২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ওপেনিং থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাবর এখনো মানতে পারছেন না

গতকাল পিএসএলে ৫১ রানের ইনিংস খেলার পথে বাবরএএফপি

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাবর আজম কোথায় ব্যাটিং করবেন, এই প্রশ্ন অনেক দিনের। ওপেনার হিসেবে ‘সফল’ এই ব্যাটসম্যানকে সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সিরিজে তিনে খেলানো হয়েছে। তখনই শোনা গেছে, বাবর এই সিদ্ধান্তে খুশি নন। এবার পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক সরাসরি সে কথা বলেছেন।

পরিসংখ্যানও ওপেনার বাবরের হয়েই কথা বলছে। এই পজিশনে ৭৭ ইনিংসে ২৪টি ফিফটি ও ৩টি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। গড় প্রায় ৪০, স্ট্রাইক রেট ১৩০.৫২। আর মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে তাঁর জুটিও দুর্দান্ত।

পাকিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ৫১ বার ইনিংস উদ্বোধন করেছে বাবর–রিজওয়ান জুটি। ৫১ ইনিংসে দুজনের জুটি থেকে এসেছে ২৪০০ রান, যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ। গড়েছেন সর্বোচ্চ ৮টি শতরানের জুটি। টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শতরানের জুটি (৪টি) রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ানের ওপেনিং জুটিতে।

তবে বাবরের স্ট্রাইক রেটে অখুশি টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে ওপেনিং থেকে সরিয়ে দেয়। যদিও তিন নম্বরে ২৪ ইনিংস খেলা বাবরের স্ট্রাইক রেট আরও কম—১২৭.৫৪। গড় অবশ্য তিন নম্বরেই বেশি—৪৭.৫৩।

আরও পড়ুন

চলতি মৌসুমে পিএসএলে পেশোয়ার জালমির হয়ে ওপেনিং করে বাবর আবারও নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন। এখন পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টে ৯ ইনিংসে করেছেন ৬২.২৫ গড়ে ৪৯৮ রান। সেটাও ১৪৮.৬৫ স্ট্রাইক রেটে।

পাকিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ৫১ বার ইনিংস উদ্বোধন করেছে বাবর–রিজওয়ান জুটি
এএফপি

এরপর গতকাল পেশোয়ার জালমির ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে নিজের অসন্তুষ্টির কথা জানান বাবর, ‘ওপেনার হিসেবে এখানে পারফর্ম করার জন্য কোনো চাপে ছিলাম না। ওই সময়ে পাকিস্তান দলের চাহিদা অমন ছিল। আমি পাকিস্তানের জন্য করেছি। যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে বলব ওয়ান ডাউন ব্যাটিং করার সিদ্ধান্তে আমি সন্তুষ্ট ছিলাম না। যদিও আমি পাকিস্তানের জন্য করেছি।’ এর আগে বাবরের সঙ্গী রিজওয়ান বলেছিলেন, ওপেনিং জুটি ভাঙাতে পাকিস্তানের ক্ষতি হয়েছে।  

আরও পড়ুন

বাবরকে তিন নম্বরে পাঠানোর পর নতুন জুটি অবশ্য আক্ষরিক অর্থেই ব্যর্থ ছিল। কিউইদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তানের হয়ে ওপেনিং করেন রিজওয়ান, সাইম আইয়ুব (৪ ম্যাচ) ও হাসিবউল্লাহ (১ ম্যাচ)। নতুন উদ্বোধনী জুটি পাঁচ ম্যাচের তিনটিতেই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেনি, সব মিলিয়ে তুলতে পারে ৬৭ রান।

বাবরকে তিন নম্বরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত ছিল পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টর মোহাম্মদ হাফিজের। যিনি এখন আর দায়িত্বে নেই। একে তো অন্য জুটি ব্যর্থ, সঙ্গে নেই হাফিজও, পাকিস্তান কি আবারও বাবর-রিজওয়ান জুটিতে ফিরবে? হতেই পারে।