চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দলের মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর অ্যাঙ্গেলে করা ডেলিভারিগুলো খুলনা টাইগার্সের আজম খানের ‘হিটিং জোন’ থেকে বের হয়ে যাচ্ছিল। যে প্রান্ত থেকে খেলা হচ্ছিল, সেখান থেকে লেগ সাইডে বাউন্ডারি বড়। বাঁহাতি পেসার মৃত্যুঞ্জয় তাই ইনিংসের শেষ ওভারে লেগ বাউন্ডারিতে ফিল্ডার রেখে ‘ইনটু দ্য উইকেট’ বল করছিলেন। টাইমিং গড়বড় হলেই আউট।
কিন্তু ৯২ রানে অপরাজিত আজমের জন্য তখন সম্ভবত লেগে বিশাল বাউন্ডারি অতটা বড় মনে হয়নি। শেষ ওভারের চতুর্থ বলেই মিড উইকেট দিয়ে চার মেরে আজম পৌঁছে যান ৯৭ রানে। পরের বলটি উড়ে গেল স্কয়ার লেগ বাউন্ডারির ওপর দিয়ে।
বিশাল ছক্কায় স্কোরবোর্ডে আজমের নামের পাশে সংখ্যাটা পাল্টে দাঁড়ায় ১০৩! কিন্তু ভাবলেশহীন চেহারা নিয়ে আজম হাঁটু গেড়ে বসলেন উইকেটের মাঝখানে। দুই হাতে দুই পাশে ছড়িয়ে সেঞ্চুরি উদ্যাপন করলে ২৪ বছর বয়সী এই পাকিস্তানি।
আজমের সেঞ্চুরিতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান তুলেছে খুলনা টাইগার্স। অপরাজিত ইনিংসে ৫৮ বলে ১০৯ রান করেছেন আজম। ৯ চার ৮ ছয়ে সাজিয়েছেন সেঞ্চুরি। সব মিলিয়ে বিপিএলে এটি ২৬তম সেঞ্চুরি। প্রথম আসরে আহমেদ শেহজাদের পর পাকিস্তানের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এই টুর্নামেন্টে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক মঈন খানের ছেলে আজম খান।
অথচ টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনার শুরুটা তেমন ভালো ছিল না। চার ওভারের মধ্যে স্রেফ ১২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে ছিল তারা। আজমের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে দল পায় লড়াই করার বড় পুঁজি। চার নম্বরে নেমে শুরু থেকেই তিনি ছিলেন বাউন্ডারির খোঁজে। ১৪তম ওভারে ব্যক্তিগত ফিফটিতে পৌঁছান আজম।
৩৩ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিল আজমের প্রথম ফিফটিতে। এরপর রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন আজম, তাতে দ্রুতই দৃষ্টিসীমায় চলে আসে সেঞ্চুরি। পরের পঞ্চাশ রান করতে তার লাগে স্রেফ ২৪ বল।