স্বাগতম!
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভের ম্যাচে আজ ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে উঠতে ম্যাচটা দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। শেষ চারে ওঠার আশা টিকিয়ে রাখতে ম্যাচটা জিততেই হবে বাংলাদেশকে। অন্যদিকে ভারত এই ম্যাচটা জিতলে সেমিফাইনাল অনেকটাই নিশ্চিত হবে। কে জিতবে?
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে হেরেছে ভারত। বাংলাদেশ নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে জিতেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ২ পয়েন্ট তালিকার তিনে বাংলাদেশ (–১.৫৩৩)। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ভারত (০.৮৪৪)। দিনের প্রথম ম্যাচ আজ নেদারল্যান্ডসের কাছে জিম্বাবুয়ে হেরে টেবিলে লাফ দেওয়ার সুযোগ হারিয়েছে। ৪ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে জিম্বাবুয়ে (–০.৩১৩)। ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে পাকিস্তান (০.৭৬৫)।
৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট ও ২.৭৭২ নেট রানরেট নিয়ে সবার ওপরে দক্ষিণ আফ্রিকা।
টস!
টস জিতেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সৌম্যর জায়গায় শরীফুল
আগের দুই ম্যাচেই বাড়তি একজন বোলারের অভাব বোধ করেছে বাংলাদেশ দল। আজ দলে নেওয়া হয়েছে শরীফুল ইসলামকে। এ বাঁহাতি পেসারকে জায়গা করে দিয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার সৌম্য সরকার।
বাংলাদেশ একাদশ
নাজমুল হোসেন, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী, নুরুল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম।
ভারত দলেও একটি পরিবর্তন
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারা ম্যাচে অক্ষর প্যাটেলের জায়গায় খেলেছিলেন দীপক হুডা। আজ আবার ফিরেছেন অক্ষর।
ভারত একাদশ
লোকেশ রাহুল, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, দীনেশ কার্তিক (উইকেটকিপার), রবিচন্দ্রন অশ্বিন, মোহাম্মদ শামি, ভুবনেশ্বর কুমার, অর্শদীপ সিং।
ভোটে জানান আপনার মত
অ্যাডিলেড থেকে আপডেট...
এখন পর্যন্ত অ্যাডিলেডের আবহাওয়া ভালো। মাঝেমধ্যে অ্যাডিলেড ওভালের আকাশে ভেসে আসা মেঘ রোদ ঢেকে দিলেও দুশ্চিন্তার কিছু নেই। সকাল থেকে বেশির ভাগ সময় শহরটা রোদঝলমলে। আগের রাতের বৃষ্টি, কনকনে বাতাসের আজ পাত্তা নেই। দারুণ ক্রিকেটীয় আবহাওয়ায় অপেক্ষা চলছে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের।
বৃষ্টি
শুধু পিচের ওপর একটি কাভার। অ্যাডিলেডে বৃষ্টি নেমেছে, তবে এর তোপ বেশি নেই। খেলা শুরু হতে এখনো বাকি ১৪ মিনিটের মতো।
তাসকিনের প্রথম ওভারে ১
নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকার পর জিম্বাবুয়ে—এর আগের তিনটি ম্যাচেই প্রথম ওভারে উইকেট পেয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। ভারতের বিপক্ষে আজ পেলেন না, তবে দিয়েছেন মাত্র ১ রান। অফ স্টাম্পের বাইরের চ্যানেলে লেংথে করে গেছেন, প্রথম চার বল ডট দেওয়ার পর পঞ্চম বলে গিয়ে সিঙ্গেল নিয়েছেন লোকেশ রাহুল। শেষ বলে ডিফেন্ড করেছেন রোহিত শর্মা।
বাংলাদেশের পর নেদারল্যান্ডসের কাছেও জিম্বাবুয়ের হার
পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর উড়ছিল জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের সঙ্গে শেষ বলে গিয়ে হারের পর সেমিফাইনাল-স্বপ্নে বড় ধাক্কা লেগেছিল তাদের। আজ নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে অনেকটাই ফিকে হয়ে এসেছে তাদের আশা
রাহুলের প্রথম ছক্কা
হাঁটুর ওপরে শর্ট অব আ লেংথ বল। ব্যাট ঘুরিয়ে স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে বড় ছক্কা মেরেছেন লোকেশ রাহুল। শরীফুল ইসলাম ওভারটা শুরু করেছিলেন ভালোভাবে, যদিও করেছেন বড়সড় এক নো বল। ফ্রি হিটে কোনো রান না এলেও পঞ্চম বলে গিয়ে ওই ছক্কা রাহুলের। শেষ বল ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে, ব্যাট চালালেও লাগাতে পারেননি রাহুল।
২ ওভারশেষে ভারত ১০/০।
১ রানে জীবন পেলেন রোহিত
তাসকিন আহমেদ ও তাঁর বলে ক্যাচ মিস—যে গল্প কখনো পুরোনো হবে না!
তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বল। লেংথ থেকে ওঠা বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন রোহিত শর্মা, বল সরাসরি গিয়েছিল ডিপ স্কয়ার লেগে থাকা হাসান মাহমুদের গলা বরাবর। বল হাসানের হাতে ঢুকেছে, বেরিয়েও গেছে এরপর। তাসকিনের শরীরী ভাষা এরপর চাইলেই অনুমান করে নিতে পারেন আপনি। ভারত অধিনায়ক জীবন পেলেন ১ রানে।
৩ ওভার শেষে ভারত ১১/০।
রোহিতকেই ফেরালেন হাসান
ক্যাচ ফেলেছিলেন, ঠিক পরের ওভারে ওই হাসান মাহমুদকেই আনলেন সাকিব আল হাসান। এবং হাসান ফেরালেন ওই রোহিত শর্মাকেই! অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাটের মতো করেছিলেন ভারত অধিনায়ক, ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সরাসরি ক্যাচ গেছে ইয়াসির আলীর হাতে! বাংলাদেশের প্রথম ব্রেকথ্রু।
আরও দুটি (প্রায়) সুযোগ
দুই বল, দুটি চার। এতটুকু বললে ঠিক পুরো গল্পটা বলা হয় না। তাসকিন আহমেদের বলে দুবার ড্রাইভ করেছিলেন বিরাট কোহলি, দুবারই উঠেছিল ক্যাচ। প্রথমটি গেছে কাভারে থাকা লিটন দাসের নাগালের একটু বাইরে দিয়ে। পরেরটি একমাত্র স্লিপে থাকা ইয়াসির আলীর ওপর দিয়ে। দুটিতেই চার পেয়েছেন কোহলি। এরপর উদ্যাপনও করতে দেখা গেল তাঁকে। তৃতীয় ওভারে এসে ৮ রান দিয়েছেন তাসকিন।
ভারত ৫ ওভারে ৩০/১।
পাওয়ারপ্লেতে ৩৭/১
ক্যাচ মিস, রোহিতের উইকেট, অভাগা তাসকিন, কোহলির ব্যাটের কানায় লেগে চার, থেকে থেকে রাহুলের দুর্দান্ত টাইমিং—পাওয়ারপ্লের গল্পটা এমন। ষষ্ঠ ওভারে এসে ৭ রান দিয়েছেন মোস্তাফিজ, আবারও বড়সড় আউটসাইড-এজে চার পেয়েছেন কোহলি। প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৩৭ রান তুলেছে ভারত।
তাসকিন ০/১৫
টানা চতুর্থ ওভারে এসেছিলেন তাসকিন আহমেদ। রাহুল ও কোহলি সতর্কই থেকেছেন তাঁর বিপক্ষে। শেষ ওভারেও উইকেট পাননি বাংলাদেশ পেসার, তবে ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৫ রান। ভারতের বিপক্ষে কোনো বাংলাদেশ পেসারের ৪ ওভার বোলিং করে এটি সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিং এখন।
শরীফুলের ওভারে ২৪
পাওয়ারপ্লের ঠিক পরের ওভারেই নিজেকে এনেছিলেন সাকিব। দারুণ টাইমিংয়ে লং অন ও মিডউইকেটের গ্যাপ দিয়ে চার মেরেছেন রাহুল।
শরীফুলের করা পরের ওভারে এসেছে ২৪ রান!
