শেষ দিনে নাসুমের ৬ উইকেট, মাহিদুলের ঝোড়ো শতক
ঢাকার কাছে আগের রাউন্ডেই শিরোপা খুইয়েছে রংপুর। গতবারের চ্যাম্পিয়নদের এবারের জাতীয় লিগ শেষ হলো হার দিয়েই। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে রংপুরকে ২০১ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে সিলেট। প্রথম ইনিংসে ১২৫ রানেই গুটিয়ে যাওয়া সিলেটের দারুণ জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ, দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি নিয়েছেন ৬ উইকেট।
৩৮৭ রানের লক্ষ্য ব্যাটিং করা রংপুরের শেষ দিনে জয়ের জন্য ৬ উইকেট বাকি রেখে দরকার ছিল ২৭৭ রান। তবে নাসুম আহমেদের ঘূর্ণিতে কোনো জুটিই দাঁড়াতে পারেনি রংপুরের। দিনের সপ্তম ওভারে মাহমুদুল হাসানকে এলবিডব্লু করে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন নাসুম। অন্য প্রান্তে দ্রুতগতিতে খেলার চেষ্টা করে তানভীর হায়দার বোল্ড হন রেজাউর রহমানের বলে, ৫১ বলে ৪০ রান করে।
আরিফুল হক, নবীন ইসলাম ও নিহাদ উজ্জামান—তিন জনই নাসুমের শিকার। ৩৮ রান তুলতেই শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রানেই গুটিয়ে যায় রংপুর, শেষ দিন এক সেশনও ব্যাটিং করতে পারেনি তারা। পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকেই লিগ শেষ হলো আকবর আলীর দলের।
৩৩ রানে ৬ উইকেট নিয়ে বোলিং শেষ করেন নাসুম, প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে এ নিয়ে নবম বার ইনিংসে ৫ বা এর বেশি উইকেট নিলেন এ বাঁহাতি স্পিনার। এ ম্যাচে অবশ্য ব্যাটিংয়েও দারুণ কেটেছে তাঁর, প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ৩২ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে চারে এসে করেন ৭১ রান।
কক্সবাজারে প্রথম স্তরে ঢাকা ও ঢাকা মহানগরের অন্য ম্যাচটি অনুমিতভাবেই ড্র হয়েছে। প্রথম দুই দিন বৃষ্টি ও ভেজা আউটফিল্ডের কারণে খেলা হয়নি ১ বলও। অবশেষে গতকাল ১৭ ওভার ব্যাটিং করে ২ উইকেটে ৭৭ রান তোলা মহানগর আজ ৩ উইকেটে ১৮০ রান তুলে ঘোষণা করে প্রথম ইনিংস, ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম করেন ৫৮ বলে ৬৩ রান।
জবাবে ওয়ানডে মেজাজে খেলেছে ঢাকা, ৫৬ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ১১২ বলে ১০০ রানের ইনিংস খেলেন চারে নামা মাহিদুল ইসলাম। ইনিংসে তিনি মারেন ৫টি করে চার ও ছক্কা। ৫ উইকেটে ২৩৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে দেয় ঢাকা, দ্বিতীয় ইনিংসে মহানগর ব্যাটিং করে ১ ওভার।