যেভাবে ওমরজাইয়ের ১ ওভারে উঠল ৩৬ রান
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেভাবে রান উঠছে না। এখন পর্যন্ত মোট ৭৩ ইনিংস খেলেছে দলগুলো, এর মধ্যে ৪৩ বারই থামতে হয়েছে ১২০ রানের নিচে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক টুর্নামেন্টে এত বেশিবার ১২০ রানের নিচে থামার নজির আর নেই। তবে মাত্রই গ্রুপ পর্ব শেষ হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ওভারপ্রতি গড়ে রান উঠেছে ৬.৭১, যা বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বনিম্ন। এমন পরিসংখ্যানই আজ পরিবর্তনের খানিকটা চেষ্টা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেন্ট লুসিয়ায় তারা তুলেছিল ২১৮ রান। এর মধ্যে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ওভারে ৩৬ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি যৌথভাবে সর্বোচ্চ খরুচে ওভার।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এর আগে চারবার এক ওভারে ৩৬ রান উঠেছে। প্রথম এই রেকর্ড গড়েছিলেন ভারতের যুবরাজ সিং। তিনি ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারে ৬টি ছক্কা মেরেছিলেন। তাঁর মতো ৬ বলে ৬টি ছক্কা মেরে রেকর্ড ছুঁয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইরন পোলার্ড (২০২১) ও দীপেন্দ্র সিং ঐরী (২০২৪)।
এক ওভারে ৩৬ রান হওয়ার অন্য ঘটনাটিও আজকের মতো। এই আফগানিস্তানের বিপক্ষেই করিম জানাতের বিপক্ষে ১ ওভারে ৩৬ রান তুলেছিল ভারত। সেদিনও ৬ বলে ৬ ছক্কা হয়নি। করেছিলেন দুজন মিলে—রোহিত শর্মা ও রিঙ্কু সিং। আজ নিকোলাস পুরান ৩৬ রান তুলেছেন লেগ বাই, ওয়াইড ও নো বলের অবদান নিয়ে। এই ওভারে ব্যাট হাতে তিনি করেছেন ২৬ রান। যুবরাজের ওই কীর্তির পর এবারই প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক ওভারে ৩৬ রান উঠল।
যেভাবে ৩৬ রান এসেছে...
প্রথম বল: ছক্কা। ওমরজাইয়ের দায় খুব সামান্যই। পুরান মিড উইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা মারার চেষ্টা করেছিলেন, ব্যাটের কানায় লেগে ছক্কা হয়েছে থার্ডম্যান দিয়ে।
দ্বিতীয় বল: নো বল এবং চার। এবার পুরান করলেন পুল। পাওয়ারপ্লেতে বেশির ভাগ ফিল্ডার ভেতরে থাকায় চার হতে খুব অসুবিধাই হয়নি।
দ্বিতীয় বল: বাউন্সার দেওয়ার চেষ্টা করেন ওমরজাই। পুরান ও উইকেটকিপার গুরবাজ—দুজনের মাথার ওপর দিয়ে বল বাউন্ডারিতে যায়। আম্পায়ার ওয়াইডের সিদ্ধান্তও জানিয়ে দেন।
অর্থাৎ, এক বলে ওমরজাই দিলেন ১৬ রান।
দ্বিতীয় বল: বৈধ ডেলিভারি। ওমরজাইয়ের ইয়র্কারে কোনো রান নিতে পারেননি পুরান।
তৃতীয় বল: ব্যাটে বলে হয়নি। তবে পুরানের প্যাডে লেগে বল চলে যায় বাউন্ডারিতে।
চতুর্থ বল: এবার চার। পুরান এবার চার মারেন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট অঞ্চল দিয়ে।
পঞ্চম বল: ওমরজাই বল দিলেন মিডল অ্যান্ড লেগ স্লটে। পুরান সামনের পা সরিয়ে বল পাঠালেন ডিপ মিড উইকেটে—ছক্কা।
ষষ্ঠ বল: ওমরজাইয়ের স্লোয়ারকে লং অফের দিয়ে ছক্কা মারেন পুরান।