প্রথমে দারুণ ড্রাইভে মিড অফ দিয়ে চার মেরেছেন কোহলি। এরপর হাফভলি পেয়ে লং অন দিয়ে ছক্কা মেরেছেন রাহুল, ওই বলে আবার শরীফুলের পা ছিল পপিং ক্রিজের বাইরে। ফ্রি হিটে প্রথম দফা ওয়াইডের পর অফ স্টাম্পের বাইরে ফুললেংথে করেছিলেন শরীফুল, রাহুল তাতেই পয়েন্টের ওপর দিয়ে মেরেছেন ছক্কা। এরপর কাট করে মেরেছেন আরেকটি চার।
ফিফটির পর সাকিবের শিকার রাহুল
আগের বলেই ডাবলস নিয়ে ফিফটি পূ্র্ণ করেছিলেন রাহুল। পরের বলে ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে ফাইন লেগে ধরা পড়লেন মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে। পেছন দিকে ছুটে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন মোস্তাফিজ। ৩২ বলে ৫০ রান করে ফিরেছেন ভারত ওপেনার, বিশ্বকাপে ফর্মের কারণে যিনি ছিলেন আলোচনায়। আগের ৩ ম্যাচ মিলিয়ে করেছিলেন ২২ রান, তবে ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট বারবারই রাহুলের ওপর আস্থার কথা জানিয়ে এসেছে। আজ সেটির প্রতিদান দিলেন।
বাংলাদেশের অবশ্য এখন সে সব নিয়ে ভাবার সময় নেই। শুরুর চাপ আলগা হয়ে গিয়েছিল মাঝে, রাহুলকে ফিরিয়ে আবার দলকে লড়াইয়ে ফেরালেন অধিনায়ক সাকিব। কোহলি ও রাহুলের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে উঠেছে ৩৭ বলে ৬৭ রান।
রান আউটের সুযোগ
ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল কোহলি ও চারে আসা সূর্যকুমার যাদবের। পয়েন্টে খেলে রান নিতে চেয়েছিলেন কোহলি, তবে শুরুতে ঠিক সাড়া দেননি সূর্যকুমার। ফিল্ডার বল ঠিকঠাক নিতে পারেননি, থ্রোটিও ভালো ছিল না। বেঁচে গেছেন কোহলি।
এবার জীবন পেলেন সূর্যকুমার
রাহুলের ক্যাচটি পেছনে ছুটে ভালোই নিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। এবার বলের কাছে গিয়েও নিতে পারলেন না ঠিক। সাকিবের বলে সুইপ করতে গিয়ে টপ-এজড হয়েছিলেন সূর্যকুমার। মোস্তাফিজের হাত ও বুকের ফাঁক দিয়ে পড়ে গেছে বল। ১১ রানে বেঁচে গেলেন সূর্যকুমার।
১২তম ওভারে ১০০ ছুঁয়ে ফেলেছে ভারত।
১৩তম ওভারে নিজের দ্বিতীয়টির জন্য ফিরেছিলেন হাসান। তাঁর ওপর চড়াও হয়েছেন সূর্যকুমার। তিনটি চার মেরেছেন, একটি যেন আরেকটির চেয়ে ভালো! প্রথম দুটি কাভার দিয়ে, পরেরটি ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে।
সূর্যর সঙ্গে লড়াইয়ে জিতলেন সাকিব
