মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: বাংলাদেশ পরিস্থিতিতে নজর আইসিসির
আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশে বসবে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসর। টুর্নামেন্ট শুরু হতে এখনো দুই মাসের বেশি সময় বাকি। তবে এর মধ্যেও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন আইসিসি।
আইসিসি জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। গত সপ্তাহে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত ১৯৭ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
কলম্বোয় ১৯ থেকে ২২ জুলাই ছিল আইসিসির বার্ষিক সাধারণ সভা। সভার শেষ দিন আইসিসির এক সূত্র ক্রিকবাজকে বলেছেন, ‘আমরা পরিস্থিতি খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছি। যদিও টুর্নামেন্টটি এখনো কিছুটা দূরেই। পরিস্থিতিও গত ২৪ ঘণ্টায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে।’ বিষয়টি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেও অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রিকবাজ।
গত মে মাসে ১৯ দিনব্যাপী মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ করেছিল আইসিসি। ৩ অক্টোবর শুরু হয়ে ২০ অক্টোবর শেষ হওয়ার কথা ১০ দলের এই টুর্নামেন্ট। খেলা হবে ঢাকার শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম ও সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে।
এর আগে আন্দোলনকে ঘিরে সারা দেশে গত পাঁচ দিন বন্ধ ছিল ইন্টারনেট। এ সময় দেশ ছেড়েছেন অনেক বিদেশি শিক্ষার্থী। দেওয়া হয়েছে কারফিউ। এসব কারণেই উদ্বিগ্ন ছিল আইসিসি। তবে গত রাত থেকে দেশে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হয়েছে। কিন্তু শুরুতে সবাই ইন্টারনেট পাচ্ছেন না; জরুরি সেবা, আর্থিক ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমসহ কিছু খাতকে প্রাধান্য দিয়ে ইন্টারনেট চালু হচ্ছে।
এ ছাড়া চলমান কারফিউ আরও শিথিল করেছে সরকার। মহাসড়কগুলোয় যান চলাচল শুরু হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি অফিস আজ বুধবার থেকে চার ঘণ্টার জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ পরিস্থিতি এখন কিছুটা উন্নতির দিকে।
১০ দলের এ টুর্নামেন্টে ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে সঙ্গে পাবে বাছাইপর্ব উতরে আসা স্কটল্যান্ড। টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।