এই ডাবলেও দ্রুততম সাকিব
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতেই আগের মাইলফলকটি ছুঁয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। সেটি ছিল ওয়ানডেতে ৩০০ উইকেট ও ৬ হাজার রানের মাইলফলক। শহীদ আফ্রিদি ও সনাৎ জয়াসুরিয়ার পর তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে মাইলফলকটির দেখা পেয়েছিলেন সাকিব।
রেহান আহমেদকে আউট করে ৩০০তম উইকেট নেওয়ার মধ্য দিয়ে আফ্রিদি-জয়াসুরিয়ার পাশে বসেছিলেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার। ঠিক তার পরের ওয়ানডেতে মানে আজ সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আরেকটি মাইলফলকের দেখা পেলেন সাকিব।
ওয়ানডেতে ৭ হাজার রানের মাইলফলক। তাতে ওয়ানডেতে ৭ হাজার রান ও ৩০০ উইকেটের ‘ডাবল’ও হয়ে গেছে সাকিবের। আর এই ডাবলে সাকিবই দ্রুততম।
ওয়ানডেতে ৬৯৭৬ রান নিয়ে আজকের ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন সাকিব। ৭ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁতে দরকার ছিল ২৪ রানের। ২০তম ওভারে কার্টিস ক্যাম্ফারকে মিড অফে ঠেলে একটি রান নিয়ে তামিম ইকবালের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ৭ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন চারে নামা এ ব্যাটসম্যান।
৩০০ উইকেট ৬ হাজার রানের ডাবলে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার ছিলেন সাকিব, ৩০০ উইকেটে ও ৭০০০ রানের ডাবলেও বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তা না বললেও চলে।
তবে একটি জায়গায় সাকিব সেই আগের মতোই তৃতীয় ক্রিকেটার—ওয়ানডেতে ন্যূনতম ৩০০ উইকেট ও ৭ হাজার রানের ডাবল-ক্লাবে তিনি তৃতীয়। আগের দুজনের নামও পাল্টায়নি—শহীদ আফ্রিদি ও সনাৎ জয়াসুরিয়া। এই সংস্করণে আফ্রিদি ও জয়াসুরিয়ার পর তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে নাম লেখালেন তিনি।
২০০৭ সালে কলম্বোয় ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৯৭তম ম্যাচে ৩০০ উইকেট ও ন্যূনতম ৭ হাজার রানের মাইলফলকের দেখা পান জয়াসুরিয়া। সেদিন ৩০০তম উইকেটের দেখা পান লঙ্কান কিংবদন্তি। ওয়ানডেতে তখন তাঁর রানসংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। আর প্রতিপক্ষ? বাংলাদেশ!
ওয়ানডেতে ৭ হাজার রান ও ৩০০ উইকেট
আফ্রিদি এই ক্লাবে নাম লেখান ২০১২ সালে ভারতের বিপক্ষে ৩৪১তম ম্যাচে। এখানেও বাংলাদেশের সঙ্গে যোগসূত্র আছে। এশিয়া কাপের সে ম্যাচে ভেন্যু ছিল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। সেদিন ৭ হাজার রানের মাইলফলক টপকে এই ক্লাবে নাম লেখান আফ্রিদি।
পাকিস্তানের সাবেক এ অলরাউন্ডারের উইকেটসংখ্যা সে ম্যাচ শেষে ছিল ৩৪৩। সাকিব সে তুলনায় অনেক কম ম্যাচ খেলেছেন। ক্যারিয়ারের ২২৮তম ওয়ানডেতে এসে এই ক্লাবে নাম লেখালেন সাকিব।