মোস্তাফিজ ৬.৫; লিটন, নাজমুল, মুশফিক ২

বাংলাদেশ দলের মধ্যে ‘কিলিং ইনস্টিংক্টের’ ভীষণ অভাব দেখছি। নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসকে শুরুতেই দুবার জীবন দিয়ে খেলাটা নিজেরাই কঠিন করে ফেলল বাংলাদেশ দল। তা না হলে হয়তো কিছুটা চাপহীন হয়ে তুলনামূলক ছোট একটা সংগ্রহ তাড়া করতে পারত। শেষ ওভারে মেহেদীকে বোলিংয়ে আনার সিদ্ধান্ত যে ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, তা স্পষ্ট। বাউন্ডারির সীমানায় ফিল্ডারের হাতে বল রেখে রান নেওয়ার যে দৃশ্য দেখলাম, এখনকার দিনে তা সত্যি দৃষ্টিকটু। পাশাপাশি স্বীকার করতেই হয়, নেদারল্যান্ডসের ফিল্ডিং, রানিং বিটউইন দ্য উইকেট এবং সর্বোপরি ম্যাচ জেতার ক্ষুধা বাংলাদেশের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। ব্যাটিংয়ে মোস্তাফিজ ও তাসকিনের জুটিকে তাদের চেষ্টার জন্য সাধুবাদ জানাই।

তানজিদ হাসান ৩/১০

ওপেনার হিসেবে তানজিদের দায়িত্ব সম্পর্কে আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। লিটনের উইকেট হারানোর পর কিছুটা মাথা নিচু করে একটা জুটি গড়ায় মনোযোগী হওয়া উচিত ছিল।

লিটন দাস ২/১০

চাপ নিতে পারছে না একেবারেই। এডওয়ার্ডসের ক্যাচটা ধরতে পারলেও দলের জন্য একটা বড় কাজ হতো।

মেহেদী হাসান মিরাজ ৫.৫/১০

চার ওভারের ছোট স্পেলটি সন্তোষজনক। এই ম্যাচেও ওয়ান ডাউনে গিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করলেও এক পর্যায়ে গিয়ে আর পারল না।

দিনের সেরা বোলার মোস্তাফিজ
এএফপি

নাজমুল হোসেন ২/১০

ব্যাটিংয়ে চাপ থাকবেই এবং সেটি কাটিয়ে ওঠার জন্য একটা ব্যাটিং পরিকল্পনা থাকতেই হবে। প্রক্রিয়ানির্ভর ব্যাটিং পরিকল্পনার কোনো বিকল্প নেই। তবে নাজমুলকে তিনে না খেলিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট তার ও দলের ক্ষতি করছে।

আরও পড়ুন

সাকিব আল হাসান ৪/১০

দায়িত্বশীল ইনিংস আশা করেছিলাম। যেহেতু বড় রান তাড়া করছিল না, সুযোগ ছিল মাটি কামড়ে পড়ে থেকে উইকেটের সঙ্গে ধাতস্থ হয়ে সময় নিয়ে খেলা এবং অন্যদের গাইড করা। এই উইকেটে কষ্ট করেই রান করতে হতো যেমনটা নেদারল্যান্ডস করেছে। বোলিং সন্তোষজনক।

মুশফিকুর রহিম ২/১০

দারুণ সুযোগ ছিল নিজেকে মেলে ধরার, নিজের শেষ বিশ্বকাপে যোগ্যতার ছাপ রাখার। লিটনের পর তার হাতেও এসেছিল এডওয়ার্ডসের ক্যাচ নেওয়ার সুযোগ।

মাহমুদুল্লাহ ৫/১০

সেই একই অবস্থা, সঙ্গীহীন। খুব বেশি দূর টানতে পারল না। যদিও চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না। আশা করব, বাকি ম্যাচগুলোতে আরও ওপরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাবে সে।

দায়িত্বশীল ইনিংস আশা করেছিলাম সাকিবের কাছ থেকে
এএফপি

মেহেদী হাসান ৫/১০

শেষ ওভারটা বাদ দিলে বোলিং সন্তোষজনক। তবে শেষ ওভারের কারণে ছন্দটা দারুণভাবে নেদারল্যান্ডসের পক্ষে চলে গেল। ব্যাটিংয়ে চেষ্টা করেছে।

তাসকিন আহমেদ ৫.৫/১০

প্রথম ব্রেক থ্রুটা এনে দেওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছুদিন পর কিছুটা স্বরূপে দেখা গেল। আশা করি, সামনের ম্যাচগুলোতে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। ব্যাটিং সন্তোষজনক।

আরও পড়ুন

মোস্তাফিজুর রহমান ৬.৫/১০

দিনের সেরা বোলার। স্লোয়ার কাটারের চমৎকার ব্যবহার করেছে এবং দলকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছে। ব্যাটিং সন্তোষজনক।

শরীফুল ইসলাম ৫/১০

দুটি উইকেট পেলেও এই ম্যাচের হিসাবে বেশ খরুচে। বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।