স্বাগতম!
ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে ত্রিদেশীয় সিরিজে গ্রুপপর্বে শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। এই সিরিজে এখনো জয় না পাওয়া বাংলাদেশ কি শেষটা ভালো করতে পারবে? ৩ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ এখনো জয়শূন্য। নিউজিল্যান্ড ৪ ম্যাচের ৩টি এবং পাকিস্তান ৩ ম্যাচের ২টি জিতে ফাইনালে উঠেছে।
টস!
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ দল
দুটি পরিবর্তন!
দলে তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ ফিরেছেন। পেসার ইবাদত হোসেন ও অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেনের জায়গায় দলে ফেরানো হয়েছে তাঁদের।
বাংলাদেশ দল: সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন, লিটন দাস, আফিফ হোসেন, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), নুরুল হাসান (উইকেটকিপার), ইয়াসির আলী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ।
পাকিস্তান দল
একটি পরিবর্তন!
পাকিস্তান দলে একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। পেসার শাহনওয়াজ দাহানির জায়গায় ফিরেছেন আরেক পেসার মোহাম্মদ হাসনাইন।
পাকিস্তান দল: বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, শান মাসুদ, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান, হায়দার আলী, আসিফ আলী, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ ওয়াসিম, নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ হাসনাইন।
ওপেনিংয়ে নতুন জুটি?
ত্রিদেশীয় সিরিজে এ পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচেই দেখা গেছে নতুন ওপেনিং জুটি। প্রথম ম্যাচে ওপেনিংয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ছিলেন সাব্বির রহমান। দ্বিতীয় ম্যাচে সাব্বির বাদ, মিরাজের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত। তৃতীয় ম্যাচে মিরাজ বাদ, নাজমুলের সঙ্গে ওপেনিংয়ে লিটন দাস।
বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড আগেই জানিয়েছেন, এই ম্যাচেও নুতন ওপেনিং জুটি দেখা যেতে পারে।
ওপেনিংয়ে লিটন দাস ও সৌম্য সরকার না কি সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন?
চার পেসারের বাংলাদেশ
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে এটাই বাংলাদেশের সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এই ম্যাচে চার পেসার নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন মাথায় রেখেই সম্ভবত শেষ পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে নিচ্ছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শরীফুল ইসলাম তো দলে আছেনই, অন্য দুই পেসার তাসকিন ও হাসান মাহমদুকেও ফেরানো হয়েছে।
ওপেনিংয়ে সৌম্য ও নাজমুল
অ্যালান ডোনাল্ডের ইঙ্গিতই সত্যি হলো। আজ শেষ ম্যাচেও বদল দেখা গেল ওপেনিং জুটিতে। ওপেন করতে নেমেছেন নাজমুল হোসেন ও সৌম্য সরকার। আগের ম্যাচে লিটন দাসের সঙ্গে ওপেন করেছিলেন নাজমুল হোসেন।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমানকে ওপেনিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে মিরাজের সঙ্গে ওপেন করেন নাজমুল।
নাসিম শাহর ভালো শুরু
প্রথম ওভারের শেষ বলটি একটু না উঠলেই নাজমুল বোল্ড হতেন! মাত্র ১ রান দিয়ে দারুণ শুরু করলেন পাকিস্তানের পেসার নাসিম শাহ। ব্যাটে রান নিতে পারেননি বাংলাদেশের দুই ওপেনার।
বাংলাদেশ প্রথম ওভার শেষে বিনা উইকেটে ১ রান তুলেছে।
নড়বড়ে নাজমুল
প্রথম ওভারেই নাসিম শাহর পেসের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়েছে নাজমুল হোসেনের। মোহাম্মদ হাসনাইনের করা দ্বিতীয় ওভারে জোর করে লেগে খেলতে গিয়ে বেঁচে গেছেন।
বাংলাদেশ ২ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৬ রান তুলেছে।
আউট!
সৌম্য আউট।
তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে নাসিম শাহকে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ দেন সৌম্য। ৪ বলে ৪ রানে ফিরলেন এই ওপেনার।
ভালো লেংথের বলটি মারার চেষ্টা করলেও টাইমিং ভালো ছিল না। মাথার ওপরে ক্যাচ ওঠে। সুযোগটা নষ্ট করলেন সৌম্য আর ওপেনিং জুটি নিয়ে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের পরীক্ষাও কাজে লাগল না।
ক্রিজে নাজমুলের সঙ্গে যোগ দিলেন লিটন দাস। বাংলাদেশ ৩ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১০ রান তুলেছে।
নতুন বোলার
চতুর্থ ওভারেই বোলার পাল্টালেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। মোহাম্মদ ওয়াসিমকে বোলিংয়ে এনেছেন তিনি। প্রথম বলেই স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে চার মেরে ওয়াসিমকে স্বাগত জানালেন লিটন। ভালো শট!
