তরুণদের সুযোগ দিতে খুশিমনে জায়গা ছেড়ে দেবেন মঈন আলী
ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলী বলেছেন, বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর ইংল্যান্ড যদি তরুণদের নিয়ে দল পুনর্গঠন করতে চায়, তিনি খুশিমনে সরে যাবেন। তাঁর মতে, বর্তমান দলের অনেকেরই ইংল্যান্ডকে প্রতিনিধিত্ব করার দিন শেষ, যদিও খেলোয়াড়েরা সেটা দেখতে বা বুঝতে পারছেন না।
চার বছর আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ট্রফি হাতে তোলা ইংল্যান্ড এবার খুব বাজে একটা টুর্নামেন্ট কাটাচ্ছে। এরই মধ্যে ৭ ম্যাচ খেলে ৬টিতেই হেরেছে দলটি। ২০১৫ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার পর ইংল্যান্ডের সাদা বলের ক্রিকেটে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছিল। যার সুফল হিসেবে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রানার্সআপ, ২০১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন এবং ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আবার চ্যাম্পিয়ন হয় দলটি। তবে ২০২৩-এ এসে সাফল্যের ধারা আর ধরে রাখতে পারেনি তারা। এ ক্ষেত্রে বয়সের একটা প্রভাব আছে বলে অনেকের ধারণা। বিশ্বকাপে খেলা ১০ দলের মধ্যে ইংল্যান্ডেরই গড় বয়স সবচেয়ে বেশি।
বিশ্বকাপে খেলা ইংলিশ ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বয়স সহ-অধিনায়ক মঈন আলীর। দল চাইলে ৩৬ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার নিজেই সরে যাবেন বলে জানিয়েছেন। অধিনায়ক ও কোচের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করবেন জানিয়ে মঈন ইএসপিএনক্রিকইনফোকে বলেন, ‘আমি জস (বাটলার) এবং (ম্যাথু) মটের সঙ্গে কথা বলব। জানব, তারা আমার কাছ থেকে কী চায়, দলে আমাকে দরকার কি না। যদি ওরা বলে, আমরা তরুণদের নিয়ে দল সাজাব, নতুন করে শুরু করব। তাহলে আমি খুশিমনে ছেড়ে দেব। আমি বুঝতে পারছি...প্রতিটি ভালো জিনিসই একটা পর্যায়ে এসে শেষ হয়।’
এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত শুধু বাংলাদেশের বিপক্ষে জিততে পেরেছে ইংল্যান্ড। সেটি ছিল তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে। এরপর আফগানিস্তান ম্যাচসহ টানা পাঁচটিতে হেরেছে তারা। এর মধ্যে সর্বশেষ তিন ম্যাচে যাঁরা একাদশে ছিলেন, তাঁদের সবার বয়স ছিল ৩০-এর বেশি।
মঈন জানিয়েছেন, দল পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় তিনি থাকলে তরুণদেরই প্রাধান্য দিতেন, ‘আমি দায়িত্বে থাকলে তরুণদেরই খেলাতাম। সব নতুন করে শুরু করতাম। আমি নিশ্চিত ওরাও এটাই করবে। এটা স্বাভাবিক ভাবনা। আপনি আবারও ভয়ডরহীন মনোভাবের খেলা দেখতে চাইবেন। আর সেটা শুরু করার এখনই সেরা সময়।’
২০১৫ সালে বাংলাদেশের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পর ইংল্যান্ড দলে যে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছিল, আট বছরের পথচলায় সেটিও শেষ হয়েছে বলে মনে করেন মঈন, ‘হয়তো আমাদের সময় শেষ, কিন্তু খেলোয়াড়েরা সেটা দেখতে পারছে না। ভাবছে, আমরা সামনে ভালো করব। তবে আমার মনে হয়, সব ভালোই একটা জায়গায় গিয়ে শেষ হয়ে যায়।’
অবশ্য আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের মূল দলটি ধরে রাখা যায় বলে মত দেন মঈন। পরিবর্তনটা ওয়ানডেতেই বেশি দরকার বলে ধারণা তাঁর।