শাহিনের ‘সেঞ্চুরি’, অপেক্ষায় ধনাঞ্জয়া
শুরুটা করেছিলেন শাহিন আফ্রিদি। এক বছর পর টেস্ট খেলতে নামা এই পাকিস্তানি পেসার দিনের তৃতীয় ওভারে নিশান মাদুশকাকে আউট করে পূর্ণ করেন উইকেটের সেঞ্চুরি। ওখানেই অবশ্য থামেননি। প্রথম সেশনে তুলে নেন আরও দুই উইকেট। তবে শাহিনের শুরুর ঝড় সামলে দিন শেষে সেঞ্চুরির কাছাকাছি দাঁড়িয়ে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাও। ৫০তম টেস্ট খেলতে নামা শ্রীলঙ্কার এই ব্যাটসম্যান দশম টেস্ট সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে অপরাজিত ৯৪ রানে।
তবে ধনাঞ্জয়া লড়াই চালিয়ে গেলেও গল টেস্টের প্রথম দিনে খুব একটা স্বস্তিতে নেই শ্রীলঙ্কা দলে। বৃষ্টি আর আলোকস্বল্পতার সারা দিনে খেলা হয়েছে ৬৫.৪ ওভার। এর মধ্যেই ২৪২ রান তুলতে ৬ উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের পক্ষে ৬৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন শাহিন।
গত বছরের জুলাইয়ে গলে টেস্ট খেলতে নেমে চোট পেয়েছিলেন শাহিন। যে চোট তাঁকে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে দেয়, পরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিরলেও আবার চোটে পড়ে কয়েক মাসের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে পড়েন। ফেরার পর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেললেও টেস্ট খেলতে নামলেন ঠিক এক বছর পর, একই প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা আর একই ভেন্যু গলে।
শততম উইকেটের অপেক্ষায় থাকা শাহিন আজ ম্যাচ শুরুর পর নিজের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে মাদুশকাকে সরফরাজ আহমেদের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান। কুশল মেন্ডিস আর দিমুথ করুনারত্নেরা কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও সফল হয়নি শাহিনের পেস-তোপের কারণে। দুজনকেই তুলে নেন শাহিন। অপর প্রান্তে নাসিম শাহ দিনেশ চান্ডিমালের উইকেট তুলে নিলে শ্রীলঙ্কার স্কোর হয়ে যায় ৪ উইকেটে ৫৪ রান।
বিপর্যয়কর ওই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচে ফেরায় ধনাঞ্জয়া-অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস জুটি। দ্বিতীয় সেশনের প্রায় পুরোটা খেলে এ জুটি যোগ করে ১৩১ রান। আবরার আহমেদের বলে ম্যাথুসের সরফরাজের ক্যাচ হওয়ার মাধ্যমে জুটিটি ভাঙে চা-বিরতির আগমুহূর্তে। ম্যাথিউস ১০৯ বলে ৯ চারে ৬৪ রান করেন।
এরপর সাদিরা সামারাবিক্রমাকে নিয়ে আরেকটি জুটি গড়ে তোলেন ধনাঞ্জয়া। তবে ভালো খেলতে থাকা সামারাবিক্রমা দিনের শেষ ওভারে আগা সালমানের বলে শর্ট লেগে ইমাম-উল-হকের দারুণ ক্যাচে পরিণত হন। ৫৭ রানের জুটিতে ৩৬ রান করেন সামারাবিক্রমা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৬৫.৪ ওভারে ২৪২/৬ (ধনাঞ্জয়া ৯৪*, ম্যাথুস ৬৪, করুনারত্নে ২৯; শাহিন ৩/৬৩)।
(প্রথম দিন শেষে)