জন্মদিন রাঙাতে পারবেন লিটন?
বাংলাদেশের এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের আজ ২৮তম জন্মদিন। চতুর্থ ওভারে ওয়াসিমকে টানা দুই চার মেরে ভালো কিছুর ইঙ্গিতই দিয়েছেন লিটন। জন্মদিন রাঙাতে তাঁর নিজের ইনিংসটি যতদূর সম্ভব টেনে নেওয়া প্রয়োজন। ওয়াসিমের করা ওভারের শেষ বলটি খাটো লেংথে পড়েছিল। লিটন পুল করতে কার্পণ্য করেননি। বল বাউন্ডারি না পেরেলেও দুটো রান তুলে নিয়েছেন।
বাংলাদেশ ৪ ওভার শেষে ১ উইকেটে ২০।
শান্ত যখন অশান্ত!
দুর্দান্ত!
হাসনাইনের করা প্রথম বলটি খাটো লেংথে পড়েছিল। সামনের পায়ে দুর্দান্তভাবে পুল করেন নাজমুল হোসেন। দেখার মতো শট!
দর্শনীয় লিটন!
হাসনাইনের একই ওভারে তৃতীয় বলটি উঠে আসায় টেনে স্ট্রেটে চার মারেন লিটন। এটি যদি সুন্দর শট হয় পরেরটি তাহলে ফ্রেমে বেঁধে রাখার মতো! ডাউন দ্য উইকেট এসে সোজা ব্যাটে হাসনাইনের মাথার ওপর দিয়ে চার। গর্জিয়াস! কোনো বোলারই এমন শট পছন্দ করবে না। ওভারে তিন চার হজম করে চাপে হাসনাইন।
বেঁচে গেলেন লিটন!
পঞ্চম ওভারেই হাসনাইনের শেষ বলে পয়েন্টে লিটনের ক্যাচ ফেলেন শান মাসুদ। সুযোগটা কাজে লাগাতে পারবেন লিটন?
বাংলাদেশ ৫ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৩৫। লিটন ১৪ বলে ২২। নাজমুল ১২ বলে ৭।
আউট!
ইনিংসের শুরু থেকেই দ্রুত রান তুলতে না পারায় খানিকটা চাপে ছিলেন নাজমুল হোসেন। দুটি চার মেরে চাপ কাটানোর চেষ্টাও করেন। ষষ্ঠ ওভারে ওয়াসিমকে ফাইন লেগ দিয়ে খেলতে গিয়ে উইকেটকিপার রিজওয়ানকে ক্যাচ দেন নাজমুল। ১৫ বলে ১২ রানে ফিরলেন এই ওপেনার।
ক্রিজে লিটনের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব আল হাসান।
নাটকের পর বেঁচে গেলেন লিটন
ওয়াসিমের বলটি লেগে খেলার চেষ্টা করেছিলেন সাকিব। একবার রান নেওয়ার কথা ভেবে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়েও গিয়েছিলেন সাকিব। লিটন ততক্ষণে পিচের অর্ধেক পেরিয়ে গেছেন! নন স্ট্রাইকে দাঁড়ানো বোলার ওয়াসিম হাতে বল পেয়েও কীভাবে উইকেট ভাঙতে পারলেন না তার কোনো ব্যাখ্যা হয় না। নিশ্চিত রান আউট থেকে বেঁচে গেলেন লিটন।
পাওয়ার প্লে–র ৬ ওভার শেষে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ৪১ রান তুলেছে।
স্পিনার!
পাওয়ার প্লে শেষেই স্পিনার শাদাব খানকে আক্রমণে এনেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। ৩ রান দিয়ে ভালো শুরু করেছেন শাদাব।
দুটি চারের পর বিশাল ছক্কা!
অন্য প্রান্ত থেকেও আরেক স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজকে বোলিংয়ে আনেন বাবর। তৃতীয় ও পঞ্চম বলে তাঁকে দুটো চার মারেন লিটন ও সাকিব। শেষ বলে কাউ কর্ণারের ওপর দিয়ে বিশাল ছক্কা মারেন সাকিব। নওয়াজের প্রথম ওভার থেকেই ১৭ রান তুলে নিলেন লিটন–সাকিব।
বাংলাদেশ ৮ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৬১। ১৭ বলে ২৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন লিটন–সাকিব।
শাদাবেরও ছক্কা হজম
হাঁটু গেড়ে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে! দুর্দান্ত শট লিটনের। ছক্কা!
