সাকিবের চোখের চিকিৎসা হবে যেভাবে
সিঙ্গাপুরের র্যাফেলস আই সেন্টারে আগামীকাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট। সেখানকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শের ওপর নির্ভর করছে চোখের চিকিৎসায় সাকিব আল হাসান কোন পথে যাবেন।
বিশ্বকাপের সময় চোখে সমস্যাটা প্রথম ধরা পড়লে চেন্নাইয়েই চক্ষুবিশেষজ্ঞ দেখিয়েছিলেন সাকিব। ঢাকায় এসে আবার চিকিৎসক দেখান। বিপিএলের ঠিক আগে চিকিৎসক দেখিয়ে এসেছেন লন্ডন থেকেও। এরপর আজ দুপুরে তিনি গেলেন সিঙ্গাপুরে। এ জন্য বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে সাকিব পরের অন্তত তিনটি ম্যাচ খেলতে পারবেন না বলে গতকাল প্রথম আলোকে জানিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইশতিয়াক সাদেক।
সাকিব এর আগে ভারত ও লন্ডনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখালেও জানা গেছে, দুই জায়গার চিকিৎসকদের মতামতে মিল যেমন আছে, আছে কিছু ভিন্নতাও। তবে সমস্যা সম্পর্কে সাকিব যেটা বলেছেন, সব চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণও তা–ই বলে। অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকলে তাঁর চোখের রেটিনার নিচে একধরনের তরল পদার্থ জমছে, যেটা ঝাপসা করে দিচ্ছে দৃষ্টি।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় চোখের এ ধরনের সমস্যা সেন্ট্রাল সেরস কোরিওরেটিনোপ্যাথি বা সিএসসি নামে পরিচিত। কারও চোখে এ ধরনের সমস্যা থাকলে সেটা যেকোনো সময়ই অনুভূত হতে পারে। তবে সাকিবকে এটি বেশি ভোগাচ্ছে ব্যাটিংয়ের সময়।
চোখের এ ধরনের সমস্যার চিকিৎসা হতে পারে লেজার, ইনজেকশন ও ওষুধ সেবনের মাধ্যমে, অনেক সময় লাগতে পারে অস্ত্রোপচারও। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে বড় কোনো চিকিৎসা ছাড়াই সেরে যায়। তবে সেটি সময়সাপেক্ষ।
সাকিবের চোখের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোন পথে যাওয়া হবে, বিসিবির মেডিকেল বিভাগ সে সিদ্ধান্ত নেবে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকের মতামত পাওয়ার পর। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী আজ প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেছেন, ‘আগামীকাল সাকিবের অ্যাপয়েন্টমেন্ট। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকের পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে আমরা তাঁর চিকিৎসার ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’
বিসিবির মেডিকেল বিভাগের পরিকল্পনা, সব চিকিৎসকের মতামত নিয়ে তারা বিষয়টি নিয়ে কথা বলবে দেশের কোনো অভিজ্ঞ রেটিনা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে। তবে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসক যদি তাৎক্ষণিক কোনো চিকিৎসার পরামর্শ দেন, তাহলে সে চিকিৎসা সেখান থেকেই করে ফিরবেন সাকিব।