কোয়াবের নেতৃত্বে সেই নাঈমুর–দেবব্রতই

আবারও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে কোয়াবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে রয়ে গেছেন নাঈমুর রহমান ও দেবব্রত পালছবি : বিসিবি

‘নির্বাচনের জন্য কি কেউ নেই! ’ একটু যেন বিস্মিতই হলেন নাজমুল হাসান। ক্রিকেটারদের সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) নির্বাচনের জন্যই বিসিবি সভাপতির এই আকুতি।

যদিও বিসিবির প্রধান হিসেবে নাজমুলের এ ব্যাপারে মন্তব্য করার কথা নয়, কিন্তু তাঁকে প্রধান অতিথি করে আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের মিডিয়া প্লাজায় হয়ে গেল কোয়াবের বার্ষিক সাধারণ সভা। সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল সংগঠনে নতুন নেতৃত্ব আনা।

কিন্তু সেটা আর হলো কই! কেউ প্রার্থী হতে আগ্রহ না দেখানোয় আবারও সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্বে রয়ে গেলেন বিসিবি পরিচালক নাঈমুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল থাকছেন বিসিবির বেতনভুক্ত ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল।

২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ অনানুষ্ঠানিক বার্ষিক সাধারণ সভার পর থেকেই কোয়াবের নেতৃত্বে আছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত এই দুজনের নেতৃত্বে থাকা ১১ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি। বার্ষিক সভায় উপস্থিত সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা হাত তুলে এই দুজনের প্রতি নিজেদের আস্থা জানিয়েছেন।

সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান
ছবি : বিসিবি

নাঈমুর ও দেবব্রতকে আবারও মনোনীত করা হলেও সভায় কোয়াবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হয়নি। এত দিন ধরে কোয়াবের কার্যনির্বাহী কমিটি ছিল ১১ জনের। আজকের সভায় গঠনতন্ত্রে সংশোধন করে আরও আটটি পদ বাড়ানো হয়েছে। কোয়াবের কমিটিতে প্রথমবারের মতো নারী ক্রিকেটারদেরও সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

সভাপতি নাঈমুর অবশ্য চেয়েছিলেন, তাঁর পদে এবার নতুন কেউ আসুক, ‘নতুনরা কেউ এলে আমি খুশি হতাম। নতুনরা কেন আসে না এটা ওরা বলতে পারবে। ওদের প্রশ্নের উত্তর তো আমি দিতে পারব না। আসার জন্য দরজা খোলা ছিল। তাদের আমরা আহ্বান জানিয়েছি যে কেউ আগ্রহী থাকলে একটা প্রক্রিয়া আছে, সেই প্রক্রিয়া অনুযায়ী তারা যদি প্রার্থিতা ঘোষণা করত বা আসত, আমি তো এখনো চাই, এখনো যদি কেউ আসে, আমরা আবারও চেষ্টা করব তাদের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য।’

বিসিবি কর্মকর্তারা ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা
ছবি : বিসিবি

২০১৯ সালে ক্রিকেটারদের ১৩ দফা আন্দোলনের একটি ছিল কোয়াবের নির্বাচন ও সংগঠনটির নেতাদের পদত্যাগ। কিন্তু সে আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের কেউই সভায় উপস্থিত ছিলেন না।

আরও পড়ুন

সাবেক অধিনায়কদের মধ্যে ছিলেন রকিবুল হাসান, আকরাম খান, খালেদ মাহমুদ, মিনহাজুল আবেদীন ও হাবিবুল বাশার। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন। এ ছাড়া নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা, জাহানারা আলম, ফারজানা হক সভায় যোগ দিয়েছেন।