বাংলাদেশ ৯ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৭৩। লিটন ২৪ বলে ৪০ রানে অপরাজিত।
বোলার পরিবর্তন
এবার চাপে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম!
নওয়াজ তাঁর প্রথম ওভারেই ১৭ রান দেওয়ায় তাঁর জায়গায় ইফতিখারকে বোলিংয়ে আনেন বাবর। বোঝাই যাচ্ছে, নওয়াজকে এনে বাড়তি রান দেওয়ার ঝুঁকি নিতে চাননি। ৭ রান দিয়ে ভালোই শুরু করলেন অফ স্পিনার ইফতিখার।
বাংলাদেশ ১০ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৮০। লিটন ২৭ বলে ৪৪ ও সাকিব ১৪ বলে ১৮ রানে অপরাজিত। পানি পানের বিরতি।
জন্মদিনে লিটনের ফিফটি
১২তম ওভারে শাদাবের দ্বিতীয় বল গালিতে ঠেলে এক রান নিয়ে ফিফটি তুলে নিলেন লিটন। ২১ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ১৬১.৩ স্ট্রাইক রেটে ইনিংসটি সাজিয়েছেন। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এটি সপ্তম ফিফটি লিটনের। দারুণ ইনিংসটিকে লিটন এখন কতদূর যেতে পারেন সেটাই দেখার বিষয়।
লিটন–সাকিব জুটিরও ফিফটি হলো এর মধ্য দিয়ে। ভালো ব্যাট করছেন দুজন। বাংলাদেশ ১২ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৯৬।
১০০ পার
১৩তম ওভারে পেসার হাসনাইনকে আক্রমণে ফেরান বাবর। ডিপ মিড উইকেটে স্লগ টেনে চার মেরে দলের রান ১০০ তে উন্নীত করেন সাকিব। ১৩ ওভার শেষে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ১০৪। সাকিব ২৪ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত। ৩৫ বলে ৫৬ রানে অন্য প্রান্তে লিটন। ওভারপ্রতি গড়ে ৮ করে রান তুলছে বাংলাদেশ।
শেষ ৫ ওভারে তুলেছে ৪৯ রান।
লিটনের ফ্লিক!
আক্রমণে ফিরেছেন পেসার নাসিম শাহ। তাঁর তৃতীয় বলকে কবজির মোচড়ে স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে ফ্লিক করেন লিটন। পাকিস্তানি ফিল্ডার ক্যাচটি প্রথমে নিতে পারলেও সীমানার দড়ির ওপর পা দিয়ে ফেলেন। দর্শনীয় শটে ছক্কা!
পঞ্চম বলে সাকিবের স্কুপ। চার! এই ওভার থেকে ১৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ। চাপে পাকিস্তান। ১৪ ওভার শেষে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ১১৮। দুই শ হবে?
আক্রমণে সাকিব
নওয়াজকে প্রথম বলেই স্ট্রেটের ওপর দিয়ে টেনে ছক্কা মারেন সাকিব। হাফ ভলি বলটি স্পিনারের মাথার ওপর দিয়ে তুলে মারেন। সুন্দর শট!
চতুর্থ বলে লিটন যেন আরও দুর্দান্ত! ডাউন দ্য উইকেট এসে কাভার ওপরের দিয়ে টেনে মারেন নওয়াজকে। বল গুলির বেগে সীমানার বাইরে!
লিটন আউট
১৫তম ওভারের পঞ্চম বলে নওয়াজকে সুইপে তুলে মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ওয়াসিমকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন লিটন। ২ ছক্কা ও ৬ চারে ৪২ বলে ৬৯ রানে ফিরলেন এই ব্যাটসম্যান। এর মধ্য দিয়ে ভেঙে গেল লিটন–সাকিবের ৫৫ বলে ৮৮ রানের জুটি।
ক্রিজে সাকিবের সঙ্গে যোগ দিলেন আফিফ হোসেন।
শেষ ৫ ওভারে কত উঠবে?
১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ১২৯। ক্রিজে সাকিব ২৯ বলে ৪৩ রান নিয়ে সেট। আফিফের হাতেও স্ট্রোক আছে ভালো। এই ভালো অবস্থান থেকে শেষ ৩০ বলে কত রান উঠতে পারে? ডেথ ওভারে দ্রুত রান তুলতে না পারার দুর্নাম আছে বাংলাদেশের। সাকিব–আফিফ কি পারবেন এই ম্যাচে সে দুর্নাম ঘোচাতে?
