- ৭ উইকেটে হারল বাংলাদেশ
- স্বাগতম!
- টসে হারল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ একাদশ
- ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ
- ৬ রানে শুরু বাংলাদেশের
- তানজিদের ঝোড়ো শুরু, সৌম্য আউট
- টেস্ট খেলে আউট লিটন!
- মিরাজও আউট, চাপে বাংলাদেশ
- ক্যাচ শিখিয়ে ফিরলেন তানজিদ
- টি–টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা বাংলাদেশের
- আফিফ–মাহমুদউল্লাহর জুটি গড়ার চেষ্টা
- উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট আফিফ
- মোতির ফাঁদে আউট জাকেরও
- কোনো রান না করেই ফিরলেন রিশাদ
- মাহমুদউল্লাহ–তানজিমের জুটি
- ৮ম উইকেটে বাংলাদেশের রেকর্ড জুটি, ফিরলেন তানজিম
- মাহমুদউল্লাহ ফিরলেন ৬২ রানে
- ৭ উইকেটে ১১৫ থেকে ২২৭ রানে অলআউট
- রান তাড়ায় ভালো শুরু ওয়েস্ট ইন্ডিজের
- ৯ ওভারেই ৫০-এর ঘরে ক্যারিবীয়রা
- লুইসের ক্যাচ ফেললেন সৌম্য
- অবশেষে মিলল প্রথম উইকেট
- আফিফের বলে কার্টিকে হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
৭ উইকেটে হারল বাংলাদেশ
পাঁচে নেমে দ্রুতই ম্যাচ শেষ করলেন শারফেন রাদারফোর্ড। খেললেন ১৫ বল, যার শেষ তিন বলের মধ্যে শরীফুল ইসলামকে দুই ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করে দিলেন ৩৭ ওভারের মধ্যেই।
বাংলাদেশের দেওয়া ২২৮ রানের লক্ষ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেরিয়ে গেল ৩৬.৫ ওভারেই। বল বাকি থাকল ৭৯টি, উইকেট ৭টি।
ওয়ার্নার পার্কের এই জয়ের মাধ্যমে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজও জিতে নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০১৪ সালের পর এই প্রথম ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশকে হারাল ক্যারিবীয়রা।
২২৭ রান তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়ের ভিত্তি পেয়ে যায় ব্রান্ডন কিং-এভিন লুইসের উদ্বোধনী জুটিতেই। দুজনের ২০ ওভার স্থায়ী জুটিতে ওঠে ১০৯ রান। লুইস ৪৯ রান করে ফিরে যাওয়ার পর দলের রান দেড় শ পার করিয়ে দিয়ে যান ব্রান্ডন কিং। শেষ দিকে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ম্যাচ শেষ করেছেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রাদারফোর্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৪৫.৫ ওভারে ২২৭ (মাহমুদউল্লাহ ৬২, তানজিদ ৪৬, তানজিম ৪৫, আফিফ ২৬, শরীফুল ১৫; সিলস ৪/২২, মোতি ২/৩৬, চেজ ১/১৮)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩৬.৫ ওভারে ২৩০/৩ (কিং ৮২, লুইস ৪৯, কার্টি ৪৫, রাদারফোর্ড ২৪*; আফিফ ১/১২, রানা ১/৩৮)।
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জেইডেন সিলস।
সিরিজ: ৩ ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে।
স্বাগতম!
সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পাকে আজ তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।
সিরিজ বাঁচাতে আজকের ম্যাচটি জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে। দেশের বাইরে প্রথম ম্যাচে হারের পর বাংলাদেশ কি কখনো ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে?
