উপমহাদেশে ১০ বছরে প্রথম জয়ে গর্বিত মার্করাম

এইডেন মার্করামের নেতৃত্বে মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশকে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাশামসুল হক

উপমহাদেশে টেস্ট জয় কী জিনিস, তা যেন ভুলতে বসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ঘরের মাঠে ধারাবাহিক হলেও উপমহাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বশেষ টেস্ট জয় খুঁজতে গেলে যেতে হবে ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে।

ফাফ ডু প্লেসি, হাশিম আমলা, এবি ডি ভিলিয়ার্স, ডেল স্টেইন, মরনে মরকেলের মতো তারকারা ছিলেন সে দলে। এরপর উপমহাদেশে ১৪টি টেস্টে জয়ের দেখা পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে ৭ উইকেটের বড় জয়ে উপমহাদেশে মাটিতে হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এল দক্ষিণ আফ্রিকা।

জয়টাও এসেছে একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটারের হাত ধরে। অধিনায়ক হিসেবে এইডেন মার্করামের জন্য যা গর্বের বিষয়, ‘আমি মনে করি, এটা দারুণ অর্জন। তরুণ ও অনভিজ্ঞ একটা দলের জন্য এমন জয় বিরাট ব্যাপার। আমরা এই জয় থেকে আত্মবিশ্বাসও পেলাম…আমরা এ ধরনের কন্ডিশনে ভালো করতে পারি, লড়াই করতে পারি।’

মিরপুর টেস্ট জিতে সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা
শামসুল হক

১০ বছর পর উপমহাদেশে টেস্ট জয় নিয়ে তাঁর কথা, ‘আমি দুই বছর ধরে উপমহাদেশে খেলছি। আমি কখনো জয়ের দেখা পাইনি। এখন আমরা আত্মবিশ্বাস পেলাম উপমহাদেশে ভালো করার।’

উপমহাদেশ মানেই স্পিন-চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশে ভালো করতে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে স্পিনটা ভালো খেলতে হতো। মিরপুরে সেটা স্বাগতিকদের চেয়ে ভালো করায় এসেছে ৭ উইকেটের জয়। আর স্পিন–দক্ষতায় উন্নতি আনতে মার্করামদের সাহায্য করেছে আইপিএল।

আরও পড়ুন

এ ব্যাপারে তিন বছর ধরে নিয়মিত আইপিএল খেলা মার্করামকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘আপনি আইপিএলের কারণে লম্বা সময় স্পিন–সহায়ক উইকেটে খেলার ও শেখার সুযোগ পাচ্ছেন । আইপিএল যথেষ্ট লম্বা টুর্নামেন্ট, দুই মাস। আমি ভাগ্যবান যে আমি তিন মৌসুম ধরে আইপিএল খেলছি। তার মানে ছয় মাসের মতো সময় ওই কন্ডিশনে কাটিয়েছি। যা স্পিনে আমার খেলায় উন্নতি আনতে সাহায্য করেছে।’

স্পিন–স্বর্গেও দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছেন ৯ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে তো ৪৬ রানে নিয়েছেন ৬টি, যা টেস্ট ক্রিকেটে রাবাদার ১৫তম ৫ উইকেট। মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনেই ৩০০ উইকেটের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন রাবাদা।

দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুত ২০ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছেন এইডেন মার্করাম
এএফপি

ম্যাচ শেষে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সতীর্থকেও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মার্করাম, ‘কেজি (কাগিসো রাবাদা) আমাদের দলের সুপারস্টার। তাঁর ৩০০ উইকেট নেওয়ার পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যায়, সে মিলিয়নে একজন। আমরা ভাগ্যবান যে সে আমাদের দলে খেলে।’

আরও পড়ুন

প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান কাইল ভেরেইনার স্পিন খেলার দক্ষতার প্রশংসা করেছেন মার্করাম, ‘তার জন্য বিশেষ অর্জন ছিল এটি। দল তাকে সমর্থন দিয়েছে, সুযোগ দিয়েছে। এখন সে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। স্পিনের বিপক্ষে তাঁর ব্যাটিং সব সময় ভালো। তবু উপমহাদেশে নিজের প্রথম টেস্টেই সেঞ্চুরি করা বিরাট ব্যাপার।’