সাকিবের ফিফটি
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ৭০ রান করেছিলেন সাকিব। আজও ফিফটি তুলে নিলেন। ১৭তম ওভারে ওয়াসিমের তৃতীয় বলটি মিড উইকেটে ঠেলে ১ রান নিয়ে টানা দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাঁর আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি ১২তম ফিফটি। ব্যাটিং অর্ডারে সাত থেকে চারে উঠে এসেই রানের মুখ দেখছেন সাকিব।
ওয়াসিমের পঞ্চম বলটি পয়েন্টের ওপর দিয়ে তুলে মেরে ছক্কাও আদায় করে নেন সাকিব। পরের বলে ওয়াসিমের ইয়র্কার লেংথের বলটি পয়েন্ট দিয়ে চার মারেন। ম্যান ইন ফর্ম! বাংলাদেশ ১৭ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১৫২। ওয়াসিমের এই ওভার থেকে ১৪ রান নিয়েছেন সাকিব–আফিফ।
সাকিব ৩৬ বলে ৬০ রানে অপরাজিত।
বাকি আর ২ ওভার
১৮ ওভার শেষে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ১৬১। সাকিব ৪১ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত। আফিফ অন্য প্রান্তে ৬ বলে ৪ রানে ব্যাট করছেন। শেষ ২ ওভারে কত তুলতে পারে বাংলাদেশ?
১৯তম ওভারে নাসিমকে দ্বিতীয় বলেই লেগ দিয়ে চার মেরে দারুণ শুরু করেছেন আফিফ। কিন্তু পঞ্চম বলেই সাকিব আউট!
সাকিব আউট
১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে নাসিম শাহকে মিড উইকেট দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে শাদাবকে ক্যাচ দেন সাকিব। ৩ ছক্কা ও ৭ চারে ৪২ বলে ৬৮ রানে ফিরলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। স্ট্রাইক রেট ১৬১.৯০।
বাংলাদেশ ১৯ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৭০। ক্রিজে আফিফের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ইয়াসির আলী।
ইয়াসির আউট
মোহাম্মদ ওয়াসিমের করা শেষ ওভারের প্রথম বলটি স্ট্রেট দিয়ে টেনে মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দেন ইয়াসির। ২ বলে ১ রানে ফিরলেন তিনি। ক্রিজে আফিফের সঙ্গে নুরুল হাসান।
শেষ ওভারটা ভালো হলো না বাংলাদেশের
ওয়াসিমের করা ২০তম ওভারের প্রথম চার বলে ১ রানও নিতে পারেনি বাংলাদেশ। উল্টো ইয়াসির ও আফিফকে হারাতে হয়েছে। চতুর্থ বলে রান আউট হন আফিফ। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এসে পঞ্চম বলে ১টি রান নেন। শেষ বলে ২ রান নিতে পেরেছেন সাইফউদ্দিন–নুরুল।
বাংলাদেশ ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৭৩।
সাকিব–লিটনে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ বাংলাদেশের
পাকিস্তানের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১২ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৬ উইকেটে ১৭৫ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। আজ তুলেছে ৬ উইকেটে ১৭৩।
১০ বছর আগের সে ম্যাচে ৮৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছিলেন সাকিব। আজও সেই একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৪২ বলে ৬৮ রানের ইনিংস। ৩ ছক্কা ও ৭ চারে ইনিংসটি সাজান সাকিব। ২ ছক্কা ও ৬ চারে ৪২ বলে ৬৯ রান করেন লিটন। তৃতীয় উইকেটে তাঁদের ৫৫ বলে ৮৮ রানের জুটিতে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।
ওপেনিংয়ে টানা চতুর্থ দফায় নতুন জুটি নামিয়েও সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। আজ সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেনের ওপেনিং জুটি ভেঙেছে ২.১ ওভারে ৭ রানে। লিটন ও নাজমুল দ্বিতীয় উইকেটে ২১ বলে ৩৪ রানের জুটি গড়েন। দ্রুত রান তুলতে না পারা নাজমুল চাপে পড়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ষষ্ঠ ওভারে আউট হন। ১৫ বলে ১২ রান করেন নাজমুল। এরপর সাকিব–লিটন মিলে ভিত গড়েন ইনিংসের।
শেষ ৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ। এবারও ডেথ ওভারটা ভালো হলো না বাংলাদেশের। তবে এই ত্রিদেশীয় সিরিজে এটাই সর্বোচ্চ সংগ্রহ বাংলাদেশের। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে এমন স্কোর আশা জাগাবে বাংলাদেশের জন্য।
পাকিস্তানের হয়ে ২৭ রানে ২ উইকেট নেন নাসিম শাহ। ৩৩ রানে ২ উইকেট ওয়াসিমের। ৩ ওভারে ৩৭ রানে ১ উইকেট নেন স্পিনার নওয়াজ।
ভালো শুরু হাসান মাহমুদের
পাকিস্তানের ইনিংসে প্রথম ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে ভালো শুরু পেয়েছেন বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ। ওপেনিংয়ে পাকিস্তানের দুই স্তম্ভ বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানও সাবধানি শুরু করেছেন।
তাসকিনেরও ভালো শুরু
দ্বিতীয় ওভারে তাসকিনও মাত্র ৩ রান দিয়ে ভালো শুরু পেয়েছেন। তবে দুই পেসারের কেউ–ই সুইং পাননি নিজেদের প্রথম ওভারে।
পাকিস্তান ২ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৬ রান তুলেছে।
প্রথম চার!
