বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের দৌড়ে খাজা–হেডের সঙ্গে অশ্বিন ও রুট
আইসিসি বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার (পুরুষ) ২০২৩ পুরস্কারে মনোনয়ন পেয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ট্রাভিস হেড, উসমান খাজা ও জো রুট। ভারতীয় স্পিনার অশ্বিন তৃতীয়বারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন।
২০১৬ সালে জেতার পর ২০২১ সালেও মনোনীত হয়েছিলেন অশ্বিন। খাজা টানা দ্বিতীয়বার মনোনয়ন পেয়েছেন। রুটও অশ্বিনের মতো দ্বিতীয়বার এই পুরস্কার প্রত্যাশী। এর আগে ২০২১ সালে বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার হয়েছিলেন রুট।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন
৪১ উইকেট, ৭ ম্যাচ
২০২৩ সালে ৭ টেস্ট খেলে ৪১ উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন। গত বছর ঘরের মাঠে বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফিতে ৪ টেস্টে ২৫ উইকেট নিয়েছেন। সেই সিরিজেই অনিল কুম্বলেকে টপকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের সর্বোচ্চ (১১৪) উইকেট নেওয়ার কীর্তিও গড়েন। জেতেন সিরিজ সেরার পুরস্কার। এমন পারফরম্যান্সের পরও আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের একাদশে জায়গা পাননি অশ্বিন।
ট্রাভিস হেড
৯১৯ রান, ১২ ম্যাচ
বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে যেখানে অস্ট্রেলিয়ার বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানরাই ধুঁকেছে, হেড সেখানে ৩ ম্যাচ খেলেই ২৩৫ রান করেছিলেন। যা ছিল সেই সিরিজে উসমান খাজা (৩৩৩) ও মারনাস লাবুশেনের (২৪৪) পর তৃতীয় সর্বোচ্চ। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে তাঁর শতকেই ভারতকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। ওভালে সেই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৬৩ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরাও হয়েছেন হেড।
উসমান খাজা
১২১০ রান, ১৩ ম্যাচ
২০২৩ সালে টেস্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক খাজা। ভারতের মাটিতে স্পিন-সহায়ক উইকেটে বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন খাজা। ৪ টেস্টের ৭ ইনিংসে করেছিলেন ৩৩৩ রান। যা সেই সিরিজে বিরাট কোহলির চেয়ে ৩৫ রান বেশি। এমনকি অ্যাশেজেও সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন খাজা। ১০ ইনিংসে প্রায় ৫০ গড়ে করেছিলেন ৪৯৬।
জো রুট
৭৮৭ রান, ৮ উইকেট, ৮ ম্যাচ
রুট বছর শুরু করেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে তিনটি পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস খেলে। সেই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ওয়েলিংটনে প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ১৫৩ রানের ইনিংস খেলার পর দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি করেছিলেন ৯৫ রান। মাত্র ১ রানে সেই টেস্টটি জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। অ্যাশেজে রুট ছিলেন তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ৯ ইনিংসে ৫১.৫০ গড়ে রান করেন ৪১২।