়ান ও সালমান যখন জুটি বাঁধেন, তখনো জয়ের জন্য দরকার আড়াই শ রানের বেশি। ওভারপ্রতি ৬ রানের বেশি হারে।
এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রিজওয়ান–সালমান শুধু চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ তো বটেই, পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডেতে যে কোনো উইকেটেই তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৬০ রানের জুটি গড়েছেন। রিজওয়ান সেঞ্চুরি করেছেন ২০২৩ বিশ্বকাপের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের পর এই প্রথম। আর ৩১তম ওয়ানডে খেলতে নামা সালমানের তো ক্যারিয়ারেই আজ প্রথম।
৮৭ বলে এক শ ছোঁয়া সালমান ১০৩ বলে ১৩৪ রান করে যখন আউট হন, দলের দরকার মাত্র ২ রান। অধিনায়ক রিজওয়ান অপরাজিত থাকেন ১২৮ বলে ১২২ রান করে।
পাকিস্তান এর আগে সর্বোচ্চ ৩৪৯ রান তাড়া করে জিততে পেরেছিল। ২০২২ সালে লাহোরের সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। সেঞ্চুরি করেছিলেন ইমাম উল হক ও বাবর আজম।
আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রিজওয়ান–সালমানের সেঞ্চুরিতে জয় এসেছে ত্রিদেশীয় সিরিজের ভার্চুয়াল সেমিফাইনালে। জয়ী দল উঠবে সেমিফাইনালে—এমন সমীকরণের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৩৫২ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন ব্যাটসম্যান ৮০–রানের ঘরে পৌঁছালেও তিন অঙ্কে যেতে পারেনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫০ ওভারে ৩৫২/৫ (ক্লাসেন ৮৭, ব্রিটজকে ৮৩, বাভুমা ৮২; আফ্রিদি ২/৬৬)। পাকিস্তান: ৪৯ ওভারে ৩৫৫/৪ (সালমান ১৩৪, রিজওয়ান ১২২*, ফখর ৪১; মুল্ডার ২/৭৯)। ফল: পাকিস্তান ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সালমান আলী।