তৃতীয় ওভারেও নতুন বোলার!
এবার আক্রমণে বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলাম। তাঁর প্রথম বলেই কাভার দিয়ে চার মারেন রিজওয়ান। বলটি ভালো লেংথেই ছিল। অন দ্য রাইজের ওপর ড্রাইভ করেন রিজওয়ান।
পাকিস্তান ৩ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ১৩ রান তুলেছে। তৃতীয় ওভারে ৭ রান দিয়েছেন শরীফুল।
নিয়ন্ত্রণহীন তাসকিন
তাসকিনের দ্বিতীয় ওভারটি ভালো হলো না। পাওয়ার প্লে–র মধ্যে বাবরের প্যাডের ওপর বল করা বিপজ্জনক। তাসকিন দ্বিতীয় বলটি প্যাডে করে চার হজম করেন। কিন্তু সেখান থেকেও শিক্ষা নেননি এই পেসার। পরের বলটি প্যাডেরও বাইরে, এবার ফাইন লেগ দিয়ে চার! এই ওভারে ১০ রান দিলেন তাসকিন।
পাকিস্তান ৪ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ২৩ রান তুলেছে। বাবর ১৩ বলে ১১ রানে অপরাজিত। রিজওয়ান ১১ বলে ১১ রানে ব্যাট করছেন।
আড়মোড়া ভাঙছেন বাবর–রিজওয়ান
বাংলাদেশের জন্য বিপদের ঘণ্টা!
রিজওয়ান–বাবর আগেই বাজে বল মেরে হাত খোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। পঞ্চম ওভারে হাসান মাহমুদও পাত্তা পেলেন না। তাঁর শেষ দুই বলে দুই চার মারেন বাবর। প্রথমটি পয়েন্ট ও কাভারের মাঝ দিয়ে দুর্দান্ত কাট শটে, পরেরটি বাজে খাটো লেংথে ছিল, টেনে স্ট্রেট দিয়ে চার মারেন বাবর।
পাকিস্তান ৫ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৩৫ রান তুলেছে।
এক দর্শক ও পাঁচ নিরাপত্তাকর্মী
পাওয়ার প্লে–তে জমাট পাকিস্তান
পাকিস্তান পাওয়ার প্লে–র ৬ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৪৬ রান তুলেছে। ২১ বলে ২৬ রানে অপরাজিত বাবর আজম। ১৪ বলে ১৭ রানে অন্য প্রান্তে রিজওয়ান।
ষষ্ঠ ওভারে সাইফউদ্দিনও বাজে লেংথে বল করেন। তাঁর প্রথম ও তৃতীয় বল দুটো ছিল খাটো লেংথের। বাবর ও রিজওয়ান সহজেই চার মারেন। এই ওভারে ১১ রান দেন সাইফউদ্দিন।
পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি দ্রুত ভাঙতে না পারলে বিপদে পড়বে বাংলাদেশ।
শুধু প্রথম দুই ওভারেই বাউন্ডারি নেই
পাকিস্তানের ইনিংসে শুধু প্রথম দুই ওভারে কোনো বাউন্ডারি হজম করেনি বাংলাদেশের বোলাররা। কিন্তু তারপর থেকে প্রতি ওভারেই এক বা একাধিক বাউন্ডারি মেরেছেন বাবর–রিজওয়ান জুটি। সপ্তম ওভারেও শরীফুলের শেষ বলে পয়েন্ট দিয়ে চার মারেন বাবর।
পাকিস্তান ৭ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৫৩।
আক্রমণে সাকিব
অষ্টম ওভারে স্পিনার!
চার পেসার মিলে পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি ভাঙতে পারেননি। আটকানো যায়নি রানের চাকাও। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তাই নিজেই নেমে পড়লেন বোলিংয়ে। নিজের প্রথম ওভারে ৪ রান দিয়ে শুরুটা ভালোই করলেন সাকিব।
শেষ ১০ ওভারে পাকিস্তানের চাই ১০১
নবম ওভারে ১ চারসহ ৯ রান দেন তাসকিন আহমেদ। সাকিব এসে ১০ম ওভারে কোনো বাউন্ডারি হজম করেননি। ৬ রান দিয়েছেন। পাকিস্তান ১০ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৭৩ রান তুলেছে। রিজওয়ান ২৭ বলে ২৮ এবং বাবর ৩৩ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত। শেষ ১০ ওভারে জয়ের জন্য ১০১ রান চাই পাকিস্তানের।
অর্থাৎ, ওভারপ্রতি গড়ে ১০.১০ রান করে তুলতে হবে পাকিস্তানকে। কোনো উইকেট না হারানোয় চাপটা বাংলাদেশের ওপরই বেশি।
হায় ! সাইফউদ্দিন!
১১তম ওভারের চতুর্থ বলটি রিজওয়ানের পায়ের বাইরে ফুল লেংথে করেছিলেন শরীফুল। রিজওয়ান কবজির মোচড়ে খেললেও বলটা উঠে গিয়েছিল। সোজা গিয়ে জমা পড়ে শর্ট ফাইন লেগে দাঁড়ানো সাইফউদ্দিনের হাতে। না জমা পড়েনি! মোয়ার মতো ক্যাচটা ফেলে দিলেন সাইফউদ্দিন! ম্যাচের এমন পরিস্থিতিতে এত সহজ ক্যাচ ছাড়ার মাশুল দিতে হতে পারে বাংলাদেশকে।
পাকিস্তান ১১ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৮১।
নো, সাইফউদ্দিন নো!
বোলিংয়ে ভালো করতে পারছেন না সাইফউদ্দিন। নিজের প্রথম ওভারে দিয়েছেন ১১ রান। ১৩তম ওভারে নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে দ্বিতীয় বলটি করেছেন ‘নো’ ডেলিভারি। ফ্রি হিট পায় পাকিস্তান। পরের ডেলিভারিটি আবার ওয়াইড! তারপরের বলে ২ রান নিয়েছে পাকিস্তান। তৃতীয় বলে স্ট্রেট দিয়ে চার! ভালো লেংথে বল করতে পারছেন না সাইফউদ্দিন। সেটি বোঝা গেল চতুর্থ বলেও। অফ স্টাম্পের বাইরে হাফ ভলি লেংথে করা বলটি গালি দিয়ে চার মেরে ফিফটি তুলে নেন বাবর। শেষ বলে মিড উইকেট দিয়ে তুলে মেরে চার, এবারও বাবর! এই ওভারে তিন চার, নো বল এবং ওয়াইডসহ মোট ১৯ রান দিলেন সাইফউদ্দিন। ম্যাচে এখন পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে খরুচে ওভার।
৩৮ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত বাবর। পাকিস্তান অধিনায়কের আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি ২৯তম ফিফটি। ৩৫ বলে ৪২ রানে ব্যাট করছেন রিজওয়ান।
পাকিস্তান ১২ ওভার শেষে ১০০ রান তুলেছে। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও তাঁদের হাতে।
হাসানের জোড়া আঘাত
বাবর আউট!
আগের ওভারেই ফিফটি তুলে নেওয়া বাবর খুনে মেজাজে ছিলেন। ১৩তম ওভারের তৃতীয় বলে হাসান মাহমুদকে কাভার দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে বদলি ফিল্ডার মোসাদ্দেক হোসেনকে ক্যাচ দেন বাবর। ৯ চারে ৪০ বলে ৫৫ রান করে ফিরলেন বাবর। এর মধ্য দিয়ে বাবর–রিজওয়ানের ৭৬ বলে ১০১ রানের জুটিও ভাঙল। ক্রিজে রিজওয়ানের সঙ্গে যোগ দেন হায়দার আলী।
হায়দারও আউট!
এক বল পরই দুর্দান্ত ইয়র্কারে হায়দারের (০) স্টাম্প ছত্রখান করেন হাসান। এই ওভার দিয়ে কি ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বাংলাদেশ?
