কোহলির ক্ষোভের জবাব দিলেন গাভাস্কার
বিরাট কোহলি বাজে ফর্মের সময় কী করলে রানে ফিরবেন, সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রিকেট-বিশ্লেষকেরা এত দিন মত দিয়ে গেছেন যে যাঁর মতো করে। তবে কোহলির প্রত্যাশা একটু অন্য রকম ছিল। সরাসরি তাঁর সঙ্গে কেউ এটা নিয়ে কথা বলুক কিংবা একটু খোঁজখবর নিক, এমনটাই চেয়েছিলেন কোহলি। কিন্তু তা না হওয়ায় ক্ষোভটা কাল উগরে দেন ভারতের তারকা।
কোহলি বলেছেন, ‘টেস্টে অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর মাত্র একজন মানুষের কাছ থেকে আমি বার্তা পেয়েছিলাম, যাঁর সঙ্গে আমি আগে খেলেছি—এম এস ধোনি। অনেকেই টিভিতে অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁদের অনেকের কাছেই আমার ফোন নম্বর আছে। কেউ একটু খোঁজও নেননি। আপনি যদি সারা দুনিয়াকে সামনে রেখে পরামর্শ দেন, আমার কাছে সেটার কোনো মূল্য নেই। আমার উন্নতির জন্য কিছু বলতে চাইলে আলাদাভাবে আমার সঙ্গে কথা বলুন, এমনটাই আমি চাই।’
কোহলির বাজে ফর্ম নিয়ে যাঁরা সংবাদমাধ্যমে নানা পরামর্শ দিয়েছেন, সুনীল গাভাস্কার তাঁদের একজন। এই ভারতীয় কিংবদন্তি দাবি করেছিলেন, কোহলির সঙ্গে তিনি যদি ২০ মিনিট কথা বলার সুযোগ পেতেন, তাহলেই তাঁর বাজে ফর্ম থেকে বেরিয়ে আসার উপায় বলে দিতে পারতেন। কোহলি কাল সাবেক ক্রিকেটার ও বিশ্লেষকদের সমালোচনার পর এ নিয়ে মুখ খুলেছেন গাভাস্কার, ‘সে কেমন বার্তা চায়? অনুপ্রেরণা চেয়েছে? যখন ওর অধিনায়কত্ব শেষ, তখন ওর অনুপ্রেরণার কেন প্রয়োজন হবে?’
ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে এক আলোচনায় গাভাস্কার দাবি করেন, যাঁরা কোহলির সঙ্গে যোগাযোগ করেননি, তাঁদের নামও কোহলির বলা উচিত ছিল, ‘ড্রেসিংরুমের ভেতর অন্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোহলির সম্পর্ক কী ছিল, আমি ঠিক জানি না। তবে যেহেতু সে একজনের নাম উল্লেখ করেছে, তাই কে কে যোগাযোগ করেননি, সেসব নামও উল্লেখ করা উচিত ছিল। তার সঙ্গে কেউই যোগাযোগ করেননি—এটা ভাবার চেয়ে ওটা কিছুটা হলেও ন্যায্য হতো।’
গাভাস্কার কোহলির অধিনায়কত্ব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নিজের অধিনায়কত্ব ছাড়ার প্রসঙ্গও টেনে আনেন। তিনি জানান, অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর তাঁর সঙ্গেও কেউ আলাদাভাবে যোগাযোগ করেননি, ‘১৯৮৫ সালে বেনসন ও হেজেস ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পর আমি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিই। ওই রাতেই আমরা সবাই মিলে জয় উদ্যাপন করেছি, একে অপরকেকে জড়িয়ে ধরেছি, এর চেয়ে অন্য কী আপনি প্রত্যাশা করতে পারেন!’