ভারতে আসার আগে সাঈদ আনোয়ারের কাছ থেকে যে পরামর্শ নিয়েছেন রিজওয়ান
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই বিপর্যয় থেকে পাকিস্তানকে টেনে তুলতে দারুণ ব্যাটিং করেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। রিজওয়ান যখন ব্যাটিং করতে নামেন, পাকিস্তান তখন ৩৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো কাঁপছিল। এমন পরিস্থিতিতে দারুণ এক ইনিংস খেলে দলকে উদ্ধার করেন এই উইকেট–রক্ষক ব্যাটসম্যান।
চতুর্থ উইকেটে সৌদ শাকিলের সঙ্গে গড়েন ১১৪ বলে ১২০ রানের দুর্দান্ত এক জুটি। দলীয় ১৮২ রানে ফেরার আগে রিজওয়ান খেলেন ৭৫ বলে ৬৮ রানের ইনিংস। ম্যাচ শেষে বেশ প্রশংসিত হচ্ছেন রিজওয়ান। পরে তিনি জানান ব্যাট হাতে নিজের সাফল্যের রহস্য। বলেছেন, বিশ্বকাপে আসার আগে ভারতের কন্ডিশনের ব্যাপারে তিনি পাকিস্তানের কিংবদন্তি ওপেনার সাঈদ আনোয়ারের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে এসেছেন।
শুরুতে বিপর্যয়ে পড়া দলকে দারুণভাবে পথ দেখানো রিজওয়ান ভারতের মাটিতে নিজের প্রথম ম্যাচেই সাফল্য পাওয়া নিয়ে বলেছেন, ‘ক্রিকেটে খেলার পরিবেশ সব সময় অনিশ্চিত। এমনকি ম্যাচের মধ্যেও অনেক সময় পরিস্থিতি বদলে যায়। সময়ের সঙ্গে উইকেট ভিন্নভাবে আচরণ করে। তাই একজনকে সব ধরনের পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রস্তুতি নিতে হয়।’
ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলতে আসার আগে সাবেক ওপেনার সাঈদ আনোয়ারের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলেছেন রিজওয়ান। ভারতের মাটিতে আনোয়ারের দারুণ পারফরম্যান্সের কারণেই তাঁর দ্বারস্থ হয়েছিলেন রিজওয়ান। ভারতে ১০ ওয়ানডেতে ৪৯.৫০ গড় ও ১০৩.৭৭ স্ট্রাইক রেটে ৪৯৫ রান করেছেন আনোয়ার। যেখানে আছে ১৯৯৭ সালে চেন্নাইয়ে খেলা ১৯৪ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংসটিও। দীর্ঘদিন যা ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল।
ক্রিকেট পাকিস্তানের প্রতিবেদনে বলা হয়, আনোয়ারের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার ব্যাপারে রিজওয়ান বলেছেন, ‘ভারতের কন্ডিশনের জন্য প্রস্তুতি নিতে আমি এখানে আসার আগে সাঈদ আনোয়ারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি ভারতের স্বতন্ত্র পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে জোর দিয়েছেন। ভারতের পিচগুলো সাধারণত ভালো হলেও, মাঝেমধ্যে এগুলো ভিন্ন আচরণ করে থাকে। যে কারণে অস্ট্রেলিয়া সফরের প্রস্তুতি থেকে ভারত সফরের প্রস্তুতি আলাদা হয়ে থাকে।’
বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু নিয়ে রিজওয়ান বলেছেন, ‘বড় টুর্নামেন্টে শুরুতেই ভালো করা দরকার। কারণ, সামনের ম্যাচগুলোতে পরিস্থিতি কঠিন হতে থাকে। বিশ্বের সব দল যেখানে খেলে, সেখানে চাপটাও একটু অন্য রকম হয়। যেকোনো দলের বিপক্ষে জয় আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দেয়। ড্রেসিংরুমের আবহাওয়া বদলে যায়, ম্যানেজমেন্ট, খেলোয়াড় সবার মানসিক অবস্থা ভালো থাকে। এই জয় আমাদের জন্য জরুরি ছিল।’
টপঅর্ডারের ব্যর্থতা নিয়েও এ সময় কথা বলেছেন এই উইকেটরক্ষক–ব্যাটসম্যান, ‘অনেকেই বলছে আমাদের টপঅর্ডার পারফর্ম করতে পারছে না। কিন্তু একটু পেছনে গেলে দেখব, দুই বছর ধরে আমাদের টপঅর্ডার পারফর্ম করে আসছে। এ কারণেই আমরা এক নম্বরে ছিলাম। আর এর মধ্য দিয়ে আল্লাহ হয়তো দেখাল যে আমাদের মিডলঅর্ডারও পারফর্ম করতে পারে। এটা একটা ভালো চিহ্ন।’
১০ অক্টোবর হায়দরাবাদে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান।