- স্বাগত!
- টস
- তামিমের জায়গায় মাহমুদুল, ফিরলেন তাসকিনও
- দুজনের অভিষেক আফগানিস্তান দলে
- নিজাতের স্বপ্নের অভিষেক, দ্বিতীয় ওভারেই নেই জাকির
- নিজাত বনাম নাজমুল
- নাইমুর থেকে লিটন
- বিপরীতমুখী ব্যাটিং নাজমুল ও মাহমুদুলের
- ২১ বছর পর
- স্পিন, স্পিন
- ফিফটি জুটি
- নাজমুলের ৫০, বাংলাদেশের ১০০
- নাজমুলের ফিফটিতে প্রথম সেশন বাংলাদেশের
- দেড় বছর পর
- ১০ বলে নাজমুলের ৫ চার
- মাহমুদুলের ফিফটি
- নো, নো!
- নাজমুলের সেঞ্চুরি
- ছুটছেন নাজমুল-মাহমুদুল
- রশিদকে মিস করছে আফগানিস্তান?
- ৭৬ রানে থামলেন মাহমুদুল
- রিভিউ হারাল আফগানিস্তান
- চাপ
- দ্বিতীয় সেশনও বাংলাদেশের
- বাংলাদেশের ২৫০
- মুমিনুল আউট!
- বেঁচে গেলেন নাজমুল!
- ১৫০-ই হলো না নাজমুলের
- নাজমুলের ওপরে শুধু সৌম্য
- লিটনের ছক্কা
- জহিরের শিকার লিটন
- ওভার রেট?
- আরেকটি রিভিউ হারাল আফগানিস্তান
- মুশফিক ও মিরাজের ফিফটি জুটি
- মুশফিক-মিরাজ অবিচ্ছিন্ন দিন শেষে, বাংলাদেশ ৩৬২/৫
স্বাগত!
টেস্ট সংস্করণে এবার সামনে আফগানিস্তান। ২০১৯ সালের পর আবারও টেস্টে আফগানদের মুখোমুখি বাংলাদেশ। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান চোটের কারণে নেই আগে থেকেই। গতকাল এ ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন ওপেনার ও ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালও।
মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস হওয়ার কথা সকাল ৯-৩০ মিনিটে। মিরপুর টেস্টে প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত ও শুভ সকাল!
টস
টসে জিতেছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি। ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, নতুন উইকেট, গত কয়েকদিন বৃষ্টি হয়েছে বলে এমন সিদ্ধান্ত।
হ্যাঁ, অবশ্যই।
তামিমের জায়গায় মাহমুদুল, ফিরলেন তাসকিনও
প্রায় এক বছর পর টেস্ট খেলতে নামছেন মাহমুদুল হাসান। তামিম ইকবালের চোট সুযোগ করে দিয়েছে এ ওপেনারকে। মিরপুরে বাংলাদেশ নামছে তিন পেসার—তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন ও শরীফুল ইসলামকে নিয়ে। সঙ্গে আছেন দুই স্পিনার—তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। মাঝে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট মিস করার পর ফিরেছেন তাসকিনও।
একাদশ
লিটন দাস (অধিনায়ক), মাহমুদুল হাসান, নাজমুল হোসেন, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন, জাকির হাসান ও শরীফুল ইসলাম।
দুজনের অভিষেক আফগানিস্তান দলে
টেস্ট অভিষেক হচ্ছে আফগানিস্তানের দুজনের—অলরাউন্ডার করিম জানাত ও ডানহাতি পেসার নিজাত মাসুদের।
আফগানিস্তান একাদশ
হাশমতউল্লাহ শহীদি (অধিনায়ক), রহমত শাহ (সহ-অধিনায়ক), ইব্রাহিম জাদরান, আবদুল মালিক, নাসির জামাল, আফসার খান, করিম জানাত, জহির খান, আমির হামজা হোতাক, ইয়ামিন আহমেদজাই, নিজাত মাসুদ।
নিজাতের স্বপ্নের অভিষেক, দ্বিতীয় ওভারেই নেই জাকির
ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই উইকেট, নিজাত মাসুদের স্বপ্নের অভিষেক। দ্বিতীয় ওভার করতে এসে প্রথম আঘাত করলেন আফগান পেসার।
অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা দিয়েছিলেন জাকির হাসান। নিজাত আবেদনের বদলে এক রকম উদ্যাপনই করেছেন। তবে আম্পায়ার পল রাইফেল শুরুতে আউট দেননি। আফগানিস্তান এরপর নেয় রিভিউ, আল্ট্রা-এজে দেখা গেছে পরিষ্কার স্পাইক।
দলীয় ৬ রানে প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
নিজাত বনাম নাজমুল
যে ওভারে নেমেছিলেন, তার পরের ওভারে ইয়ামিন আহমেদজাইকে টানা দুটি চার মেরেছিলেন নাজমুল হোসেন। এরপর অবশ্য আঁটসাঁট বোলিং করেন দুই আফগান পেসার। ইনিংসের সপ্তম ওভারে নাজমুলের সঙ্গে একটা দ্বৈরথে নামেন অভিষিক্ত পেসার নিজাত মাসুদ। নিজাতের মুভমেন্ট নেগেট করে খেলতে ক্রিজের বাইরে তো দাঁড়িয়েছিলেনই নাজমুল, বেশ খানিকটা এগিয়েও যাচ্ছিলেন। নিজাত এরপর করেন শর্ট, তবে সেটি নাজমুলের পর নাগালের বাইরে দিয়ে যায় উইকেটকিপারেরও। পরের বলে আবার ক্রিজে হেঁটে গিয়ে মিড অফের ওপর দিয়ে তুলে চার মারেন নাজমুল।
যা চাপ তৈরি হয়েছিল, ওই ২ বলেই যেন আলগা হয়ে গেল অনেকটাই।
৬ ওভারশেষে বাংলাদেশ ২৭/১।
নাইমুর থেকে লিটন
২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্টে টস করতে নেমেছিলেন নাঈমুর রহমান। আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ১২তম অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে নামলেন লিটন দাস।
বিপরীতমুখী ব্যাটিং নাজমুল ও মাহমুদুলের
প্রথম ১১ ওভারে দুই মেডেন। প্রথম পরিবর্তিত বোলার হিসেবে ড্রিংকসের আগে এসেছেন করিম জানাত। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে নিজাত মাসুদের বলে জাকির হাসান ফেরার পর জুটি গড়ছেন মাহমুদুল হাসান ও নাজমুল হোসেন। দুজন করছেন বিপরীতমুখী ব্যাটিং। ৪১ বলে ১১ রান করে অপরাজিত মাহমুদুল, অন্যদিকে ২৪ রান করতে নাজমুল খেলেছেন মাত্র ২৫ বল। ২৪ রানের ইনিংসে নাজমুল মেরেছেন ৫টি চার। ৪.০৯ হারে ৪৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ। নাজমুল-মাহমুদুলের জুটি অবিচ্ছিন্ন ৩৯ রানে।
২১ বছর পর
স্পিন, স্পিন
উইকেট সবুজাভ হলেও মিরপুর টেস্টের প্রথম দিন সকালে তেমন মুভমেন্টের দেখা পাননি পেসাররা। ইনিংসের ১২তম ওভারে প্রথমবারের মতো স্পিনার জহির খানকে এনেছেন হাশমতউল্লাহ শহীদি। নাজমুল একটি চার মারলেও বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের আউটসাইড-এজ, ইনসাইড-এজকে পরাস্ত করেছেন এ রিস্টস্পিনার। নিয়মিতই গুগলি করে যাচ্ছেন। অন্যপ্রান্তে আরেক বাঁহাতি আমির হামজা হোতাক এসেছেন। অর্থোডক্স হামজার প্রথম ওভারে এসেছে একটি সিঙ্গেল।
১৪ ওভারে ৫৪/১।
ফিফটি জুটি
ফুললেংথে পেয়ে ড্রাইভ করেছেন নাজমুল। জহির খানকে মারা ওই চারে মাহমুদুলের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি হয়ে গেছে নাজমুলের। এ জুটির সিংহভাগ রানই এসেছে নাজমুলের ব্যাট থেকে।
ওই চারের পর প্রায় একই ধরনের শটে ঠিক পরের বলেই আরেকটি চার মেরেছেন নাজমুল। তাতে ৪০ রানে পৌঁছে গেছেন তিনি। অন্য প্রান্তে হামজাকে সরিয়ে আবার আনা হয়েছে করিম জানাতকে।
বাংলাদেশ ১৬ ওভারে ৬৫/১।
নাজমুলের ৫০, বাংলাদেশের ১০০
জহিরের বলটি ছিল মোটামুটি হাফ ট্র্যাকার। সেটিকে টেনে স্কয়ার লেগ দিয়ে চার মারেন নাজমুল। ফিফটিও হয়ে যায় তাতেই। মাত্র ৫৮ বলেই মাইলফলকে পৌঁছে গেছেন তিনে নামা এ বাঁহাতি। ইনিংসে এখন পর্যন্ত মেরেছেন ১০টি চার। নাজমুল আক্রমণাত্মক ব্যাটিং-ই করছেন, ফলে ঠিক পুরো নিয়ন্ত্রণ নেই ইনিংসে। তবে রান করেছেন ঠিকই।
ক্যারিয়ারে নাজমুলের এটি চতুর্থ ফিফটি। এর আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট, ভারতের বিপক্ষে সিরিজটি সুবিধার যায়নি তাঁর। ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬৫ রানের ইনিংস খেলার পর পরের ৫ ইনিংসে তাঁর সর্বোচ্চ ছিল ২৪ রান।
নাজমুলের মাইলফলকে যাওয়ার ওভারে গতি বাড়িয়েছেন মাহমুদুলও। জহিরকে ৩ বলের ব্যবধানে দুটি চার মেরেছেন তিনি। ৬২ বলে ৩১ রানে অপরাজিত মাহমুদুল।
পরের ওভারে হামজাকে মারা নাজমুলের চারে ১০০ পূর্ণ হয়ে গেছে বাংলাদেশের।
নাজমুলের ফিফটিতে প্রথম সেশন বাংলাদেশের
জাকির হাসান ফিরেছিলেন ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে। নিজাত মাসুদের রেকর্ডগড়া উইকেটের পর অবশ্য প্রথম সেশনে উদ্যাপনের তেমন কিছু আর পায়নি আফগানিস্তান।
এরপর থেকে নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ। সেটি মূলত নাজমুল হোসেন ও মাহমুদুল হাসানের ১১০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে। ২৪ ওভারে ১ উইকেটে ১১৬ রান নিয়ে মধ্যাহ্নবিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা নাজমুল অপরাজিত ৭৬ বলে ৬৪ রানে, মাহমুদুল ব্যাটিং করছেন ৭০ বলে ৩৮ রানে।
টসের সময় দুই অধিনায়কই বলেছিলেন আগে ফিল্ডিংয়ের কথা। টসে জিতে সে সুযোগ পান আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি। তবে সে সিদ্ধান্তের সুবিচার তাঁর বোলাররা করতে পারেননি সেভাবে। ইয়ামিন আহমেদজাই ও নিজাতকে দিয়ে করানো হয়েছে ৫ ওভার করে। এরপর করিম জানাতের সঙ্গে দুই স্পিনার জহির খান ও আমির হামজাকেও এনেছেন হাশমতউল্লাহ। এমনকি নিজেও এসেছেন। তবে সফল হননি কেউ।
আফগানিস্তানের তিন স্পিনার ১০ ওভার বোলিং করে দিয়েছেন ৫৭ রান। ঝড়টা তাদের ওপর দিয়ে গেছে, সেটি তাই স্পষ্টই। জহির একাই ৫ ওভারে দেন ৩৭ রান।
প্রথম সেশনে বাংলাদেশ তুলেছে ৪.৮৩ হারে রান। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ইনিংসে আছে ২৪টি চার। অতিরিক্ত রানই আফগানরা দিয়েছে ১৩। দ্বিতীয় সেশনে নিশ্চিতভাবেই আরো গোছানো বোলিং নিয়ে আসতে হবে আফগানিস্তানকে।
দেড় বছর পর
দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশের সর্বশেষ শত রানের জুটিটি এসেছিল ২০২২ সালের জানুয়ারিতে। মাউন্ট মঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। মজার ব্যাপার হলো, সে জুটিটিও গড়েছিলেন নাজমুল হোসেন ও মাহমুদুল হাসানই। দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশের সর্বশেষ চারটি শত রানের জুটিরই অংশ ছিলেন নাজমুল।
১০ বলে নাজমুলের ৫ চার
ইনিংসে নিজের ১২, ১৩ ও ১৪তম বাউন্ডারিটি নাজমুল মারলেন ৪ বলের মধ্যে। নিজাত মাসুদ নাজমুলকে জায়গা দিয়েছেন, শাস্তিও পেয়েছেন। কাভার ও পয়েন্ট দিয়ে দুটি, আরেকটি নাজমুল মেরেছেন স্কয়ার লেগ দিয়ে। পরের ওভারে আমির হামজাকে কাট করে মেরেছেন আরেকটি চার। সে চারে ৮০ পেরিয়েছেন এ বাঁহাতি। পঞ্চম বলে সুইপ করে আরেকটি চার পেয়েছেন তিনি। মুখোমুখি সর্বশেষ ১০ বলে ৫টি চার মারলেন নাজমুল। ১৬ চারে ৯৪ বলে ৮৭ রানে অপরাজিত তিনি।
বাংলাদেশ ২৮ ওভারে ১৪২/১।
মাহমুদুলের ফিফটি
এক, দুই, তিন, চার, পাঁচ—দৌড়েই ৫ রান নিলেন মাহমুদুল ও নাজমুল। ওভারথ্রোর পর ওভারথ্রো—আফগানিস্তানের দুর্দশা যেন ফুটে উঠল তাতেই। ওই ৫ রানেই ফিফটি হয়ে গেল মাহমুদুল হাসানের। তিনি আগে ফিফটি পাবেন না নাজমুল সেঞ্চুরি পাবেন—বেশ কিছুক্ষণ ধরেই চলছিল সে অপেক্ষা। আপাতত এ মাইলফলকের দৌড়ে মাহমুদুল পেছনে ফেললেন নাজমুলকে।
শূন্য দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল মাহমুদুল হাসানের। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টে মাউন্ট মঙ্গানুইতে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ে অবশ্য খেলেছিলেন ৭৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। ঠিক পরের ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ১৩৭ রান। অবশ্য সে সফরে পরের তিনটি ইনিংসে দুবার শূন্যতে আউট, একবার ৪ রান করে। মাহমুদুলের উত্থানটা যেন আটকে গেল ওই খরাতেই। সেটি কাটিয়েছিলেন দেশের মাটিতে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ফিফটি করে। কিন্তু পরের ৬ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪২ রান, এরপর তো দল থেকেই বাদ।
মাহমুদুল টেস্ট দলের বাইরে থাকলেন প্রায় এক বছর। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষেই চার দিনের ম্যাচে সেঞ্চুরি দলে এনেছে তাঁকে। মাহমুদুল সে সুযোগটা কাজে লাগালেন। এখন অবশ্য ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করার পালা তাঁর।
নো, নো!
নাজমুলের সেঞ্চুরি
ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি পেয়েছিলেন টেস্টে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাল্লেকেলেতে। ১৬৩ রানের ইনিংসে নাজমুল মেরেছিলেন ১৭টি চার, স্ট্রাইক রেট ছিল ৪৩.১২।
নাজমুলের ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরিটি এলো ১১৮ বলে, ১০০ রানের ইনিংসে এখন পর্যন্ত স্ট্রাইক রেট ৮৪.৭৪, এখনোই মেরেছেন ১৮টি চার। এ সেঞ্চুরিটি নাজমুলের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির মতো। হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলেছিলেন ১১৮ বলে ১১৭ রানের ইনিংস, তাতে অবশ্য মেরেছিলেন ৫টি চার, তবে ছিল ৬টি ছক্কা।
অবশ্য আজ সেঞ্চুরি কাছে গিয়ে ধীরে এগিয়েছেন নাজমুল। ১০৬ বলে করেছিলেন ৯৬ রান। পরের ৪ রান করতে লাগল ১২ বল।
এ টেস্টে নাজমুল এসেছেন সীমিত ওভারের ভালো ফর্ম নিয়ে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের মাটিতে হওয়া ওয়ানডে সিরিজে সেঞ্চুরি করেছিলেন।
ছুটছেন নাজমুল-মাহমুদুল
৬ রানে পড়েছিল জাকির হাসানের উইকেট। এরপর জুটি বাঁধেন মাহমুদুল হাসান ও নাজমুল হোসেন। মধ্যাহ্নবিরতির আগেই ১০০ রানের জুটি হয়ে যায় তাঁদের। ১১০ রানের জুটি নিয়ে দ্বিতীয় সেশন শুরু করেন দুজন। এরই মধ্যে ফিফটি পেরিয়েছেন মাহমুদুল, নাজমুল পেয়ে গেছেন সেঞ্চুরি।
বাংলাদেশ ৪১.২ ওভারে ২০৭/১।
রশিদকে মিস করছে আফগানিস্তান?
একটু চ্যালেঞ্জিং তো হবেই। সবাই জানে, সে আমাদের অন্যতম প্রধান বোলার। টেস্টে অতীতে সে অনেক ভালো করেছে। তবে আমাদের অন্য বোলার আছে, অন্য অপশন আছে। তারাও ভালো খেলবে ইনশা আল্লাহ।
ম্যাচের আগে বলেছিলেন আফগানিস্তান অধিনায়ক। দুই মূল স্পিনার এখন পর্যন্ত অবশ্য হতাশই করেছেন তাঁকে।
৭৬ রানে থামলেন মাহমুদুল
দুই মূল স্পিনার জহির খান ও আমির হামজার পর এসেছিলেন হাশমতউল্লাহ শহীদি নিজে। তবে আফগানিস্তানকে ব্রেকথ্রুটা এনে দিলেন রহমত শাহ। রহমত শাহর লেগ স্পিন ডেলিভারিটি ছিল নিরীহ। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান। ক্যাচ গেছে স্লিপে। তাতে ভেঙেছে ২১২ রানের জুটি।
তবে যে পরিস্থিতিতে, যেভাবে আউট হলেন মাহমুদুল, তাতে ড্রেসিংরুমে ফিরে বেশ আক্ষেপই করার কথা। মাহমুদুল থেমেছেন ৭৬ রানে। সেঞ্চুরির ভালো একটি সুযোগ হারিয়েছেন তিনি।
রিভিউ হারাল আফগানিস্তান
আফগানিস্তানের সবচেয়ে আশাজাগানিয়া ওভার বলা যায় এটিকে। মাহমুদুল ফিরেছেন রহমত শাহর এ ওভারে। এরপর নতুন ব্যাটসম্যান মুমিনুল হকের বিপক্ষে রিভিউয়ের আবেদন নাকচ করেন আম্পায়ার ক্রিস ব্রাউন, আফগানিস্তানের রিভিউ অবশ্য কাজে আসেনি, উইকেট মিস করে যেত ডেলিভারিটি। শেষ বলে গিয়ে আবার আবেদন হয়। ফুললেংথে ছিল, মুমিনুল মিস করে যান সেটি। অন্তত আগেরটির চেয়ে ক্লোজ ছিল এটি। পরে বল ট্র্যাকিং-ও দেখিয়েছে, উইকেটে ছিল আম্পায়ার্স কল। আফগানিস্তানের রিভিউ অবশ্য সফল হতো না, তবে অক্ষত থাকত সেটি। রহমত করেছেন উইকেট-মেডেন ওভার।
চাপ
মুমিনুল হক নড়বড়ে ছিলেন। ইনিংসের শুরুতে সেটি থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে এরপরই পেলেন রহমতের উপহার। লেগ স্টাম্পের ওপর লো ফুলটস। তাতে সুইপ করে চার মারতে সমস্যা হয়নি বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের। মাহমুদুল ফেরার পর যে চাপটা তৈরি করতে পেরেছিল আফগানিস্তান, সেটিও কি মিলিয়ে গেল এভাবে?
দ্বিতীয় সেশনও বাংলাদেশের
রহমত শাহ ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছেন। তবে পার্ট টাইম লেগ স্পিনার করেছেন আলগা বল। মাঝে লেগ স্টাম্পের বাইরে একটি ফুলটস মিস করলেও এরপর আর করেননি মুমিনুল, মেরেছেন বাংলাদেশ ইনিংসে দ্বিতীয় ছক্কা। রহমতের এ ওভারের পরই শেষ হয়েছে দ্বিতীয় সেশন। প্রথম সেশনের মতো এটিতেও দাপট বাংলাদেশেরই।
মাহমুদুল হাসানের উইকেট হারিয়ে এ সেশনে বাংলাদেশ তুলেছে ২৫ ওভারে ১১৯ রান। চা-বিরতিতে বাংলাদেশ গেছে ৪৯ ওভারে ২ উইকেটে ২৩৫ রান নিয়ে।
মধ্যাহ্নবিরতির পর শুরুটা ঝোড়োই করে বাংলাদেশ। মাঝে দুই ব্যাটসম্যান মাইলফলকের কাছে চলে আসার পর অবশ্য একটু ধীরে এগোতে থাকে ইনিংস। মাহমুদুল পান ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি। নাজমুল পান ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি।
৭৬ রানে আউট হওয়া মাহমুদুল দুষতে পারেন শুধু নিজেকেই। নাজমুল অবশ্য অপরাজিত এখনো, বিরতিতে গেছেন ১২৬ রানে অপরাজিত থেকে।
আফগানিস্তানের বোলিং এ সেশনেও তেমন গোছানো ছিল না। স্পিনাররাও নো বল করে গেছেন বারবার। ফিল্ডিংয়েও শরীরী ভাষায় তেমন উজ্জীবিত মনে হয়নি দুই বছরেরও বেশি সময় পর টেস্ট খেলতে নামা আফগানদের।
ডাবল সেঞ্চুরি পাবেন নাজমুল?
বাংলাদেশের ২৫০
বিরতির পর প্রথম ২ ওভারে ১৮ রান। আফগানিস্তানের আলগা বোলিংয়ের সুবিধা ভালোমতোই আদায় করছেন নাজমুলরা। ৫১তম ওভারে ২৫০ পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ। নাজমুল পেরিয়ে গেছেন ১৪০ রান।
মুমিনুল আউট!
মাত্র ২৫ বল টিকলেন মুমিনুল হক। ১৫ রান করে নিজাত মাসুদের বলে ক্যাচ দেন আফগানিস্তানের উইকেটকিপার আফসার জাজাইকে।
খাটো লেংথ থেকে লেগ স্টাম্পের ওপর বল তুলেছিলেন নিজাত মাসুদ। বল মুমিনুলের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে যায়। সফল রিভিউ নিয়ে মুমিনুলকে ড্রেসিংরুমে ফেরত পাঠিয়েছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ২৫৬।
উইকেটে নাজমুল হোসেনের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন মুশফিকুর রহিম।
বেঁচে গেলেন নাজমুল!
‘নো’ বলের জন্য আরেকটি উইকেট পেলেন না আফগানিস্তানের পেসার নিজাত মাসুদ। শেষ সেশনের খেলায় নিজাতকে পুল করতে গিয়ে বল স্টাম্পে টেনে এনেছিলেন নাজমুল। কিন্তু তার আগেই বল করার সময় দাগ পেরিয়ে গিয়েছিল নিজাতের পা। ইনিংজুড়েই ছড়াছড়ি নো বলের, এবার সেটির চড়া মাশুলই দিতে হলো আফগানদের।
১৪৩ রানে ব্যাট করছেন নাজমুল। বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ২৫৮।
১৫০-ই হলো না নাজমুলের
১৭৪ বলে ১৪৬ রান নিয়ে দারুণ ব্যাট করছিলেন নাজমুল হোসেন। ৫৮তম ওভারে স্পিনার আমির হামজাকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন। এতক্ষণ পর্যন্ত আক্রমণাত্মক শটগুলো ঠিকঠাক হলেও এবার হলো না আর। ২ ছক্কা ও ২৩ চারের ইনিংসটার অপমৃত্যুই ঘটল! ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছেন অধিনায়ক লিটন।
নাজমুলের ওপরে শুধু সৌম্য
১৪৬ বা এর বেশি রান, এর চেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেট—এমন ইনিংস বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আছে আর একটিই। ২০১৯ সালে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সৌম্য সরকার ১৪৯ রান করেছিলেন ১৭১ বলে, স্ট্রাইক রেট ছিল ৮৭.১৩। সে ইনিংসে ২১টি চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কা মেরেছিলেন সৌম্য।
লিটনের ছক্কা
নাজমুলের উইকেটের ওভারসহ ৩.৫ ওভারে ছিল না কোনো বাউন্ডারি। তবে এরপরই করিম জানাতের শর্ট বলে টেনে ছক্কা মেরেছেন লিটন। এর বাইরেও অবশ্য চাপ তৈরি করছে আফগানিস্তান। সেটির জবাবে প্রতি-আক্রমণ করবেন লিটনরা?