পয়েন্টের পেছনে গ্যাপ রেখেছিলেন সাকিব, তাঁকে জায়গা বানিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন সূর্যকুমার। সাকিব করেছেন স্টাম্প বরাবর। সূর্য মিস করে হয়েছেন বোল্ড। টুর্নামেন্টে ভারতের সেরা দুই ব্যাটসম্যানের সামনে সাকিব করে গেছেন সাহসী বোলিং, সেটির পুরস্কারও পেলেন। কোহলি ও সূর্যর জুটিতে উঠেছে ৩৮ রান।
কোহলির আরেকটি রেকর্ড
তাসকিনের করা সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে রেকর্ডটি গড়ে ফেলেন কোহলি। ব্যাক অব দ্য লেংথের বলটি মিড উইকেটে ঠেলে একটি রান নিয়ে তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে যান। কোহলি টপকে গেলেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি মাহেলা জয়াবর্ধনেকে।
পান্ডিয়া ক ইয়াসির ব হাসান
শর্ট বল। লাফিয়ে উঠে ব্যাট চালালেন হার্দিক পান্ডিয়া। একটু লাফ দিয়ে উঠে পয়েন্টে ক্যাচ নিলেন ইয়াসির আলী। এমসিজিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেওয়া পান্ডিয়া ও কোহলি জুটি টিকল না বেশিক্ষণ। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু বাংলাদেশের।
ভারত ১৩৮/৪
১৬তম ওভার শেষ, ভারতের স্কোর ৪ উইকেটে ১৩৮ রান।
সাকিব আজ আনেননি মোসাদ্দেক হোসেনকে, সৌম্য সরকার খেলছেনই না। হাসানের বাকি ১ ওভার, মোস্তাফিজের ১টি। ২ ওভারে ৩৩ রান দেওয়া শরীফুলের বাকি দুটি।
কোহলি ও সাকিব
শট খেলার পরপরই স্কয়ার লেগ আম্পায়ারের দিকে তাকিয়ে নো বলের ‘আবেদন’ করছিলেন কোহলি। হাসতে হাসতে এসে কোহলিকে জড়িয়ে ধরলেন সাকিব, এরপর কথা বললেন আম্পায়ার মারাই এরাসমাসের সঙ্গে। কোহলিও হাসছিলেন। অবশ্য দ্বিতীয় বাউন্সারের জন্য ঠিকই নো বল কল করেছেন আম্পায়ার।
কোহলির ফিফটি
আগে থেকেই দর্শকদের চিৎকার করতে বলছিলেন কোহলি। ফিফটি পূর্ণ করার পর তাঁর উদ্যাপনেও মিশে থাকল অমন ইঙ্গিত। রাহুল ফিফটির পরপরই ফিরে গেছেন, পান্ডিয়া তেমন কিছু করতে পারেননি। তবে ঠিকই টিকে আছেন কোহলি। ফিফটি করতে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের লাগল ৩৭ বল।
কার্তিক রানআউট
কাভারে খেলেছিলেন কোহলি, কার্তিক নিতে চেয়েছিলেন সিঙ্গেল। তবে তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছেন কোহলি। কার্তিক ডাইভ দিলেও বাঁচলেন না। সাকিবের থ্রো ঠিকঠাক ধরার আগেই স্টাম্প ভেঙেছিলেন শরীফুল, তবে আদতে থ্রোয়ে সরাসরি আগেই ভেগেছে স্টাম্প।
ফিরলেন অক্ষর
আগের ওভারে মোস্তাফিজের বলে এমন একটা ক্যাচ তুলেও বেঁচে গিয়েছিলেন অক্ষর প্যাটেল। পরের ওভারে আবারও হাসানের স্লোয়ারে কাভারে ক্যাচ তুললেন, এবার ঠিকই নাগাল পেয়েছেন সাকিব। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ইঁদুর-বিড়াল খেলা চলছেই অ্যাডিলেডে!
