নামিবিয়ার কাছে শ্রীলঙ্কার অঘটনের হারে শুরু বিশ্বকাপ
ম্যাচ শুরুর আগেই বড় একটি ধাক্কা খেয়েছে শ্রীলঙ্কা। চোট নিয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়েছেন দলটির বাঁহাতি পেসার দিলশান মাদুশঙ্কা। এরপর ম্যাচে যে ধাক্কাটা তারা খেল, সেটার কাছে মাদুশানকে হারানোর ধাক্কা খুবই মামুলি ব্যাপার। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ‘পুঁচকে’ নামিবিয়ার কাছে ৫৫ রানে হেরে গেছে দাসুন শানাকার শ্রীলঙ্কা।
দিনের শুরুটা অবশ্য অন্যরকমই ছিল। মনে হচ্ছিল, এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়নরা ঠিকঠাক শুরুই পেতে যাচ্ছে। টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে নামিবিয়াকে বেশ চাপে ফেলে দিয়েছিল লঙ্কানরা। ৩৫ রানের মধ্যে তারা ফেলে দিয়েছিল নামিবিয়ার ৩ উইকেট।
একটা পর্যায়ে ৯৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে নামবিয়া। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াই করার মতো ১৬৩ রানের পুঁজি গড়ে গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অভিষিক্ত দলটি।
১৬৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে শ্রীলঙ্কা শুরুতেই চাপে পড়ে যায়। ২১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এই চাপ থেকে আর নিজেদের বের করে আনতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ধুঁকতে ধুঁকতে শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভারে অলআউট হয়েছে তারা ১০৮ রান করে।
টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই এলোমেলো হয়ে পড়া নামবিয়া মূলত ঘুরে দাঁড়ায় মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ওপর ভর করে।
৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর চতুর্থ উইকেটে স্টেফান বার্ড ও অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমাস ৪২ বলে গড়েন ৪১ রানের জুটি। এরাসমাসের আউটের পর ইয়ান ফ্রাইলিঙ্ককে নিয়ে ১৩ বলে ১৫ রানের আরেকটি ছোট জুটি গড়েন বার্ড।
কোনোভাবে ঘুরে দাঁড়ালেও নামিবিয়ার রান তোলার গতি হয়ে পড়ে শ্লথ। ১৫ ওভার শেষেও তাদের রান ছিল ৬ ওভারে ৯৫, ওভারপ্রকি মাত্র ৬.৩৩। এখান থেকেই রানের গতি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিন ফ্রাইলিঙ্ক ও জেজে স্মিট।
পরের চার ওভারে তাঁরা তোলেন ৫৫ রান। ইনিংসের শেষ বলে স্মিট রানআউট হওয়ার আগে সপ্তম উইকেট জুটিতে দুজন মিলে তোলেন ৩৩ বলে ৬৯ রান।
ফ্রাইলিঙ্ক ২৮ বলে ৪৪ রান করে রানআউট হলেও স্মিট ১৬ বলে ৩১ রান করে ছিলেন অপরাজিত। শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৩৭ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন প্রমোদ মাদুশান।
রান তাড়া করতে নেমে দ্রুতই ৪০ রানে ৪ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কাকে আশা দেখাচ্ছিলেন ভানুকা রাজাপক্ষে ও অধিনায়ক শানাকা। পঞ্চম উইকেটে দুজনে মিলে ২৪ বলে তোলেন ৩৪ রান। ২১ বলে ২০ রান করে রাজাপক্ষে আউট হয়ে গেলে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপ।
নামিবিয়ার পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন ডেভিড ভিসে, বার্নার্ড শোলৎজ, বেন শিকোঙ্গো ও ফ্রাইলিঙ্ক। ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফর্ম করে ম্যাচসেরা হয়েছেন ফ্রাইলিঙ্ক। তবে বোলিংয়ে নামিবিয়ার আসল কাজটা করে দিয়েছেন শিকোঙ্গোই। শ্রীলঙ্কার ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রথম বল হাতে নিয়েই পরপর দুই বলে তিনি ফিরিয়েছেন পাতুম নিশাঙ্কা ও দানুশকা গুনাতিলকাকে।