পাকিস্তান ১৩ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১০২। ক্রিজে রিজওয়ানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মোহাম্মদ নওয়াজ।
জয়ের জন্য ৪২ বলে ৭২ রান দরকার পাকিস্তানের।
আক্রমণে সাকিব
১৫তম ওভারে বোলিংয়ে ফিরলেন সাকিব।
১৩তম ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল পাকিস্তান। ১৪তম ওভারে ১০ রান দিয়ে সেই চাপ কিছুটা আলগা করে ফেলেন তাসকিন। সাকিব এলেন চাপটা ধরে রাখতে। কিন্তু চতুর্থ বলে চার এবং পঞ্চম বলে ছক্কা হজম করে সাকিবও পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের আটকাতে পারলেন না। ওভারটির শেষ বলে মোসাদ্দেকের ফিল্ডিং ব্যর্থতায় আরও একটি চার হজম করতে হয়। তবে সাকিবের লেংথও ভালো ছিল না। নওয়াজকে টেনে মারার সুযোগ করে দেন।
এই ওভারে ১৭ রান দিয়েছেন সাকিব।
পাকিস্তান ১৫ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১২৯। শেষ ৫ ওভারে পাকিস্তানের চাই ৪৫ রান।
রিজওয়ানের ফিফটি
১৬তম ওভারে শরীফুলের প্রথম বলে ১ রান নিয়ে ফিফটি তুলে নেন রিজওয়ান। তাঁর আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি ২২তম ফিফটি। ৪২ বলে তুলে নেওয়া ফিফটির এই ইনিংসে স্ট্রাইক রেট হয়তো অনেকের পছন্দ হবে না। কিন্তু ম্যাচের পরিস্থিতি বিচারে ভালো ইনিংস।
পাকিস্তান ১৬ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১৩৭। শেষ ৪ ওভারে দরকার ৩৭ রান। রিজওয়ান ৪৫ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত। নওয়াজ ১০ বলে ২৩ রানে ব্যাট করছেন।
আবারও সাইফউদ্দিন, আবারও রানের ফোয়ারা!
সাইফউদ্দিনের ওপর ভরসা রেখে কি ভুল করলেন সাকিব?
নিজের প্রথম দুই ওভারে ৩০ রান দিয়েছিলেন সাইফউদ্দিন। ১৭তম ওভারে তাঁকে আবারও বোলিংয়ে ফিরিয়ে আনেন সাকিব। প্রথম দুই বলেই দুটি চার হজম করেন নওয়াজের কাছে। প্রথম বলটি করেছেন অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে। পরেরটিও বাইরে, বলে পেস ছিল না, নওয়াজ কাভার দিয়ে চার মারেন।
এই ওভারে ১২ রান দিলেন সাইফউদ্দিন। পাকিস্তান ১৭ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১৪৯। ১৮ বলে দরকার ২৫। সাইফউদ্দিনের এই ওভারেই কি ম্যাচ নিজেদের করে নিল পাকিস্তান? সম্ভবত!
পাকিস্তানের ১২ বলে চাই ১৪ রান
হাসান মাহমুদ ১৮তম ওভারে ১১ রান দেওয়ায় চাপটা একদম আলগা করে ফেলেছেন রিজওয়ান ও নওয়াজ। পাকিস্তান ১৮ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১৬০।
১৯তম ওভারে বোলিংয়ে সৌম্য সরকার।
বোলিংয়ে সৌম্য ও হতাশার ফিল্ডিং
প্রায় সব বোলারই মোটামুটি কম–বেশি মার খাওয়ায় ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে সৌম্য সরকারকে আনেন সাকিব। ফিল্ডারদের ভুলে তাঁর প্রথম দুই বলে ৪ রান নেন রিজওয়ান ও নওয়াজ। তবে পরের দুই বলে কোনো রান দেননি সৌম্য। কিন্তু পঞ্চম বলটি ওয়াইড এবং চমকটা পরের বলেই—রিজওয়ান আউট!