১ ওভার বাকি, ভারত ১৭০/৬
মাঝে ৯ বলে হয়েছিল ৬ রান। তবে হাসানের শেষ দুই বলে চারের পর ছক্কা মারলেন কোহলি। স্কয়ার লেগ দিয়ে হয়েছে চার, স্ট্রেইট ড্রাইভে ছয়। ভারতকে নিয়ে শেষের লাফটি দিচ্ছেন কোহলি।
ভারত ১৮৪/৬
পাওয়ারপ্লেতে ৩৭/১।
১০ ওভারে ৮৬/২
১৬ ওভারে ১৪০/৪।
২০ ওভারে ১৮৪/৬।
শুরুতে তাসকিন আহমেদের আঁটসাঁট বোলিং চাপে ফেলেছিল ভারতকে। রোহিত শর্মা ফিরলেও দারুণ ব্যাটিংয়ে ঠিকই ফিফটি পান লোকেশ রাহুল। সাকিব আল হাসান এসে দেন ব্রেকথ্রু। এরপর থেকে বাংলাদেশ উইকেট পেয়েছে, তবে ভারত ঠিকই পেয়ে গেছে ১৮৪ রানের সংগ্রহ। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের এটি সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
ভারতকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বড় কৃতিত্ব কোহলির ৪৪ বলে ৬৪ রানের ইনিংসের। মাঝে সূর্যকুমারের ১৬ বলে ৩০ রানের ঝোড়ো ইনিংসে দারুণ মোমেন্টাম পায় ভারত। তবে বাংলাদেশ ফিরে আসে আবার। দীনেশ কার্তিক ঠিক ফিনিশ করতে পারেননি, তবে শেষদিকে রবিচন্দ্রন অশ্বিন খেলেছেন ৬ বলে ১৩ রানের ক্যামিও।
এ বিশ্বকাপে এত রান তাড়া করে এখন পর্যন্ত জেতেনি কোনো দল।
কোহলি ছুটছেন
বাঁচলেন লিটন
দারুণ টাইমিংয়ে দুটি চার। এরপর আলতো করে খেলতে গিয়ে আলগাভাবে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন লিটন দাস। তবে সামনে ঝুঁকে ঠিকঠাক ক্যাচটি নিতে পারেননি দীনেশ কার্তিক, গ্লাভসের আগেই মাটিতে পড়েছে বল। টেলিভিশন আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওর্থ নটআউট দিয়েছেন লিটনকে। শেষ বলে কাভার দিয়ে আরেকটি চার মেরেছেন লিটন।
বাংলাদেশ ২ ওভারে ১৪/০।
ছয়, চার, চারের পর আবার বাঁচলেন লিটন
মিডউইকেট দিয়ে ছয়। এরপর মিডঅফ ক্লিয়ার করে চার। ভুবনেশ্বরের গতি কাজে লাগিয়ে আলতো করে এবার থার্ডম্যান দিয়ে আরেকটি চার। উড়তে থাকা লিটন এরপর দিয়েছিলেন আরেকটি সুযোগ, তবে ডানদিকে ডাইভ দিয়ে হাত লাগালেও ক্যাচ নিতে পারেননি কার্তিক। লিটন বেঁচে গেলেন আরেকবার, তবে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন ভালো শুরু। ৩ ওভার শেষে স্কোর ৩০/০।
ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় সিরিজে ওপেনিংয়ে এসেছিলেন লিটন দাস। এরপর থেকে তাঁকে খেলতে হয়েছে তিন নম্বরে। আজ আবার ওপেন করতে এসেছেন।
হার্শা ভোগলেও বলছেন, লিটনের জায়গা হওয়া উচিৎ ওপেনিংয়েই
এবার রানআউট থেকে বাঁচলেন লিটন
ভারতীয়রা উদ্যাপন করছিল। আঙুল তুলে আউট দেখাচ্ছিলেন বিরাট কোহলি। তবে ডাইভ দিয়ে সময়মতোই ক্রিজে ঢুকে গেছেন লিটন দাস। ভুবনেশ্বরের বলে মিডঅনে খেলেছিলেন লিটন, তবে কোহলিকে পার করাতে পারেননি। সরাসরি থ্রোয়ে ভেঙেছিল স্টাম্প।
লিটনের স্কুপ
প্রথম ৪ বলের মধ্যে ৩টিই খেলেছিলেন লিটন, একটি সিঙ্গেলের বেশি নিতে পারেননি, সেটিতেও হতে ধরেছিলেন রানআউট। লিটন এরপর করলেন স্কুপ। ফাইন লেগ ছিল বৃত্তের মধ্যে, এর আগেও ভুবনেশ্বরের গতি কাজে লাগিয়ে বাউন্ডারি মেরেছিলেন। দুর্দান্ত টাইমিং আবারও। ৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৪৪/০, লিটন ১৯ বলে ৪১ রানের অপরাজিত।
