ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
টেস্ট খেলতে যাওয়ার আগে সাদমানের ব্যাটে রান
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে যাওয়ার আগে রান পেয়েছেন সাদমান ইসলাম, জিতেছে তাঁর দল অগ্রণী ব্যাংকও। পারটেক্সের কাছে হেরে লিগ শেষ হয়েছে ধানমন্ডি ক্লাবের, জিতেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সও।
সাদমানের দারুণ ব্যাটিংয়ে অগ্রণী ব্যাংকের জয়
সতীর্থদের অনেকেই সিলেটে গিয়ে শুরু করে দিয়েছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতি। সাদমান ইসলামও ছুটবেন আজই। যাওয়ার আগে তাঁর ব্যাটে রানের দেখা মিলল—মিরপুরে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ৮৯ রানের জয় পেয়েছে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। ১০৪ বলে ৮৭ রান করে এই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় জাতীয় দলের ওপেনার সাদমান।
তাঁর ব্যাটে ভর করেই ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান করে অগ্রণী ব্যাংক। এ ছাড়া ফিফটি পেয়েছেন ইমরানুজ্জামান (৬৭ বলে ৫০) ও অমিত হাসান (৬৬ বলে ৫৯)। শেষ দিকে অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব ৩৬ বলে ৪৮ ও শুভাগত হোম ১৩ বলে ২০ রান করেন। ৬ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে রূপগঞ্জের সেরা বোলার পেসার রেজাউর রহমান।
রান তাড়ায় ৪০.১ ওভারে ৪৭ রানে অলআউট হয় রূপগঞ্জ। ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন মাহমুদুল হাসান। অগ্রণী ব্যাংকের পেসার রবিউল হক পেয়েছেন ৪ উইকেট।
দুই দলই সুপার লিগে জায়গা করে নিয়েছে। প্রথম পর্ব শেষে অগ্রণী ব্যাংক পাঁচ ও রূপগঞ্জ আছে ছয়ে।
ওয়াসির ৬ উইকেট, তৃতীয় হয়ে সুপার লিগে গাজী গ্রুপ
বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ৫১ রানের জয়ে গুলশানকে পেছনে ফেলে তিনে উঠে এসেছে গাজী গ্রুপ। পুরো ৫০ ওভার খেলে ৩০১ রানে অলআউট হয় গাজী গ্রুপ। দলটির হয়ে ৯০ বলে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন অভিজ্ঞ শামসুর রহমান। এ ছাড়া সালমান হোসেন ২৭ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৫১ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ব্রাদার্সের পেসার সুমন খান ৬৪ রানে পেয়েছেন ৪ উইকেট।
রান তাড়ায় জাহিদউজ্জামান খান ৯২ বলে ১৭ চার ও ২ ছক্কায় ১২২ রান করলেও দলের বড় হার এড়াতে পারেননি। গাজীর লেগ স্পিনার ওয়াসি সিদ্দিকি ৫২ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। ১১ ম্যাচে ২ জয় পাওয়া ব্রাদার্সকে খেলতে হবে রেলিগেশন লিগে।
হেরে লিগ শেষ ধানমন্ডির
আগেই নিশ্চিত হয়েছিল সুপার লিগ কিংবা রেলিগেশন—কোনোটাই খেলা হচ্ছে না ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের। প্রথম পর্ব শেষেই ছুটি পেয়ে যাওয়া ধানমন্ডির ক্লাবটি লিগ শেষ করল হার দিয়ে। অন্যদিকে ২ উইকেটের জয় পাওয়া পারটেক্স স্পোর্টিং পেয়েছে তৃতীয় জয়। রেলিগেশন লিগ খেলতে যাওয়া দলটি ব্রাদার্স ও শাইনপুকুরের চেয়ে এগিয়ে থেকে প্রথম পর্ব শেষ করল।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে ৪০ রানে ৬ উইকেট হারালেও ধানমন্ডি অলআউট হওয়ার আগে করতে পারে ২২৯ রান। সপ্তম উইকেটে ১৩৯ রান যোগ করার পথে ইয়াসির আলী ১০৬ বলে ৯০ ও মঈন খান ১০১ বলে ৮০ রান করেন। পারটেক্সের বাঁহাতি স্পিনার শহীদুল ইসলাম ৩১ রানে নেন ৫ উইকেট।
রান তাড়ায় পারটেক্স ৪৪ রানে হারিয়ে ফেলেছিল ৪ উইকেট। এরপর সাব্বির রহমানকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ৬৯ রানের জুটি আহরার আমিনের। সাব্বির ৪৭ রানে আউট হলেও পারটেক্স অধিনায়ক আহরার দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ৮৫ রান নিয়ে। ধানমন্ডির বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম ৫ উইকেট নিয়েছেন ৩২ রানে।