জানতে হলে ক্লিক করুন নিচের লিংকে।
দেশের বাইরে প্রথম ম্যাচে হারের পর বাংলাদেশ কখনো কি ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে
টসে হারল বাংলাদেশ
টসে জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ।
টসে হারের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ বলেছেন, ‘উইকেট ভালো মনে হচ্ছে। (প্রথম ওয়ানডের) একই উইকেট। আমাদের স্পিনারেরা ভালো সুযোগ পাবেন। ভালো একটি স্কোর আমাদের জন্য ভালো হবে। এই উইকেটে বোলিং করা কঠিন। তবে আমাদের ভালো বোলার আছে।’
মিরাজ জানিয়েছেন, আজকের ম্যাচে পেসার তাসকিন আহমেদের জায়গায় খেলবেন আরেক পেসার শরীফুল ইসলাম।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক হোপ টস জিতে বলেছেন, ‘(উইকেটের) আর্দ্রতা এখানে বড় একটি বিষয়। (প্রথম ম্যাচে) আমরা রান তাড়ায়ও ভালো করেছি।’
হোপ জানিয়েছেন, এই ম্যাচে অভিষেক হচ্ছে পেসার মারকুইনো মিন্ডলের।
বাংলাদেশ একাদশ
তানজিদ হাসান, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, আফিফ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), জাকের আলী (উইকেটকিপার), রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, শরীফুল ইসলাম, নাহিদ রানা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ
ব্রান্ডন কিং, এভিন লুইস, কিসি কার্টি, শাই হোপ (উইকেটকিপার ও অধিনায়ক), শেরফান রাদারফোর্ড, জাস্টিন গ্রিভস, রোস্টন চেজ, রোমারিও শেফার্ড, মারকুইনো মিন্ডলে, গুড়াকেশ মোতি ও জেইডেন সিলস।
৬ রানে শুরু বাংলাদেশের
ওয়ানডে অভিষেকে বাংলাদেশের ইনিংসে প্রথম ওভারেই বোলিং করলেন মারকুইনো মিন্ডলে। প্রথম বলেই তানজিদ হাসানের ব্যাটের কানায় লেগে চার হজম করলেও মোট ৬ রান দিয়ে ওভারটি খারাপ করেননি।
তানজিদের সঙ্গে ওপেনিংয়ে অন্য প্রান্তে নেমেছেন সৌম্য সরকার।
বাংলাদেশ: ১ ওভারে বিনা উইকেটে ৬ রান।
তানজিদের ঝোড়ো শুরু, সৌম্য আউট
মিন্ডলের করা তৃতীয় ওভারে ২টি ছক্কা ও ১ চারে মোট ১৮ রান নেন তানজিদ। কিন্তু সিলসের করা চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই মিড অনে ক্যাচ দিয়ে আউট সৌম্য। ৫ বলে ২ রানে আউট হলেন।
তিনে নেমেছেন লিটস দাস।
বাংলাদেশ: ৫ ওভারে ১ উইকেটে ৩৪। তানজিম ১৯ বলে ৩০ রানে অপরাজিত। লিটন ৬ বলে ১।
টেস্ট খেলে আউট লিটন!
রান বের করতে পারছিলেন না। ধৈর্য হারিয়ে ফেলেছিলেন। একটি বাউন্সার পেয়েই পুল করতে গিয়ে ঠিকমতো ব্যাটে পাননি। বল ব্যাটের মাথায় লেগে ক্যাচ গেল ব্যাকওয়ার্ড পেয়েন্টে এভিন লুইসের হাতে। ১৯ বলে ৪ রান করে আউট লিটন। যেন টেস্ট খেললেন!