২১ বলে ফিফটি লিটনের
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভার, বাংলাদেশের স্কোর ৫৪ রান। লিটন দাস—৫১ রানে অপরাজিত।
লাইনটি পড়ুন আবার, ঠিকই পড়েছেন। ২১ বলেই ফিফটি পেয়ে গেলেন বাংলাদেশের ওপেনার, মোহাম্মদ শামিকে পুল করে ছয় মেরে মাইলফলকে গেছেন তিনি। এবারের বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি এটি। বাংলাদেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি এটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে।
পাওয়ারপ্লেতে ৬০/০
ভারত পাওয়ারপ্লেতে ছিল ৩৭/১।
বাংলাদেশ বিনা উইকেটে তুলেছে ৬০ রান।
এ বিশ্বকাপে প্রথম ৬ ওভারে বাংলাদেশের এটি সর্বোচ্চ স্কোর, এর আগে নেদারল্যান্ডস ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে উঠেছিল ৪৭ রান করে।
লিটন দাস, লিটন দাস
বৃষ্টি
অ্যাডিলেডে নেমেছে বৃষ্টি। ৭ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৬৬/০। ডিএলএস পার স্কোর এখন ৪৯, বাংলাদেশ তাই বেশ খানিকটা এগিয়ে।
ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টি, খুবই স্বাভাবিক!
ওয়াও, লিটন দাস
ওভার কাটা গেলে যেমন হবে বাংলাদেশের লক্ষ্য
৭ ওভারে বাংলাদেশ ৬৬/০। ৩০ মিনিট অতিরিক্ত আছে, তবে এরপর কাটা যাবে ওভার। ওভার কাটা গেলে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়াবে এমন—
অ্যাডিলেডে বেড়েছে বৃষ্টি
বাংলাদেশ সময় ৪.৫৮ মিনিট থেকে কাটা যাবে ওভার।
আপডেট
অ্যাডিলেড ওভালে সরানো হচ্ছে কাভার। বাংলাদেশ সময় ৪-৫৮ থেকে কাটা যাওয়ার কথা ওভার।
অ্যাডিলেড থেকে আপডেট
অ্যাডিলেড থেকে আমাদের প্রতিনিধি তারেক মাহমুদ জানিয়েছেন, বৃষ্টি থেমেছে। তবে মূল উইকেটের ওপর কাভার আছে এখনো। আপাতত মাঠ শুকানোর কাজে ব্যস্ত গ্রাউন্ডসম্যানরা।
এ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতলে যেমন হবে সেমিফাইনালে দলগুলোর সম্ভাবনা, বলছেন ক্রিকভিজের ফ্রেডি ওয়াইল্ড
বাংলাদেশ সময় ৫-২০ মিনিটে শুরু হবে খেলা
খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ৫-২০ মিনিটে। বাংলাদেশের পরিবর্তিত লক্ষ্য ১৬ ওভারে ১৫১ রান। ফলে বাকি ৯ ওভারে দরকার ৮৫ রান।
আম্পায়ারের সঙ্গে সাকিবের আলোচনা
খেলা শুরুর আগে দুই আম্পায়ার মারাই এরাসমাস ও ক্রিস ব্রাউনের সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা গেছে সাকিবকে। সেখানে ছিলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাও।
রানআউট লিটন
লিটন রীতিমতো ফুঁসছেন। এমন একটা ইনিংসের শেষটা যদি হয় রানআউটে, তাহলে এমন প্রতিক্রিয়া অস্বাভাবিকও নয়। অশ্বিনের বলে স্কয়ার লেগে খেলেছিলেন নাজমুল। দেখে মনে হয়েছে, এরপর তিনিই কল করেছিলেন ডাবলসের। লিটন সাড়া দিয়েছিলেন তাতে, মাঝপথে অবশ্য একটু খেই হারিয়ে ফেলেছিলেন। লোকেশ রাহুলের থ্রো সরাসরি ভেঙেছে নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প। লিটন ফিরেছেন ২৭ বলে ৬০ রান করে।
