‘আমি শুধু সাইম আইয়ুবই হতে পারব, সাঈদ আনোয়ার নয়’
দুজনই বাঁহাতি, দুজনই ওপেনার। একজন পাকিস্তান ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা ওপেনারদের একজন, আরেকজন উদীয়মান। বলা হচ্ছে সাঈদ আনোয়ার ও সাইম আইয়ুবের কথা। দুজনের খেলার ধরনে অনেকেই মিল খুঁজে পান। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে তাই সাইমের মধ্যে কেউ কেউ দেখছেন সাঈদ আনোয়ারের ছায়া। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দিয়ে আলোচনায় আসা এই তরুণ টেস্ট ক্যাপ পেয়ে যান পাকিস্তান দলের সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরে। সিডনি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ০ রানে আউট হলেও পরের ইনিংসে ৩৩ রানের ইনিংসে অনেককে মুগ্ধ করেছেন।
অস্ট্রেলীয় কিংবদন্তি উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান অ্যাডাম গিলক্রিস্ট মনে করেন, সাইমই হবেন ‘বিশ্ব ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ তারকা’। সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভনও বলেছেন, ‘সে দারুণ ক্রিকেটার। ব্যাটসম্যান হিসেবে তাঁর বিশ্বের পরবর্তী তারকা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
২১ বছর বয়সী সাইম আইয়ুব অবশ্য এত প্রশংসায় গা ভাসাচ্ছেন না। নিজের জগতেই তাঁর বসবাস। যে পুরো জগৎজুড়ে শুধু ক্রিকেট আর ক্রিকেট। এবারের বিপিএলে সেই সাইম খেলছেন দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে। সিলেটে দলটির টিম হোটেলে গিয়ে জানা গেল, ২২ গজে বিস্ফোরক ব্যাটিং করে অভ্যস্ত সাইম মাঠের বাইরে একেবারেই চুপচাপ। এই তরুণ পাকিস্তানি নিজের মতো করে একা থাকতে পছন্দ করেন।
ক্রিকেটের আলোচনায় আইয়ুব বেশ সরব। বয়স অল্প হলেও কথাবার্তায় পরিণত ক্রিকেটীয় মস্তিষ্কের ছাপ অনেককে অবাক করবে। কিংবদন্তি সাঈদ আনোয়ারের সঙ্গে নিজের খেলার ধরনের মিল নিয়ে করা প্রশ্নে সাইমের উত্তরেই আছে সে ছাপ, ‘সাঈদ আনোয়ার পাকিস্তানের কিংবদন্তি। তিনি একজনই। অন্য কেউ তাঁর মতো হবে না। মানুষ বলে, আমি তাঁর মতো খেলি। আমি যদিও এভাবে কখনো চিন্তা করিনি। শুনতে ভালো লাগে।’
আইয়ুব এটাও জানেন, তিনি আনোয়ার হতে পারবেন না। তাঁর কথা, ‘আমি শুধু সাইম আইয়ুবই হতে পারব, সাঈদ আনোয়ার নয়। উনি যখন আমার বয়সী ছিলেন, তখনো তাঁকে কেউ চিনত না। এরপর তিনি নিজের নাম বানিয়েছেন। আমিও ধীরে ধীরে নিজের নাম বানাতে চাই। তাঁর মতো কিংবদন্তি হতে চাই।’
আনোয়ারের সঙ্গে তুলনার মতো আরও একটি বিষয়ে এই তরুণকে প্রায়ই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। ফাইন লেগের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারা স্কুপ শট নিয়ে। অদ্ভুত ওই শটকে এখন অনেকেই ‘সাইম আইয়ুব শট’ বলছেন। মাত্র ২১ বছর বয়সে নিজের নামে ক্রিকেটের একটি শটের নামকরণ হয়ে গেল। প্রসঙ্গটি তুলতেই এই প্রতিবেদককে থামিয়ে দিয়ে আইয়ুব বললেন, ‘ভাই, লোকজন এ নিয়ে এত কথা বলে ফেলেছে যে এখন বোলাররা আমাকে ওই জায়গায় বলই দেয় না (হাসি)।’
পরে যোগ করলেন, ‘অনেকবার এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। অনেকেই এটা নিয়ে কথা বলে। তবে আমি ওই শট নিয়ে একদমই চিন্তা করি না। এটা হয়ে যায়। আর এই শটটা খেলা যায় বোলার যখন বাজে বল করে। আর বাজে বল খুব বেশি আসবে না, এটাই স্বাভাবিক। তবে আমি অনুশীলনে নিয়মিত এই শট খেলি। ম্যাচে এমনিতেই হয়ে যায়। খুব যে চেষ্টা করে বা চিন্তা করে খেলি, একদমই তা নয়। চেষ্টা করছি আরও শট আয়ত্ত করার।’
***পুরো সাক্ষাৎকার পড়ুন আগামীকালের প্রথম আলোর ছাপা পত্রিকা ও অনলাইনে।