বিশ্বকাপের আগে সিমন্সকে ‘বিশেষজ্ঞ কোচ’ বানাল পাপুয়া নিউগিনি
কোচ হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন ফিল সিমন্স। সাবেক এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে পাপুয়া নিউগিনির দায়িত্ব নিলেন। তাঁকে ‘বিশেষজ্ঞ কোচ’ বানিয়েছে পাপুয়া নিউগিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২৬ টেস্ট ও ১৪৩ ওয়ানডে খেলা ৬১ বছর বয়সী সিমন্স দ্বিতীয় মেয়াদে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচের দায়িত্ব ছাড়েন ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের পর। এর পর থেকে কাজ করছিলেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। সিপিএলে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স, এমএলসিতে এলএ নাইট রাইডার্স এবং পিএসএলে করাচি কিংসের কোচিং করিয়েছেন।
২ জুন (বাংলাদেশ সময়) থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘সি’ গ্রুপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে পাপুয়া নিউগিনি। জিম্বাবুয়ের সাবেক উইকেটকিপার ও অধিনায়ক টাটেন্ডা টাইবু এ দলের বর্তমান প্রধান কোচ। তাঁকে সাহায্য করাই হবে সিমন্সের কাজ।
ক্রিকেট পাপুয়া নিউগিনি (ক্রিকেট পিএনজি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্থানীয় ভেন্যুগুলো নিয়ে প্রচুর অভিজ্ঞতা থাকায় তাঁকে কোচিং স্টাফে সংযুক্ত করা হয়েছে। ‘সি’ গ্রুপে পাপুয়া নিউগিনির সব কটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে—গায়ানা ও ত্রিনিদাদে। সিমন্স জন্মেছেনও ত্রিনিদাদে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১৯৮৭, ১৯৯২ ও ১৯৯৯ বিশ্বকাপে খেলেছেন সিমন্স। ’৯৯ বিশ্বকাপে ওল্ড ট্রাফোর্ডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডে। ওপেনিং ব্যাটসম্যান ও মিডিয়াম পেস বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে বেশ খ্যাতিও কুড়িয়েছিলেন। পাপুয়া নিউগিনির বিশেষজ্ঞ কোচের দায়িত্ব নিয়ে সিমন্স বলেছেন, ‘আমার ভূমিকাটা কোচের পরামর্শকের। নিজের অভিজ্ঞতাটাও ভাগ করতে হবে। সেটি শুধু বিশ্বকাপের খেলায় নয়, ক্যারিবীয় অঞ্চলে এবং সেখানকার ভেন্যুগুলোয় যেন ঠিকঠাকমতো নিজেদের কাজটা করতে পারি, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।’
ঘরে ফেরার অপেক্ষার কথাও জানিয়েছেন সিমন্স, ‘খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ১৪ বছর কাটিয়েছি। এরপর আন্তর্জাতিক কোচ হিসেবে ১৮ বছর, অর্থাৎ অনেক দিন ধরেই খেলার সঙ্গে আছি। আসলে ঘরে ফেরাটা সব সময়ই আনন্দের, সেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেকোনো অংশে। আমি ঘরে ফেরার অপেক্ষায় আছি, যেটা ত্রিনিদাদ।’
পাপুয়া নিউগিনি দল গত সপ্তাহে সেন্ট কিটসে পৌঁছেছে। ওমান ও নামিবিয়ার বিপক্ষে দুটি অফিশিয়াল গা গরমের ম্যাচের আগে কিছু অনানুষ্ঠানিক গা গরমের ম্যাচও খেলবে দলটি। ‘সি’ গ্রুপে পাপুয়া নিউগিনির চার প্রতিদ্বন্দ্বী দল—নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান ও উগান্ডা।