ক্রিজে এসেছেন সাকিব আল হাসান।
অশ্বিনের ওভারে এসেছে ৮ রান। ৪৮ বলে প্রয়োজন ৭৭ রান।
৪ জন বোলার করতে পারবেন সর্বোচ্চ ৩ ওভার করে। ১ জন বোলার করতে পারবেন সর্বোচ্চ ৪ ওভার।
নাজমুলের ছক্কা
হার্দিক পান্ডিয়ার বলে পুল করতে গিয়ে নাজমুলের টপ-এজ গেছে বাউন্ডারির ওপারে। পান্ডিয়া ওভারের সবকটি বলই করেছেন হার্ডলেংথে। বৃত্তের বাইরে চার জন ফিল্ডারই ছিলেন লেগ সাইডে। পান্ডিয়ার ওভারে এসেছে ১০ রান।
ফিরলেন নাজমুল
এবার নাজমুল হোসেন! ১০ম ওভারে মোহাম্মদ শামির প্রথম বলেই টেনে মিডউইকেটে মারার চেষ্টা করেন নাজমুল। টাইমিং ভালো হয়নি। ক্যাচটি নেন সূর্যকুমার যাদব। ২৫ বলে ২১ রান করে ফিরলেন নাজমুল। ইনিংসে ১ চার ও ১ ছক্কা।
শামির ওভারে ৪
বৃষ্টির পর ২ ওভারে এসেছিল ১৮ রান। তবে মোহাম্মদ শামি এসে চাপ বাড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশের। ৪ রান দিয়েছেন, সঙ্গে নাজমুলের উইকেট। ৩৬ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৬৩ রান।
অশ্বিনের ওভারে সাকিবের দুই চার
অশ্বিনের প্রথম ২ বলে ডটের পর তৃতীয় বলে জায়গা বানিয়ে স্ট্রেইটে চার মেরেছেন সাকিব। পরের বলে জায়গা বানিয়েছেন আবার, এবার খেলেছেন কাভারের দিক দিয়ে, আবার হয়েছে চার। আফিফ রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছিলেন, মিড অফে থাকা রোহিত যদিও নাগাল পাননি। শেষ বলে গিয়েছিলেন সিঙ্গেল।
১১ রান এসেছে, ৫ ওভারে প্রয়োজন ৫২ রান।
ফিরলেন আফিফও
অর্শদীপ সিংয়ের লেংথ কম ছিল, টেনে মেরেছিলেন আফিফ। বল উঠেছিল অনেক, তবে যায়নি বেশিদূর। লং অন থেকে ছুটে এসে ভুল করেননি সূর্যকুমার। ক্যাচের পর তাঁর উদ্যাপনই বলছিল, এ উইকেটের অর্থ তাঁদের কাছে কী।
ভারতের উদ্যাপন
সাকিবও গেলেন
আফিফের মতো প্রায় একই লেংথ থেকে অর্শদীপ সিংকে একই ধরনের শট খেলতে গেলেন সাকিব, ফিরতে হলো তাঁকেও। বদলি ফিল্ডার দীপক হুডা ভুল করেননি, বাংলাদেশ অধিনায়ক ফিরেছেন ১২ বলে ১৩ রান করে।
ইয়াসির…
পান্ডিয়া আগের ওভারেও করেছিলেন শর্ট লেংথে, এবার প্রথম বলটিও করলেন সেখানেই। তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন ইয়াসির। ২২ বলে দরকার ৪৯ রান, বাকি ৫ উইকেট।
ছয়ের পর আউট মোসাদ্দেক
ছয়, বাউন্সারে ডট, বোল্ড—পান্ডিয়ার বলে ফিরলেন মোসাদ্দেক হোসেন।
১২ বলে প্রয়োজন ৩১
অর্শদীপের করা ১৪তম ওভারে এসেছে ১২ রান। ১৫তম ওভার করতে এসেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। শেষ ওভার করার কথা শামির।
৬ বলে প্রয়োজন ২০ রান
পান্ডিয়ার প্রথম বলে কাভার ড্রাইভে চার মেরেছেন তাসকিন। সেই চারের পরই আবার শর্ট লেংথে গেছেন পান্ডিয়া, ব্যাট চালালেও নাগাল পাননি তাসকিন। তৃতীয় বলে মিডউইকেট দিয়ে মেরেছেন ছক্কা। ম্যাচ বাকি এখনো?