বাংলাদেশ ৬১ ওভারে ২৮০/৪।
জহিরের শিকার লিটন
কিছুক্ষণ ধরেই চাপ তৈরি করতে পেরেছে আফগানিস্তান। সেটির পুরস্কারও মিলল।
জহির খানের গুগলিতে লুপ ছিল দারুণ, তবে বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট চালিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক ধরা পড়েছেন স্লিপে। ১৯ রানের মধ্যে দ্বিতীয় উইকেট হারাল বাংলাদেশ, ২৯০ রানে পড়ল ৫ উইকেট। ক্রিজে এখন বাংলাদেশের শেষ স্বীকৃত জুটি।
ওভার রেট?
দিনের খেলার নির্ধারিত সময়ের মাত্র মিনিট দশেক বাকি। অথচ শেষ হলো মাত্র ৬৯তম ওভারের খেলা। প্রথম সেশনে ২৪ ওভারের পর দ্বিতীয় ইনিংসে আফগানরা করেছে মাত্র ২৫ ওভার। স্পিনাররা ৪০ ওভার করলেও ওভার রেটের তেমন উন্নতি হয়নি।
মুশফিক-মিরাজের মধ্যে জুটি অবশ্য গড়ে উঠছে ভালোভাবেই, এখন উঠেছে ২৯ রান।
আরেকটি রিভিউ হারাল আফগানিস্তান
আমির হামজার বলটি ঢুকছিল ভেতরের দিকে। মুশফিকুর রহিমের ব্যাট ফাঁকি দিয়েছিল ঠিকই। তবে আফগানিস্তানের নেওয়া এলবিডব্লুর রিভিউটি ব্যর্থ হয়েছে ইমপ্যাক্ট বাইরে থাকায়। অবশ্য বলের ট্র্যাজেক্টরি থেকে অনুমান করে নেওয়া যায়, সেটি স্টাম্পেই আঘাত করত। তবে সেটি আর বিবেচ্য নয়।
আফগানিস্তান দ্বিতীয় রিভিউটি হারিয়ে ফেলেছে। তবে আজ দুটি উইকেট তারা পেয়েছে রিভিউ নিয়েই।
মুশফিক ও মিরাজের ফিফটি জুটি
দিনের খেলা এরই মধ্যে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। বৃষ্টি বা এমন কারণে খেলা বন্ধও ছিল না। তবে স্লো ওভাররেটের কারণে বিকাল ৫-০৯ মিনিট পর্যন্ত হয়েছে মাত্র ৭৩ ওভার। স্বাভাবিকভাবেই আলো থাকলে আম্পায়াররা খেলা চালিয়ে যাবেন আরও কিছুক্ষণ।
আফগানদের এবার হতাশ করছে মুশফিক ও মিরাজের জুটি। দুজনের জুটিতে ৫০ পেরিয়ে গেছে। বাংলাদেশের স্কোর ৩৪২/৫।
মুশফিক-মিরাজ অবিচ্ছিন্ন দিন শেষে, বাংলাদেশ ৩৬২/৫
বৃষ্টি বা এমন কারণে খেলা বন্ধ না হলেও দিনে হলো ৭৯ ওভার। তাতে আফগানিস্তানের অনভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণের ওপর ছড়িয়ে ঘুরিয়েছে বাংলাদেশ।
নাজমুল হোসেনের সেঞ্চুরি, মাহমুদুল হাসানের ফিফটি, দুজনের ২১২ রানের জুটির পর পঞ্চম উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুশফিকুর রহিমের অবিচ্ছিন্ন ৭২ রানের জুটিতে বাংলাদেশে তুলেছে ৩৬২ রান। আগামীকাল ১ ওভার পরই দ্বিতীয় নতুন বল পাবে আফগানিস্তান, তাতে কি বদলাবে ভাগ্য?