ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত, তবু রেকর্ড গড়ল ওয়ানডে ক্রিকেট
ওয়ানডে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে সম্ভবত ২০২৩ সালে। আর এ বছরই ইতিহাসের সর্বোচ্চ ওয়ানডে ম্যাচ হতে দেখেছে ক্রিকেট। ৯ জানুয়ারি করাচিতে বছরের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড। কাল বছরের সর্বশেষ ওয়ানডেতে নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। এ বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। যে কারণে বিশ্বকাপের আগে ওয়ানডেতে মনোযোগী ছিল দলগুলো। সব মিলিয়ে ২০২৩ সালে ওয়ানডে হয়েছে ২১৮টি—এক পঞ্জিকাবর্ষে দুই শর বেশি ম্যাচ এই প্রথম। শেষ হতে চলা বছরের ওয়ানডের নানা রেকর্ড দেখুন—
দুই শ ছাড়িয়ে
৭
সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে হওয়া ১০ বছরের মধ্যে ৭টিই বিশ্বকাপের বছর। বিশ্বকাপ না থাকার পরও বেশি ওয়ানডে দিয়ে তালিকায় ঢুকেছে ২০০৬, ২০০৯ ও ২০২২।
২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৬টি শতক বিরাট কোহলির। ৫০ ছাড়ানো ইনিংসও সবচেয়ে বেশি ভারতের সাবেক অধিনায়কের—১৪টি। কোহলি–সতীর্থ শুবমান গিলও ১৪ বার ৫০ ছাড়িয়েছেন।
২০২৩ সালের শীর্ষ পাঁচ ব্যাটসম্যান
লিটনের অন্য রেকর্ড
২০২৩ সালে চারজন ব্যাটসম্যান সর্বোচ্চ পাঁচবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। এর মধ্যে আইসিসি পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর একমাত্র খেলোয়াড় বাংলাদেশের লিটন দাস। বাকি তিনজন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জুনায়েদ সিদ্দিক ও কার্তিক মিয়াপ্পন এবং নেপালের আসিফ শেখ।
২০২৩ সালের শীর্ষ পাঁচ বোলার
১১
নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ৩২টি ওয়ানডে খেলেছে ২০২৩ সালে। এর মধ্যে জয় মাত্র ১১টিতে, যা এক পঞ্জিকাবর্ষে বাংলাদেশের পঞ্চম সর্বোচ্চ। ২০০৬ সালে ২৮ ম্যাচ খেলে ১৮টিতে জিতেছিল হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বাধীন দল। এখন পর্যন্ত জয়ের সংখ্যায় সেটিই বাংলাদেশের সফলতম বছর।
পুরো বছরে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি ৫টি করে স্টাম্পিং করেছেন তিনজন—দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক, নেদারল্যান্ডসের স্কট এডওয়ার্ডস ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভৃত্য অরবিন্দ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪টি স্টাম্পিং দুজনের—বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম ও টম ল্যাথামের। সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে এ বছর মোট ২৯টি ডিসমিসালস মুশফিকের।
অস্ট্রেলিয়ার ৬
এ বছরই ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। আর কোনো দেশের তিনটি বিশ্বকাপও নেই।