চারে নেমেছেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। তানজিদ ২৪ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত।
বাংলাদেশ ৮ ওভারে ২ উইকেটে ৪১।
মিরাজও আউট, চাপে বাংলাদেশ
লিটনের মতো অতটা অদ্ভুত আউট নয়, তবে মিরাজের আউটও অবাক করার মতোই।
সিলসের করা ১০ম ওভারের পঞ্চম বলটি ছাড়তে গিয়েও এড়াতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। বল তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে স্টাম্পের বেলস ফেলেছে। বোল্ড! ৫ বলে ১ রানে ফিরলেন মিরাজ।
পাঁচে নেমেছেন আফিফ হোসেন। বাংলাদেশ ১০ ওভারে ৩ উইকেটে ৫৫। তানজিদ ৩০ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত।
ক্যাচ শিখিয়ে ফিরলেন তানজিদ
গ্রিভসের করা ১১তম ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে দারুণ শটে দুটি চার মারার পর তানজিদ হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন ক্রিকেট খেলায় ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ফিল্ডার থাকে। পঞ্চম বলে সেখানে দাঁড়ানো রোস্টন চেজকে ক্যাচ শিখিয়ে ফিরলেন। দারুণ এক সম্ভাবনাময় ইনিংসের অপমৃত্যু। ৩৩ বলে ৪৬ রানে ফিরলেন তানজিদ।
৭ বলের মধ্যে ২ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ২০ বলের মধ্যে পড়েছে ৩ উইকেট। চাপে বাংলাদেশ।
ছয়ে নামা মাহমুদউল্লাহ ৭ বলে ১ রানে অপরাজিত। আফিফ ১৫ বলে ১৩।
বাংলাদেশ ১৪ ওভারে ৪ উইকেটে ৮২।
টি–টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা বাংলাদেশের
ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ চলাকালীন টি–টোয়েন্টি সিরিজের স্কোয়াড ঘোষণা বিসিবির। তিন ম্যাচের এই সিরিজে অধিনায়ক লিটন দাস।
সেন্ট ভিনসেন্টে টি–টোয়েন্টি সিরিজের সব ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ১৬, ১৮, ও ২০ ডিসেম্বর টি–টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে।
আফিফ–মাহমুদউল্লাহর জুটি গড়ার চেষ্টা
পঞ্চম উইকেটে স্বাভাবিক ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করছেন আফিফ। ৩ চারে ২৪ বলে ১৯ রানে ব্যাট করছেন। ১০ বলে ৪ রানে অন্য প্রান্তে মাহমুদউল্লাহ। ৩১ বলে ২৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন দুজন। বড় সংগ্রহ পেতে জুটিটা আরও অনেক বড় করতে হবে দুজনকে।
বাংলাদেশ: ১৬ ওভারে ৪ উইকেটে ৯১ রান।
উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট আফিফ
বাংলাদেশের রান সবে ১০০ ছুঁয়েছে। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে আফিফের জুটিটাও বড় হচ্ছিল। ঠিক এমন সময় ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ শট খেললেন আফিফ। নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে আসা গুড়াকেশ মোতিকে স্লগ সুইপ করতে গেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। কিন্তু বল গেল মিড অফ ও লং অফের মাঝ বরাবর। কিছু পেছনে দৌড়ে দারুণ ক্যাচ নিলেন শেরফান রাদারফোর্ড।
বাংলাদেশ: ১৯ ওভারে ৫ উইকেটে ১০১ রান।
মোতির ফাঁদে আউট জাকেরও
এলবিডব্লু! ৯ বলে ৩ রান করা জাকের আলী রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। স্টাম্পের মধ্যে তাঁর পেছনের পায়ে বল লেগেছে।
সাতে নেমেছেন রিশাদ হোসেন। তাঁকে নিয়ে এখন লড়াই মাহমুদউল্লাহর। বাংলাদেশ ২০০ রানও করতে পারবে কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
বাংলাদেশ: ২১ ওভারে ৬ উইকেটে ১০৪ রান।
কোনো রান না করেই ফিরলেন রিশাদ
মারকিনো মাইন্ডলির বলে রোস্টন চেজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন রিশাদ। ৮ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি তিনি।
মাহমুদউল্লাহ–তানজিমের জুটি
২৫.৩ ওভারে ১১৫ রানে পড়েছিল ৭ উইকেট। এরপর ৮ম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম। ৯৮ বলে ৮০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন দুজন।
৪২ ওভারে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ১৯৫। মাহমুদউল্লাহ ৫০ ও তানজিম ৪৪ রানে অপরাজিত। বাংলাদেশের পেসার তানজিমের ওয়ানডেতে এটাই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ওয়ানডেতে ৩১তম ফিফটি পেলেন মাহমুদউল্লাহ।
৮ম উইকেটে বাংলাদেশের রেকর্ড জুটি, ফিরলেন তানজিম
