বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে দেখতে চান না মিসবাহ

পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও কোচ মিসবাহ–উল–হকইনস্টাগ্রাম

নিজ দেশের বাইরের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে গেলেই নিজেদের ক্রিকেট বোর্ডের অনাপত্তিপত্র নিতে হয় ক্রিকেটারদের। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সম্প্রতি জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি বুঝে খেলোয়াড়দের বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার অনাপত্তিপত্র দেবে। এ নিয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে পিসিবির কিছুটা দূরত্বও তৈরি হয়েছে। এবারের বিপিএলে খেলার জন্যই যেমন ফখর জামান, ইফতিখার আহমেদ ও মোহাম্মদ হারিসকে অনাপত্তিপত্র দেয়নি পাকিস্তান, আবার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে দেওয়া হয়েছে। পিসিবি বলছে, বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তির শর্তাবলি বিবেচনা করে এবং জড়িত সব পক্ষের সর্বোচ্চ স্বার্থ প্রাধান্য দিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ নিয়ে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররাও অনেক কথা বলছেন। সর্বশেষ বললেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও কোচ মিসবাহ–উল–হক। বড় কোনো ইভেন্টের আগে ক্রিকেটারদের বিদেশি লিগে খেলার অনাপত্তিপত্র দেওয়ার পক্ষেই নন তিনি। এ বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে হবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এর আগে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের আর কোনো বিদেশি লিগের জন্য অনাপত্তিপত্র না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মিসবাহ।

আরও পড়ুন
এবারের বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম
প্রথম আলো

মিসবাহ কথা বলেছেন পিসিবিতে অস্থিরতা নিয়েও। ক্রমাগত ক্ষমতার পালাবদল ক্রিকেট কোচ আর খেলোয়াড়দের পাকিস্তান দলে অনিরাপদ ভাবতে বাধ্য করে বলে মনে করেন মিসবাহ। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে প্রকাশ করা এ খবরে মিসবাহকে ভারতের পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়া উদ্ধৃত করেছে এভাবে, ‘আপনি যদি পিসিবির নীতির দিকে তাকান, বিদেশি কোচদের কথা ছাড়ুন, আমার মনে হয় না আমাদের স্থানীয় কোচরাও পিসিবির সঙ্গে কাজ করতে চাইবে।’

সিন্ধ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে হায়দরাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির কোচ মিসবাহ করাচি জাতীয় স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, ‘খেলোয়াড়েরা কীভাবে জাতীয় দলে তাদের নিরাপদ মনে করবে আর প্রতিষ্ঠিত করবে, যদি তারা এটাই নিশ্চিত হতে না পারে যে বোর্ডে কী ঘটছে।’

আরও পড়ুন
গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপটা এমন হতাশায়ই কেটেছে পাকিস্তান দলের
এএফপি

গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের আশা নিয়েই ভারতে গিয়েছিল পাকিস্তান দল। কিন্তু প্রথম রাউন্ডে ৯ ম্যাচের ৫টিতেই হেরে সেমিফাইনালের আগেই ছিটকে গেছে বাবর আজমের দল। বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের ক্রিকেটে এসেছে ব্যাপক রদবদল। ক্রিকেট পরিচালক, কোচ থেকে শুরু করে পরিবর্তন এসেছে নেতৃত্বে। সব মিলিয়ে এ বছর আরেকটি বিশ্বকাপের আগে নতুন করে সব গোছানো হচ্ছে পাকিস্তান দলে।

অবস্থা যখন এ রকম, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে হতে যাওয়া টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সম্ভাবনা কতটুকু? এ বিষয়ে মিসবাহ যা বলেছেন, সেটার সারমর্মটা এ রকম—ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশন পাকিস্তান দলের জন্য উপযোগী। এ ছাড়া দলে ভালো ফাস্ট বোলার ও ব্যাটসম্যান আছে। এখন শুধু স্পিন বিভাগে আরেকটু উন্নতি করতে পারলে এবারের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের ভালো কিছু করার সম্ভাবনা আছে।

আরও পড়ুন