চতুর্থ বলে সিঙ্গেল নিয়ে নুরুলকে স্ট্রাইক দিয়েছেন তাসকিন। পঞ্চম বলটি স্লটে পেলেও লাগাতে পারেননি নুরুল, শেষ বলে অফ স্টাম্পের দিকে সরে যাওয়াতে ওয়াইড দেননি আম্পায়ার।
৫ রানে হারল বাংলাদেশ
অর্শদীপ সিংয়ের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে দিয়েছিলেন তাসকিন। পরেরটি ছিল শর্ট লেংথে, মিডউইকেট দিয়ে ছক্কা মেরেছেন নুরুল। ব্লকহোলে পরের বলটিতে সিঙ্গেল নেননি নুরুল। চতুর্থ বলে নিয়েছেন ডাবলস। পঞ্চম বলে ব্যাটের ফেস ওপেন করেছেন নুরুল, অফ স্টাম্পের বাইরের ফুললেংথের বলটিতে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে হয়েছে চার।
শেষ প্রয়োজন ৭ রান, ৬ রান হলে সুপার ওভার… ১ রানের বেশি তাতে আসেনি। বাংলাদেশ ডিএলএস পদ্ধতিতে হেরেছে ৫ রানে।
অ্যাডিলেডেও মন ভাঙল বাংলাদেশের
১৮৫ রানের লক্ষ্য, বৃষ্টি নামার আগে বাংলাদেশ ৭ ওভারে ৬৬/০। ডিএলএসে এগিয়ে ১৭ রানে। বৃষ্টির পর লক্ষ্য ১৬ ওভারে ১৫১ রান।
২৭ বলে ৬০ রান করে রানআউট হলেন লিটন, বাংলাদেশ পথ হারাল তাতেই। নাজমুল, সাকিব, আফিফের পর ইয়াসির ফিরে গেছেন তেমন কিছু না করেই। শেষ চেষ্টা করেছিলেন নুরুল ও তাসকিন। তাসকিন অপরাজিত ছিলেন ৭ বলে ১২ রানে, নুরুল অপরাজিত ছিলেন ১৪ বলে ২৫ রানে।
শেষ বল পর্যন্ত অন্তত ম্যাচ টাই করার আশা ছিল বাংলাদেশের, তবে হয়নি। ২০১৬ সালে বেঙ্গালুরুর পর ২০২২ সালে অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে আরেকটি মন ভেঙে যাওয়ার গল্পই লেখা হলো বাংলাদেশের।
ম্যাচসেরা বিরাট কোহলি
অনেক ক্লোজ ম্যাচ। শেষ ম্যাচেও ভালো টাইমিং হচ্ছিল। আজও ইন্টেন্ট ছিল। আমি খুশি। যা গেছে, গেছে। এখন দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে খুশি। অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ হচ্ছে শোনার পর থেকেই রোমাঞ্চিত ছিলাম। এখানে অনেক খেলেছি, এখানে ভালো ক্রিকেটীয় শটই মূল। এ মাঠে (অ্যাডিলেডে) খেলতে দারুণ ভালোবাসি। এ মাঠে ঢুকলেই নিজের ঘর ঘর মনে হয়। আগেও বলেছি।
ছবি যখন কথা বলে
বলছেন সাকিব
ভারতের সঙ্গে খেললেই এমন হয় আমাদের। অনেক কাছে গিয়েছিলাম, কিন্তু পার হতে পারলাম না। দারুণ ম্যাচ, দর্শকেরা উপভোগ করেছে, দুই দলই উপভোগ করেছে। দিনশেষে কাউকে জিততে হবে, কাউকে হারতে হবে।