ওয়ানডেতে ৮ম উইকেটে এতদিন বাংলাদেশের রেকর্ড রানের জুটি ছিল মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মোহাম্মদ মিঠুনের। ২০১৯ সালে নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৪ রানের জুটি গড়েছিলেন তাঁরা।
আজ ৮ম উইকেটে সেই জুটির রানকে পেছনে ফেলেছেন মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম। ১০৬ বলে ৯২ রানে ভাঙল তাঁদের জুটি। ৪৩.১ ওভারে বোলার রোস্টন চেজকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তানজিম। ৬২ বলে ৪৫ রানের দারুণ এক ইনিংসই খেললেন এই পেসার। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এটা তাঁর সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
বাংলাদেশের স্কোর ৪৪ ওভারে ৮ উইকেটে ২০৯। মাহমুদউল্লাহ ৬২ রানে অপরাজিত। দশে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন শরীফুল ইসলাম।
মাহমুদউল্লাহ ফিরলেন ৬২ রানে
৪ ছক্কা ও ২ চারে ৯২ বলে ৬২ রানে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ। ৪৫তম ওভারের প্রথম বলে সিলসকে পয়েন্ট দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন।
মাহমুদউল্লাহ যখন নামেন বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৬৪। আউট হওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ৯ উইকেটে ২০৯। বাংলাদেশের স্কোরকে ভদ্রস্থ করায় তাঁর অবদান অনেক।
বাংলাদেশের স্কোর ৪৫ ওভারে ৯ উইকেটে ২১৩। ক্রিজে নাহিদ রানা ও শরীফুলের শেষ উইকেট জুটি।
৭ উইকেটে ১১৫ থেকে ২২৭ রানে অলআউট
২৫.৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৭ উইকেটে ১১৫। সেখান থেকে ৪৫.৫ ওভারে ২২৭ রানে অলআউট হওয়া একদম খারাপ না!
তবে স্কোর আরও বড় হতে পারত। হয়নি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায়।
মূলত একটি জুটিতে ভর করে ২০০ পার হয়েছে বাংলাদেশ। ৮ম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম হাসানের ১০৬ বলে ৯২ রানের জুটি। ওয়ানডেতে ৮ম উইকেটে এটি বাংলাদেশের রেকর্ড রানের জুটি। ৪৫ রানে আউট হন পেসার তানজিম। মাহমুদউল্লাহ করেছেন ৬২।
শেষ উইকেটে ১০ বলে ১৮ রানের জুটি গড়েন শরীফুল ইসলাম ও নাহিদ রানা। তানজিমের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর জুটির আগে আশা দেখিয়েছিল আরও একটি জুটি। সেখানেও মাহমুদউল্লাহ। তাঁর সঙ্গে আফিফ হোসেনের পঞ্চম উইকেটে ৪৮ বলে ৩৬ রানের জুটি। ২৯ বলে ২৪ রানে আউট হন আফিফ। ওপেনার তানজিদের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৩ বলে ৪৬।
সৌম্য, লিটন, মিরাজ, জাকের, রিশাদ ব্যাটিংয়ে কিছু করতে পারেননি। ২২ রানে ৪ উইকেট নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার সিলস।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৯৪ তুলেও ৫ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচানোর এই ম্যাচে ২২৭ করায় তাই হারের শঙ্কাই বেশি। সবকিছু নির্ভর করছে এখন বোলারদের ওপর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৪৫.৫ ওভারে ২২৭ (মাহমুদউল্লাহ ৬২, তানজিদ ৪৬, তানজিম ৪৫, আফিফ ২৬, শরীফুল ১৫, নাহিদ ৪*, লিটন ৪, সৌম্য ২, মিরাজ ১, রিশাদ ০; সিলস ৪/২২, মোতি ২/৩৬, চেজ ১/১৮, মিন্ডলে ১/৪৫, শেফার্ড ১/৫০, গ্রিভস ১/৪৪)।
রান তাড়ায় ভালো শুরু ওয়েস্ট ইন্ডিজের
শরীফুল ইসলামের প্রথম ওভারেই দুটি চার মেরেছেন ব্রান্ডন কিং। পরের ওভারে তানজিম সাকিবের বলে একটি। প্রথম দুই ওভারে ১৬ রান তুলে ফেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজ পরের তিন ওভারে কোনোটিতেই অবশ্য ১ রানের বেশি নিতে পারেনি। তবে মোটের ওপর বাংলাদেশের ২২৭ রান তাড়ায় শুরুটা ভালোই হয়েছে ক্যারিবীয়দের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫ ওভারে বিনা উইকেটে ১৯ রান। বাংলাদেশ তুলেছিল ২২৭ রান।
৯ ওভারেই ৫০-এর ঘরে ক্যারিবীয়রা
২২৭ রান তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার খেলছেন স্বচ্ছন্দে। তানজিম সাকিবের করা নবম ওভারে ২টি চার ১টি ছয় মেরেছেন এভিন লুইস। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৫০ হয়ে গেছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৪ রান। বাংলাদেশ তুলেছিল ২২৭ রান।
লুইসের ক্যাচ ফেললেন সৌম্য
আউটের সুযোগ দিয়েছিলেন এভিন লুইস। কিন্তু বাংলাদেশ সেটা নিতে পারলে তো!