সৌম্যকে মারতে গিয়ে ডিপ এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ দেন রিজওয়ান। ৫৫ বলে ৬৯ রানে ফিরলেন রিজওয়ান।
১৯তম ওভারে মাত্র ৬ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন সৌম্য। পাকিস্তান ১৯ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১৬৬। শেষ ওভারে ৮ রান দরকার পাকিস্তানের। কে করবেন শেষ ওভার? ক্রিজে নওয়াজের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আসিফ আলী।
শেষ ওভারেও সাইফউদ্দিন এবং হার
নিজের প্রথম তিন ওভারে ৪২ রান দেওয়ার পরও সাইফউদ্দিনের ওপর থেকে আস্থা হারাননি সাকিব। শেষ ওভারে ৮ রানের সমীকরণে তাঁর হাতে বল তুলে দিয়েছেন। তাঁর প্রথম ৩ বল থেকে ৫ রান তুলেছেন নওয়াজ ও আসিফ। পরের বলেও এসেছে ২ রান। শেষ ২ বলে ১ রানের সমীকরণে থাকতে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটের জয় এনে দেন নওয়াজ।
১ ছক্কা ও ৫ চারে ২০ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত থেকে দারুণ ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেললেন নওয়াজ। ২ বলে ২ রানে অন্য প্রান্তে অপরাজিত আসিফ আলী।
এই হারের মধ্য দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ কোনো জয় ছাড়াই শেষ করল বাংলাদেশ। ৪ ম্যাচের সবগুলোই হেরেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে জয় তুলে নিয়ে কাল ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার আত্মবিশ্বাস তুলে নিল পাকিস্তান।
একটি প্রশ্ন এবং হতাশার বোলিং–ফিল্ডিং
টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল এবং অভিজ্ঞ বোলার কে? নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু এটা সেই প্রশ্ন নয়। প্রশ্ন হলো, শেষ ওভারে পাকিস্তানের জয়ের জন্য যখন ৮ রান দরকার, যখন ম্যাচে যেকোনোকিছুই হতে পারে, তখন সাকিব নিজে কেন বোলিংয়ে এলেন না? তাঁর এক ওভার বাকি ছিল। সাকিব নিজে না এসে কেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের হাতে বল তুলে দিলেন, যিনি তাঁর নিজের আগের ৩ ওভারে ৪২ রান দিয়েছেন, একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচও ছেড়েছেন। ম্যাচে তাঁর আত্মবিশ্বাস ছিল তলানিতে। চাপের মুখে সাকিব কেন তাঁকে একাধিকবার বোলিংয়ে পাঠালেন, বিশেষ করে শেষ ওভারে?
এই প্রশ্নের উত্তরে পাল্টা যুক্তি আসতে পারে, শেষ ওভারে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নওয়াজ থাকায় এবং আসিফ আলীর মতো মারকুটে ব্যাটসম্যান থাকায় স্পিন টানার ঝুঁকি নেননি সাকিব। সে ক্ষেত্রে টি–টোয়েন্টিতে সাকিবের বিশাল অভিজ্ঞতার কি দাম রইল?
১১তম ওভারে রিজওয়ান ৩২ রানে ব্যাটিং করার সময় তাঁর সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন সাইফউদ্দিন। তখন ক্যাচটা নিতে পারলে কে জানে ম্যাচের ফল অন্যরকমও হতে পারত! ৩.৫ ওভারে ৫৩ রান দেওয়া সাইফউদ্দিন এই ম্যাচটা নিশ্চিতভাবেই ভুলে যেতে চাইবেন। কিন্তু চাইলেই কী সব সম্ভব হয়! তাঁর বাজে বোলিং এবং ক্যাচ মিস এই ম্যাচে বাংলাদেশের হারের মূল কারণ হতে পারে। এর পাশাপাশি ৪ ওভারে ৩২ রান দেওয়া তাসকিনের নিয়ন্ত্রণহীন লাইন–লেংথের ভূমিকাও কম নয়। ৪ ওভারে ২৭ রানে ২ উইকেট নেওয়া হাসান মাহমুদ বাদে সব বোলারই বাউন্ডারি হজম করেছেন।]
প্রথম দুই ওভারে বোলিংয়ে ভালো শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এরপর প্রায় প্রতি ওভারেই এক বা একাধিক বাউন্ডারি হজম করায় ম্যাচটা ধীরে ধীরে বাংলাদেশের মুঠো ফসকে যায়। ৩ ওভারে ২৮ রান দেওয়া সাকিবের দায়ও তাতে কম নয়। পাকিস্তান ৩৬ বলে ৬২ রানের সমীকরণে থাকতে সাকিব ১৫তম ওভারে ১৭ রান দিয়ে চাপটা আলগা করে দেন। ৪ ওভারে ৩০ রান দেওয়া শরীফুলও রিজওয়ানের প্যাডে কম বল করলে পাকিস্তান আরেকটু চাপে পড়তে পারত। সব মিলিয়ে বোলিং মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের।
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে ব্যাটিংটা মোটামুটি হলেও বোলিং নিশ্চিতভাবেই ভাবাবে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টকে। এর পাশাপাশি ফিল্ডিংও। মোসাদ্দেক চার ছেড়েছেন, হাসান মাহমুদ চাপের মুহূর্তে বাজে ফিল্ডিং করায় ১ রানকে ২ বানিয়েছে পাকিস্তান। এসব ছোটখাটো ভুলে টি–টোয়েন্টি ম্যাচের চাপ আলগা হয়ে যায়, তা সবাই জানলেও বাংলাদেশের ফিল্ডাররা সম্ভবত ভুলে গিয়েছিলেন!