‘ওল্ড ফ্যাশন’ চেন্নাইকে নিয়ে মজা করল কলকাতা
পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৩১ রান। পাওয়ার প্লের প্রথম ৩৬ বলের মধ্যে ২০টি ডট খেলা, অষ্টম ওভার থেকে ১৮ ওভারের মধ্যে ৬৪ বলে কোনো বাউন্ডারি মারতে না পারা-আজ চিপকের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে চেন্নাইয় সুপার কিংসের এমন ব্যাটিং দেখে কেউ কেউ বলতে পারেন, কালো মাটির উইকেট তো!
কিন্তু আসল বিষয় তা নয়। এই কালো মাটির উইকেটেই তো কলকাতা নাইট রাইডার্স করেছে চেন্নাইয়ের ঠিক বিপরীত ব্যাটিং। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে চেন্নাই যেখানে ১০৩ রান করেছে, কলকাতা সেখানে এই লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে ২ উইকেট হারিয়ে, ৫৯ বল হাতে রেখে।
চেন্নাই যেখানে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩১ রান তুলেছে, কলকাতা সেখানে প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৭১ রান। তাহলে চেন্নাইয়ের আসলে এমন অবস্থা কেন? কারণ একটাই-আইপিএল তথা টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং স্টাইল আর আগের মতো নেই। এটা এখন এমন খেলা যে শুধু মারো আর মারো। পাওয়ার প্লেতে সম্ভব হলে ৭০, ৮০ বা ৯০ রান তুলে নাও!
কিন্তু চেন্নাই কোনোভাবেই যেন এই স্টাইলে অভ্যস্ত হতে পারছে না। তারা করছে ওল্ড ফ্যাশন ব্যাটিং। চলতি মৌসুমে পাওয়ার প্লেতে সর্বনিম্ন দুটি দলীয় স্কোরই তাদের। একটি আজকের, অন্যটি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৩ উইকেটে ৩০ রান। এ ছাড়া আজকের ১০৩ রান চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠে সর্বনিম্ন স্কোর। তাদের খেলার ধরনটাও অবশ্য এমন। একটু ধীরেসুস্থে! তবে এভাবে খেলে এবার বারবার মুখ থুবড়ে পড়ছে দলটি। এখন পর্যন্ত হেরেছে ৬ ম্যাচের মধ্যে ৫ টিতেই।
সব মিলিয়ে ওল্ড ফ্যাশনের চেন্নাইকে নিয়ে আজ যেন মজাই করেছে কলকাতা। প্রথমে বোলিংয়ে আর সেটাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন মূলত সুনীল নারাইন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। কোনো বাউন্ডারি খাননি। এই নিয়ে আইপিএলে ১৬ বার নিজের বোলিং কোটা পূরণ করে কোনো বাউন্ডারি খাননি নারাইন। আর কোনো বোলারের এই কীর্তি নেই।
এরপর ব্যাটিংয়েও চেন্নাইকে নিয়ে মজা করেছে কলকাতা। সেখানেও নেতৃত্বে নারাইন। কলকাতা যে ১০.১ ওভারের মধ্যে ৮ উইকেটে জয় পেল, তাতে নারাইনের অবদান ১৮ বলে ৪৪ রান। মেরেছেন ২টি চার ও ৫টি ছয়।