মিরাজের করা ইনিংসের ১৪তম ওভারের চতুর্থ বলে লং অনে ক্যাচ তুলেছিলেন লুইস। কিন্তু সহজ ক্যাচ হাত থেকে ফেলেছেন সৌম্য সরকার। এ সময় লুইস ২৮ রানে ব্যাট করছিলেন।
লুইস এবং ব্রান্ডন কিংয়ের ব্যাটে চড়ে এক শর দিকে এগিয়ে চলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। লুইস ৩০, কিং ৪৪ রানে ব্যাট করছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৫ ওভারে বিনা উইকেটে ৭৯ রান। বাংলাদেশ তুলেছিল ২২৭ রান।
অবশেষে মিলল প্রথম উইকেট
ইনিংসের ২১তম ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম উইকেটের দেখা পেল বাংলাদেশ। রিশাদ হোসেনের বলে তাঁরই হাতে ক্যাচ দিয়েছেন এভিন লুইস (৬২ বলে ৪৯ রান)।
তবে এর মধ্যেই রান তাড়ায় প্রায় অর্ধেক রান তুলে ফেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। লুইস ও ব্রান্ডন কিংয়ের উদ্বোধনী জুটিতে উঠেছে ১০৯ রান। নতুন ব্যাটসম্যান কিসি কার্টি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২১ ওভারে ১ উইকেটে ১১২ রান। বাংলাদেশ তুলেছিল ২২৭ রান।
নাহিদ রানা আনলেন দ্বিতীয় উইকেট
এই ম্যাচের ফল বাংলাদেশের পক্ষে আসার লক্ষণ নেই। যে কারণে মিরাজদের লক্ষ্য হয়ে উঠেছে অনেকটা ব্যবধান কমানোই। সেটাই হয়তো করলেন নাহিদ রানা।
দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেছেন ব্রান্ডন কিংকে। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগানো কিং ৭৬ বলে করেছেন ৮২ রান। তাঁর ইনিংসটিতে ছিল ৮টি চার, ৩টি ছয়। নতুন ব্যাটসম্যান শাই হোপ, সঙ্গে আছেন কিসি কার্টি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩০ ওভারে ২ উইকেটে ১৮৪ রান। বাংলাদেশ তুলেছিল ২২৭ রান।
আফিফের বলে কার্টিকে হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
জয় যখন নাগালে, লুফে নিতে দেরি কেন? কিসি কার্টি তাই দ্রুতই ম্যাচ শেষ করতে চেয়েছেন। তবে আফিফকে লং অন দিয়ে ওড়াতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ক্যাচ তুলেছেন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের দিকে, ডাইভ দিয়ে ক্যাচ নিয়েছেন নাহিদ রানা। ১৯৭ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারাল তৃতীয় উইকেট। ব্যাটিংয়ে শাই হোপের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শারফেন রাদারফোর্ড।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩৫ ওভারে ৩ উইকেটে ২১১ রান। বাংলাদেশ তুলেছিল ২২৭ রান।