ধবলধোলাই এড়াতে নেটে ৩৫ বোলার ডাকল ভারত

মুম্বাই টেস্টের প্রস্তুতি নিতে ৩৫ জন নেট বোলার ডেকেছে ভারতছবি: এক্স

২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজটা ২–০ ব্যবধানে হেরেছিল ভারত। নিজেদের মাটিতে টেস্ট সিরিজে সেটিই ভারতীয়দের সর্বশেষ ধবলধোলাই হওয়ার ঘটনা।

দুই যুগ পর আবারও সেই শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বেঙ্গালুরু ও পুনে টেস্ট হেরে এরই মধ্যে নিউজিল্যান্ডের কাছে সিরিজ খুইয়েছে ভারত। শুক্রবার মুম্বাইয়ে শুরু হতে চলা শেষ টেস্টেও হেরে গেলে ২৪ বছর পর নিজেদের মাটিতে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হবে তারা।

সেই লজ্জা থেকে বাঁচতে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ঐচ্ছিক অনুশীলকে সবার জন্য বাধ্যতামূলক করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। শুধু তা–ই নয়, ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বোলিং আক্রমণ ভালোভাবে সামাল দিতে রোহিত–কোহলি–পন্তদের নেট অনুশীলনে ৩৫ জন বোলার ডাকা হয়েছে, যাঁদের বেশির ভাগই স্পিনার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

মুম্বাই টেস্টের পিচ স্পিন সহায়ক হবে বলে আশা ভারতের
এএফপি

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে, ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়শনের (এমসিএ) কাছে বেশিসংখ্যক নেট বোলার নিয়ে আসার অনুরোধ করে। দুই দিন বিরতির পর ওয়াংখেড়েতে আজ পুরোদমে অনুশীলন করেছে রোহিতদের দল। ব্যাটসম্যানদের পর্যাপ্ত অনুশীলন নিশ্চিত করতে ৩৫ জন নেট বোলার দীর্ঘ সময় বল করেন। তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের স্পিনার ছিলেন।

আরও পড়ুন

আগের দুই টেস্টে ভারতের ৪০ উইকেটের ২১টিই নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের স্পিনার মিচেল স্যান্টনার, এজাজ প্যাটেল ও গ্লেন ফিলিপস। পুনে টেস্টে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন স্যান্টনার। এই বাঁহাতি স্পিনার একাই নিয়েছিলেন ১৩ উইকেট, যা ভারতের মাটিতে এক টেস্টে কোনো সফরকারী বোলারদের তৃতীয় সেরা বোলিং।

ওয়াংখেড়ের পিচও ঐতিহ্যগতভাবে স্পিনারদের বেশি সহায়তা করে থাকে। এই মাঠে টেস্টে শীর্ষ দুই উইকেটশিকারিই স্পিনার—ভারতের অনিল কুম্বলে ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দুজনেরই উইকেট ৩৮টি করে। অশ্বিন এবার কুম্বলেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ভারতের আরেক স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা এই মাঠে একটিমাত্র টেস্ট খেলে নিয়েছেন ৬ উইকেট।

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের পাশেই আরব সাগর
ফেসবুক

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আরও জানিয়েছে, গতকাল সারা দিন ওয়াংখেড়ের পিচ উন্মুক্ত রাখা হয়েছিল এবং পিচে কোনো ঘাস ছিল না। মাঠকর্মীরা বেশ কয়েকবার পিচে পানি ছিটিয়েছেন এবং তপ্ত রোদে শুকানোর জন্য খোলা রেখেছেন। ওয়াংখেড়ের পাশেই আরব সাগর। সেখান থেকে আসা মৃদু বাতাস দিনের শুরুতে পেসারদের সহায়তা করে থাকে। তবে দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পিচ স্পিনবান্ধব হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন