এই দিল্লি রাহুলের, থামাবে কে
গত ম্যাচে খেলতে হলো ওপেনিংয়ে। দলের প্রয়োজনে নেমে খেললেন ৭৭ রানের ইনিংস। চেন্নাইয়ের বিপক্ষে জেতালেন দলকে। আজ আবার মিডল অর্ডারে ফিরলেন। ১৬৪ রানের লক্ষ্য ছুঁতে নেমে দল পড়েছে বিপদে। ৩০ রানের মধ্যে দিল্লি হারায় একে একে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান—ফাফ ডু প্লেসি, জেইক ফ্রেজার-ম্যাগার্ক ও অভিষেক পোরেলকে।
আজ আবার দাঁড়িয়ে গেলেন রাহুল। খেললেন ৫৩ বলে অপরাজিত ৯৩ রানের ইনিংস। তাঁর এই ইনিংসে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। ১৬৪ রানের লক্ষ্য দলটি ছুঁয়েছে ১৩ বল হাতে রেখেই।
আইপিএলে এ নিয়ে টানা ৪ ম্যাচ জিতেছে দিল্লি। যেভাবে দাপট দেখিয়ে একের পর এক ম্যাচ জিতছে দলটি, তাতে প্রশ্ন উঠছে, দলটিকে থামাবে কোন দল? অন্তত রাহুল যত দিন এমন ফর্মে থাকবেন!
এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে এদিন রাহুলের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে শতরানের জুটি গড়েছেন ট্রিস্টান স্টাবস। শতরানের জুটিতে মূল কাজটা রাহুলই করেছেন, ৩২ বলে তুলেছেন ৬৮ রান। স্টাবস দিয়েছেন সঙ্গ। তিনি অপরাজিত ছিলেন ২৩ বলে ৩৮ রান নিয়ে।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিং করা বেঙ্গালুরু রান করেছে আসলে ইনিংসের ৫ ওভারে। নিজেদের ইনিংসের প্রথম ৩ ওভারে ৫৩ রান তোলা বেঙ্গালুরু ইনিংসের শেষ ২ ওভারে রান তুলেছে ৩৬। আর মধ্যের ১৫ ওভারে রান উঠেছে মাত্র ৭৪।
পাওয়ার প্লেতে আজ ঝড় তোলেন ফিল সল্ট। ১৭ বলে ৩৭ রান করে যখন আউট হন, তখন বেঙ্গালুরুর রান ৩.৫ ওভারে ৬১। এরপর পথ হারায় দলটি। বিরাট কোহলি, রজত পাতিদাররা আজ রান পাননি। ১৮ ওভার শেষে দলটির রান দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১২৭। সেখান থেকে একাই ব্যাট হাতে ৩৩ রান নেন টিম ডেভিড। তিনি অপরাজিত থাকেন ৩৭ রানে। তাতেই মূলত সংগ্রহটা ১৬৩ দাঁড়ায়।