শোয়েবের হাজার চার, টি-টোয়েন্টির চার-ছক্কায় বাংলাদেশিরা কোথায়
বয়স কয়দিন পরই ৪২ হবে। তবে শোয়েব মালিক খেলে যাচ্ছেন এখনো। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক এখন খেলছেন দেশটির ঘরোয়া টুর্নামেন্ট ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে। কাল শিয়ালকোটের হয়ে রাওয়ালপিন্ডির বিপক্ষে খেলেছেন ৫৬ বলে ৮৪ রানের ইনিংস। ৪টি ছক্কার সঙ্গে মেরেছেন ৬টি চার। সেই ৬টি চার মারার পথেই দারুণ একটা রেকর্ড হয়ে গেছে তাঁর।
অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ১ হাজার চারের রেকর্ড হয়ে গেছে শোয়েবের। এ রেকর্ডের ক্ষেত্রে প্রথম পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান তিনি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি চার মারা ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রে সবার ওপরে অ্যালেক্স হেলস, ৪১৫ ইনিংসে এখন পর্যন্ত তিনি মেরেছেন ১২৯০টি চার।
বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চার তামিম ইকবালের। তিনি মেরেছেন ৭৪৩টি চার। দুইয়ে থাকা সাকিব আল হাসান এখন পর্যন্ত চার মেরেছেন ৬৪২টি, যদিও তামিমের (২৪৬) চেয়ে বেশ কয়েকটি ইনিংস বেশি খেলেছেন তিনি (৩৮২)। বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যান এখন পর্যন্ত ৫০০ চারও মারেননি, যদিও ৪০০টির বেশি চার মেরেছেন তিনজন।
টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি চার (বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান)
চারের তালিকায় ক্রিস গেইল তিন নম্বরে। তবে ছক্কার ক্ষেত্রে ক্যারিবীয় কিংবদন্তি এগিয়ে পরিষ্কার ব্যবধানে। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ১০০০টি ছক্কা মারা একমাত্র ব্যাটসম্যান তিনি। দুইয়ে থাকা কাইরন পোলার্ড মেরেছেন ৮২৮টি। ৫০০-এর ওপরে ছক্কা আছে আর মাত্র দুজনের—আন্দ্রে রাসেল (৬২০) ও কলিন মানরো (৫২০)।
চারের সংখ্যায় শীর্ষে থাকা অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের চেয়ে যে অনেক পিছিয়ে তামিম, তা নয়। তবে ছক্কার সংখ্যায় শীর্ষ ৫০-এর ভেতরও নেই তিনি। তবে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছক্কা তাঁরই। দুইয়ে থাকা সাকিব আল হাসানের ছক্কা ১৯৩টি। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ যে মাঝেমধ্যেই পাওয়ার হিটিং নিয়ে হাপিত্যেশ করে, সেটির যথার্থতা একটু হলেও প্রমাণ করে এ পরিসংখ্যান।
১ হাজার চার ও ১ হাজার ছক্কা—অনন্য এ রেকর্ড আছে শুধু গেইলেরই। আর কোনো ব্যাটসম্যানের ১ হাজার চার ও ৫০০টি ছক্কা—এ রেকর্ডও নেই। তবে কমপক্ষে ১০০০টি চার ও ৪০০টি ছক্কার ক্ষেত্রে গেইল ছাড়াও আছেন আর চারজন। সেখানে সর্বশেষ সংযোজন শোয়েব মালিক। এর আগে এ কীর্তি ছিল অ্যারন ফিঞ্চ, অ্যালেক্স হেলস ও ডেভিড ওয়ার্নারের।