সাকিব–রিশাদদের প্রশংসায় মিসবাহ ও শোয়েব
নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে বাংলাদেশ সুপার এইটের খুব কাছে পৌঁছে গেছে। ১৬ জুন (বাংলাদেশে ১৭ জুন) নেপালের বিপক্ষে গ্রুপে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ। এই ম্যাচ জিতলে তো কথাই নেই, হারলেও সুপার এইটে যাওয়ার সুযোগ থাকবে বাংলাদেশের।
আর গতকাল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ফর্মে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। সব মিলিয়ে ‘ডি’ গ্রুপে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তুলে নেওয়া জয়ে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক দুই অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক ও শোয়েব মালিক।
‘হাম স্পোর্টস’–এর অনুষ্ঠান ‘দ্য ফ্লিক’–এ মিসবাহ বলেছেন, ‘সাকিব মনে হয় ১৭ বছর ধরে খেলছে। বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলেছে। ওর আত্মবিশ্বাসের জন্য এটা (রান পাওয়া) দরকার ছিল, দলের জন্যও। খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস ছিল, শুধু রানই করেনি, কর্তৃত্বও দেখিয়েছে। শুরুতেই উইকেট চলে গিয়েছিল, সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠে বাংলাদেশকে ১৬০ রান করার মতো মঞ্চ গড়ে দিয়েছে।’
মিসবাহ আরও বলেন, ‘মোস্তাফিজ দারুণ বোলিং করেছেন। বাংলাদেশের উইকেটের মতো উইকেট, ওর স্লোয়ার ব্যাটসম্যান বুঝতেই পারেনি। রিশাদও দুর্দান্ত বোলিং করেছে। সামনের ম্যাচ জিতে এরা যদি সুপার এইটে যায়, ওয়েস্ট ইন্ডিজে তারা খুব কার্যকর হতে পারে, কন্ডিশনও তাদের জন্য মানানসই হবে।’
একই অনুষ্ঠানে মালিক প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুলেরও, ‘নেদারল্যান্ডসের ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম ৫ ব্যাটসম্যানের সবাই শুরু পেয়েছে। আজকের ম্যাচে অধিনায়কত্ব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ওদের বিক্রমজিত সাকিবের বলে দুটি ও রিশাদের বলে একটি ছক্কা মেরেছে। অধিনায়ক হিসেবে সে (নাজমুল) তখন তৎপর ছিল। সঙ্গে সঙ্গে সে মাহমুদউল্লাহকে বোলিংয়ে নিয়ে আসে। কারণ, বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে ডানহাতি স্পিনাররা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সেটাই হয়েছে। মাহমুদউল্লাহ এসে উইকেট নিয়ে নেয়।’
মোস্তাফিজের প্রশংসা করে মালিক বলেন, ‘তাদের বোলিং আক্রমণ দারুণ, বিশেষ করে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ কন্ডিশনে। যেখানে স্পিনারদের বড় ভূমিকা থাকে। বাংলাদেশের কাছে মোস্তাফিজ আছে, ওর স্লোয়ার বল যারা বেশি খেলেনি, তাদের জন্য বোঝাটা কঠিন। সেটাই দেখা গেছে ম্যাচে। নেদারল্যান্ডসের ব্যাটসম্যানদের জন্য স্লোয়ার কঠিন হয়ে গিয়েছিল। যে কারণে মোস্তাফিজ ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ১২ রান দিয়েছে, ১ উইকেট নিয়েছে।’
সাকিবের ফর্মে ফেরাকে দারুণ কিছু মনে মানছেন ভারতের সাবেক পেসার বরুণ অরুণ। ইএসপিএন ক্রিকইনফোতে তিনি বলেছেন, ‘সাকিবের ফর্মে ফেরা বাংলাদেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ব্যাটিং ও বোলিং দুটোই আজ সাকিব ভালো করেছে। উইকেট পায়নি, তবে উইকেট ওর প্রাপ্য ছিল। শেষ দুই ওভারে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ১০ রান দিয়েছে।’
রিশাদের বোলিং স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য খুঁজে পেয়েছেন বরুন, ‘আমার মনে হয় বাংলাদেশ সুপার এইটে যাবে। শুরু থেকেই রিশাদ ভালো বোলিং করছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও প্রভাব ফেলার মতো পারফরম্যান্স ছিল তার। বাংলাদেশ বোলিং বিভাগ খুব ভালো করছে। একে অন্যকে সমর্থন করছে। মাহমুদউল্লাহর নেওয়া উইকেটও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আধুনিক লেগ স্পিনাররা ফ্লাট বোলিং করেন, তবে রিশাদ হাওয়ায় ভাসিয়ে বল বাঁক খাওয়ানোর চেষ্টা করে।’