নিউজিল্যান্ডের ‘রত্ন’ শিকারে চোখ কামিন্সের
সহজ কথায়, উপলক্ষ পণ্ড করো!
উপলক্ষটা কী—সেটা নিশ্চয়ই জানা। ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে আগামীকাল ভোরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড। স্বাগতিকদের তারকা ব্যাটসম্যান কেইন উইলিয়ামসন এবং অধিনায়ক টিম সাউদির ক্যারিয়ারে এটি ১০০তম টেস্ট। স্বাভাবিকভাবেই উপলক্ষটি রাঙিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন দুই তারকা এবং সেখানে চেষ্টা থাকবে গোটা দলেরই। প্রতিপক্ষ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার কী দায়িত্ব—সেটা নিশ্চয়ই এখন বুঝতে পারছেন? হ্যাঁ, উপলক্ষ পণ্ড করাই।
নিউজিল্যান্ড দলের জন্য এই টেস্টে উইলিয়ামসন এবং সাউদিকে ‘বিশেষ’ উপহার দেওয়ার সুযোগও। ২০১১ সাল থেকে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়হীন নিউজিল্যান্ড। হ্যাগলি ওভালে জয় তুলে নিতে পারলে ‘রথ দেখার সঙ্গে কলা বেচা’ও তো হয়ে যায়!
কিন্তু অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের কথা শুনলে মনে হবে, ক্রাইস্টাচার্চ টেস্টে ভালো করতে তাঁর দল যেন আলাদা করে প্রেরণা পাচ্ছে, ‘দীর্ঘ একটা মৌসুম কাটছে। কিন্তু মনে হচ্ছে দলের সবাই তরতাজা অবস্থায় আছে। আমরা কেউ সামর্থ্যের শেষ সীমায় পৌঁছে যাইনি। কয়েক মাস আগে যেমন ভেবেছিলাম মনে হচ্ছে তার চেয়েও ভালো অবস্থায় আছি। আমরা আরও একবার নিজেদের পুরোটা দিতে চাই।’
ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট শেষে আগামী ডিসেম্বরের আগে এই সংস্করণে আর খেলবে না অস্ট্রেলিয়া। তাঁর আগে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্ট যতটা সম্ভব বাড়িয়ে নেওয়াই লক্ষ্য হবে অস্ট্রেলিয়ার। সেটি যে নিউজিল্যান্ডেরও লক্ষ্য—তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এ মুহূর্তে পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে ভারত, দ্বিতীয় নিউজিল্যান্ড ও তৃতীয় অস্ট্রেলিয়া। কামিন্স প্রেরণা হিসেবে এসব মিলিয়েই বুঝিয়েছেন, এ টেস্ট ভালো করতে অনেক বিষয়ই হাতছানি দিয়ে ডাকছে, ‘টেস্ট ম্যাচের জন্য আলাদা করে প্রেরণা পাওয়ার কিছু নেই। তবে এ সপ্তাহে এমন অনেক কিছুই আছে।’
নিউজিল্যান্ডের হয়ে এ পর্যন্ত চার ক্রিকেটার ১০০ টেস্ট খেলেছেন—ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, স্টিভেন ফ্লেমিং, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও রস টেলর। এ তালিকায় উইলিয়ামসন ও সাউদি যোগ দেওয়ার আগে দুজনের তুমুল প্রশংসাও করলেন কামিন্স। তাঁর চোখে উইলিয়ামসন ও সাউদি ‘নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের রত্ন’।
কামিন্স যোগ করেন, ‘এক যুগ ধরে ফর্ম ধরে রাখা, ১০০ টেস্ট খেলা এবং সে জন্য শরীরকে ফিট রাখা—বিশাল কৃতিত্ব। কেইনের বিপক্ষে খেলা সব সময়ই দুর্দান্ত ব্যাপার। যে ফরম্যাটই হোক, সে সব সময়ই আমাদের কাঙ্ক্ষিত উইকেট।’