‘বিরাট ভাই’য়ের কাছে ২-৩টি ঘড়ি চাইলেন বেঙ্গালুরুর তরুণ ব্যাটসম্যান
স্বস্তিক চিকারার আপাতত কোনো কাজ নেই।
নিলামে তাঁকে ৩০ লাখ রুপিতে কিনেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তবে এখনো আইপিএল অভিষেক হয়নি উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে উঠে আসা এই তরুণ ব্যাটসম্যানের।
দলের সঙ্গেই আছেন, অনুশীলন করছেন, হাসিঠাট্টা করছেন, বড়দের কাছ থেকে শিখছেন আর অপেক্ষায় আছেন, কবে তাঁর ডাক পড়ে একাদশে। এরই মধ্যে বেঙ্গালুরুর অনেকের সঙ্গেই তাঁর খুব ভালো সম্পর্ক হয়ে গেছে। পাচ্ছেন অনেকের স্নেহও।
সবচেয়ে বেশি স্নেহ পাচ্ছেন সম্ভবত বেঙ্গালুরুর আইকন হয়ে ওঠা বিরাট কোহলির কাছ থেকে। এতটাই যে কোহলির কাছে যখন–তখন আবদারও করে বসছেন। নিজের ২০তম জন্মদিনে যেমন কোহলির কাছে ২-৩টি ঘড়ি উপহার চেয়েছেন চিকারা।
রঞ্জি ও সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফি খেলা চিকারা প্রথম নজরে আসেন উত্তর প্রদেশ টি-টোয়েন্টি লিগ খেলে। মিরাট ম্যাভেরিকসের হয়ে প্রথম মৌসুমেই করেছিলেন ৪৯৪ রান, ছিলেন ওই মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। পরের মৌসুমে ৪৯৯ রান করেন ১৮৫ স্ট্রাইক রেটে। মূলত ওই পারফরম্যান্সই তাঁকে নিয়ে আসে আইপিএলের মেগা নিলাম টেবিলে এবং তাঁকে কিনে নেয় বেঙ্গালুরু।
ডানহাতি ব্যাটসম্যান চিকারার জন্মদিন গেছে গতকাল। ঘটা করেই হয়েছে সেই উদ্যাপন। সতীর্থদের সবাইকে নিয়ে চিকারা কেক কেটেছেন। সেই কেক খাওয়া হয়েছে সবাই মিলে, হয়েছে মুখে মাখামাখিও।
সেই আয়োজনের একটা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছে বেঙ্গালুরু। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, কোহলির কাছে নিজের জন্মদিনের উপহার চাইছেন চিকারা। ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে চিকারা এক সতীর্থকে বলছেন, ‘বিরাট ভাইকে বলো না আমাকে ২-৩টা ঘড়ি উপহার দিতে।’
ঘড়ি সংগ্রাহক হিসেবে খ্যাতি আছে কোহলির। রোলেক্স, পাটেক ফিলিপের মতো বিশ্বখ্যাত ও বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ঘড়ি হাতে তাঁকে দেখা যায় সব সময়। যার কোনো কোনোটির দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭-৮ কোটি টাকার মতো। চিকারা কেন কোহলির কাছে ঘড়ি উপহার চেয়েছেন, বুঝতে পারছেন তো!
অবশ্য শুধু কোহলির ঘড়ি নয়, আরও অনেক কিছুর ওপরই চোখ পড়েছে চিকারার। কিছুদিন আগে চিকারা নিজেই বলেছিলেন, লুকিয়ে একবার কোহলির পারফিউম ব্যবহার করতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন তিনি।
কোহলির লকার থেকে একটার পর একটা পারফিউম নিয়ে নাকি নিজের গায়ে মাখছিলেন। তখনই কোহলি এসে কী করছ জিজ্ঞেস করার পর বলেছিলেন, ‘পরীক্ষা করছি আপনার পারফিউমগুলো কেমন? কেউ আপনাকে বাজে পারফিউম ধরিয়ে দেয়নি তো!’
শুনে নাকি হেসেছিলেন কোহলি। পরে নিজের সংগ্রহশালা থেকে কোহলি কোনো পারফিউম তাঁকে উপহার দিয়েছিলেন কি না, সেটা অবশ্য বলেননি চিকারা। এবার তো নিজের মুখেই ঘড়ি চাইলেন। দেখা যাক, পান কি না!